কৌতুক কালেকশন -১: কিছু পাশবিক কৌতুক
আসছালামুআলাইকুম.....শুভ দুপুর আর সন্ধার মাঝের কাল ।... কিছু মারাত্মক হাসির কৌতুক আপনাদের শুনামু যা অত্যন্ত হাসির বলে আমি মনে করি। আপনারা হাসতে হাসতে যদি হার্ট এটাক করেন তো আমার দোষ নহে। নিচে দেয়া কৌতুক গুলো খুবই অর্থপূর্ণ, কটাক্ষপূর্ন ও তাৎপর্য বহুলও বটে । কৌতুক গুলো কম হাসির হলে আর মোটামুটি হাসির হলেও দায় এই কপি পেষ্ট কারকের নহে । যদিও কিছু সেলফ বিযয় সবগুলাতেই আড করছি ।
আমাদের এই দেশে সুশিক্ষার বড়ই অভাব। কিন্তু অভাব নেই গাঁজাখুরি গালগল্প ও কল্পনার। কল্পনাবিলাসী মানুষের এক আদিম আবিষ্কার ‘কৌতুক’। আগেই বলে রাখছি এই কৌতুক কিন্তু কিছু উর্বর মস্তিস্ক প্রসূত গর্ভস্রাব মাত্র। অনেক চরিত্র, ঘটনা, স্থান, বা কালের সাথে এর মিল খুজে পেলে পেতে পারেন । ইহাতে কারোর আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয় ।
কথা না বাড়িয়ে চলুন প্রবেশ করি কৌতুক ভান্ডারে ।
১ । “ক কাব্য”
কলিকাতার কবিভাবাপন্ন, কাব্যানুরাগী কানাই কর্মকারের কাজলাঞ্জন কনিষ্ঠা কন্যা কামিনী কর্মকার,
কপাল কুঞ্চিত করিয়া, কঙ্কন কচলাইয়া, কাকা কেদার কর্মকারকে কানে কানে কোমল কন্ঠে কহিলো,
কাকা কুঞ্জে কৃষ্ণ-কালো কোকিল কাকুতি করিতে করিতে কুহু কুহু করিলেও কলিকাতার কতিপয় কালো কাক,
কোকাইতে-কোকাইতে কোন কারণে কুলক্ষনে কা-কা করে?
কোন কালের কাকেরা কা-কা করিয়া কাকে কাকা কহিতেছে?
কুহেলী কাকেদের কাকা কে?
কটুভাষী, কৃপণ কেদার কাকা কটাক্ষে কটমট করিয়া কহিলেন- কন্যা, কপাল কুঞ্চিত করিতেছো কেনো?
কোকিল কুহু কুহু করিলে, কাকও কা-কা করিবে,
কেনোনা কা-কা করাই কাকের কাজ, কাজেই কাক কা-কা করে।
ক্লিষ্ট কাকের কপালে কা-কা করাই কঠিন কর্তব্য। কাকেদের কাকা কোনো কালেই কেহনা।
[বিঃদ্র- অনেক অনেক আগে, একদা বিরসচিত্তে নেটে পরিভ্রমন কালে নেট থেকে কালেক্টিত এবং ভ্যিয়াপুক পরিমার্জিত......]
--------------------------------------------------------------------------------
২। জুক্সঃ
ডিভোর্স
আদালতে ডিভোর্স বিষয়ক মামলা চলছে।
জজ সাহেবঃ আপনি ডিভোর্স চাইছেন কেন?
মিঃ জোনাথনঃ আজ দুবছর আমার স্ত্রীর সাথে কোন বাক্যালাপ নেই হুজুর।
জজ সাহেবঃ কিন্তু কিছুক্ষণ আগে বললেন, কিছুদিন আগেই আপনার স্ত্রীর একটি সন্তান হয়েছে?
মিঃ জোনাথনঃ সন্তানলাভের জন্য কথা বলার দরকার নেই হুজুর।
প্রেসিডেন্টের অজ্ঞতা
জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্টের একশ জন প্রেমিকা । তাদের মধ্যে একজন এইডস্ এ আক্রান্ত। কিন্তু ঠিক কে, প্রেসিডেন্ট তা জানেন না ।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের একশ জন দেহরক্ষীর মধ্যে একজন রাসি্যান এজেন্ট । কিন্তু ঠিক কে, তা তিনি জানেন না ।
সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের একশ জন অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মধ্যে একজনের কাছে সঠিক অর্থনৈতিক কর্মসূচীটি আছে । কিন্তু ঠিক কার কাছে, তা তিনি জানেন না ।
গোপালকে ও রামবাবু
গোপালকে বলছেন রামবাবু, এখানে বাঁদরের বড্ড উৎপাত।তোমাকে তো দেখতে বেশ বাঁদরের মতোই! ওদের দলে তোমাকে ছেড়ে দিলে কি হবে বলতো? তুমি নিশ্চই কখনো বাঁদর দেখনি?
আজ্ঞে না! আপনার মত বাঁদর আমি আগে আর কক্ষনো দেখিনি!
গোপালের সোজা-সাপ্টা উত্তর।
মৎস শিকার
সমুদ্রতীরে মাছ ধরছেন এক দম্পতি । স্বামীর বঁড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল মাছ । কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তুপে । স্বামী চিৎকার করে স্ত্রীকে বললেন :
ওগো জলদি কর ! ঝাঁপ দাও ! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে ! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও । নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে !
কফি ও কোকো
ক্রেতা কাউন্টারে দাম মেটাতে গেছেন । ম্যানেজার প্রশ্ন করেন, কী খেয়েছেন স্যার ? কফি না কোকো ?
আমি তো ঠিক বলতে পারছি না, ক্রেতা বলেন, তবে জিনিসটা একেবারে অখাদ্য । কেমন টুথপেস্টের মতো লাগল ।
ওঃ ! তাহলে ওটা কফি স্যার ! দশ টাকা দেবেন । আমাদের কোকোর স্বাদ একেবারে গঁদের আঠার মতো !
গোল্ডফিশ
দুটো গোল্ডফিশ ঝকঝকে অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে সাঁতার কাটছে । হঠাৎ একটি আরেকটিকে প্রশ্ন করে :
-- আচ্ছা আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ?
দ্বিতীয় গোল্ডফিশটি সামনের পাখনাদুটো মাথায় ঠেকিয়ে উত্তর দেয় :
-- বলেন কি মশাই ? ঈশ্বরে বিশ্বাস করব না ? অবশ্যই করি । দিনে দুবার আমাদের এ ঘরের জল পালটে দেন কে তাহলে ?
--------------------------------------------------------------------------------
৩ । প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রশ্ন : জীবন কেন সরল রেখা নয়?
১. দুঃখের মূহূর্ত আর সুখের মূহূর্তের দৈর্ঘ্য একই হত
২. কঠিন হোক সহজ হোক প্রত্যেক কাজ করার জন্য একই সময় পাবেন। ফলে কঠিন কাজ অসফল হতে পারে।
৩. কোনো পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন না, কারণ অন্য কোন বাঁকা পথ তো থাকবে না।
৪. বাঁকা পথ না থাকার কারণে পড়ালেখা করতে হবে প্রচুর ।
প্রশ্ন : সোভিয়েত ইউনিয়নের বাসস্থান সমস্যার সমাধানের উপায় কি ?
উত্তর : সীমান্ত খুলে দিয়ে অবাধ বিদেশ গমনের সুযোগ করে দেওয়া ।
তাত্ত্বিক ক্লাস: কমিউনিস্ট পার্টির তাত্ত্বিক নেতা শ্রমিকদের ক্লাস নিচ্ছেন :
-- আপনারা নিশ্চই এতদিনে জেনে গেছেন যে কমিউনিজম ইতিমধ্যে দিগন্তে পৌছে গেছে ।
-- দিগন্ত মানে কী, কমরেড ?
-- দিগন্ত হল একটা কাল্পনিক রেখা, যেখানে ভূমি মিশে যায় আকাশের সঙ্গে । আর দিগন্তের দিকে যত এগোনো যাবে, তত বেশি তা দূরে সরে যেতে থাকে ।
প্রশ্ন : চীনে বেড়ালদের মেরে ফেলা হচ্ছে কেন ?
উত্তর : কারণ তারা মাও না বলে ম্যাও বলছে ।
--------------------------------------------------------------------------------
৪। পন্ডিতের পাঠশালায় পাঠদান
গ্রামের একটি পাঠশালায় ক্লাস শুরু হওয়ার আগে ছাত্ররা হইচই করছে। এমন সময় পন্ডিত মশাই প্রবেশ করলেন।
পন্ডিত : ওরে হ্যাবলা, ক্যাবলা, যদু, মধু, গোবরা, গণশা, ভ্যাবলা ।
ছাত্ররা : (সমস্বরে) প্রেজেন্ট স্যার।
পন্ডিত : সে তো চোখেই দেখতে পাচ্ছি। বলছি গোলমাল করছিস কেন?
ছাত্ররা : (সমস্বরে) এই গোলমাল করছিস কেন?
পন্ডিত : থাম, থাম, হতভাগার দল। ওরে ভ্যাবলা, কাল স্কুলে আসিসনি কেন রে?
ভ্যাবলা: আজ্ঞে, কাল আমার মুখ দিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল।
পন্ডিত : বিড়ি টেনেছিলি বুঝি?
ভ্যাবলা: আজ্ঞে, না স্যার। সে তো আপনার ঠেঙানি খেয়েই ছেড়ে দিয়েছি। মা বললেন, তোর পেটে আগুন লেগেছে। স্কুলে যাসনে।
পন্ডিত : বটে। হ্যাঁ রে মন্টা। তুই কাল আসিসনি কেন রে?
মন্টা : কাল তো আপনার সঙ্গে হাটতলায় দেখা হয়েছে।
পন্ডিত : ও, তুমি শুধু দেখা করতে আস। পড়তে আস না? কিরে ভ্যাবলা কিছু বলবি?
ভ্যাবলা: পৃথিবীর আকার কিরূপ, স্যার?
পন্ডিত : ইম্পর্টেন্ট কোশ্চেন, টুকে নে। পৃথিবীর আকার চতুষ্কেকাণ। যথা−ঈশান, অগ্নি, নৈর্ঋত ও বায়ু।
ছাত্র : পন্ডিত মশাই। একটা ট্রান্সেলেশন বলে দিন না?
পন্ডিত : কী ট্রান্সেলেশন, বাবা?
ছাত্র : আজকাল হাতিবাগান বাজারে ছয় আনা সের কুচো চিংড়ি দিয়ে একটা বড় পরিবার ভালোভাবে চলে যায়।
পন্ডিত : ওরে বাবা, টুকে নে। ইম্পর্টেন্ট কোশ্চেন। টুডে, টুমরো এলিফ্যান্ট গার্ডেন মার্কেটে সিক্স এনাস সের স্নল লবস্টার, এ বিগ ওয়াইফ গোজ ওয়েল।
ছাত্র : আচ্ছা পন্ডিত মশাই, তার বংশে বাতি দিতে কেউ নেই, এর ইংরেজি কী?
পন্ডিত : এসব ইম্পর্টেন্ট কোশ্চেন কোত্থেকে খুঁজে বার করছিস? নে টুকে নে। দেয়ার ইজ নো ওয়ান গিভ ক্যান্ডেল ইন হিজ ব্যাম্বু। এই মন্টা, ইংরেজিতে চিমনি বানান কর?
মন্টা : সি এইচ আর এমনি−চিমনি।
পন্ডিত : এই মরেছে। সি এইচ আর এমনি−চিমনি। ওকে নীল ডাউন করে দাও।
ছাত্র : ডিম্ব কোন লিঙ্গ, স্যার?
পন্ডিত : ইম্পর্টেন্ট কোশ্চেন। ডিমের ভেতর মেল হবে কি ফিমেল হবে, কে জানে রে, বাবা। নে টুকে নে। উভয় লিঙ্গ।
ছাত্র : পন্ডিত মশাই। ঘুড়িতে লাট খাচ্ছে, ইংরেজি কী?
পন্ডিত : ও, খুব ঘুড়ি ওড়ানো হয় বুঝি? টুকে নে। ইম্পর্টেন্ট কোশ্চেন। দি কাইট ইজ ইটিং গভর্নর। এই তুই বানান কর, ফটকে।
ছাত্র : ফটকে? ফ আর পা গেছে আটকে−ফটকে।
পন্ডিত : বটে। আচ্ছা বানান কর, রুক্সিণী।
ছাত্র : রুক্সিণী? স্বরে আ।
পন্ডিত : রুক্সিণীতে স্বরে আ কোত্থেকে পেলি?
ছাত্র : গোড়া থেকে আউড়িয়ে নিচ্ছি।
পন্ডিত : আউড়িয়ে নেওয়াচ্ছি। ওকে ঠ্যাং তুলে হ্যান্ড আপ অন দি বেঞ্চ করে দাও। এই তোরা একটা খবর শোন। তোরা সবাই কাল ফরসা জামা-কাপড় পরে ফিটফাট হয়ে আসবি। কাল ইন্সপেক্টর সাহেব আসছেন।
ছাত্র : আচ্ছা স্যার, সাহেব ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে আমরা কী করব?
পন্ডিত : আমি সব ম্যানেজ করে নেব। সে তোদের ভাবতে হবে না। বাবার কাছে একুশ বছর ঠ্যাঙানি খেয়ে তবেই ইংরেজিতে দখল হয়েছি। আমায় ঠেকায় কোন ব্যাটা। যা, এখন ছুটি। সবাই বাড়িতে যা, বাড়ি যা।
(পরের দিন সকালে পাঠশালায় ছাত্ররা উচ্চ স্বরে ইংরেজি পড়ছে)
পন্ডিত : এই, চুপ, চুপ। ইন্সপেক্টর সাহেব এসে গেছেন। গুড মর্নিং, স্যার।
ইন্সপেক্টর: গুড মর্নিং। এত কম ছাত্র কেন?
পন্ডিত : হতভাগা ছেলেরা ভয়ে সব আসেনি। স্যার, ইয়েস্টারডে ইঙ্কপূজা ছিল কি না।
ইন্সপেক্টর: ইঙ্কপূজা?
পন্ডিত : হ্যাঁ, হ্যাঁ, ভেরি ভেরি ব্ল্যাক ওমেন। সোর্ড হ্যান্ড।
ইন্সপেক্টর: আই সি। ইউ মিন খালিপূজা?
পন্ডিত : খালিপূজা নয়। তাহলে তো এমটি পূজা বলতুম। কালিপুজো, কালিপুজো।
ইন্সপেক্টর: আচ্ছা, পন্ডিত। টুমি বাংলা বলো। হামি
বাংলা বুঝতে পারি।
পন্ডিত : বাট স্যার, মাই ইংলিশ কামস মোর। অর্থাৎ আমার ইংরেজিটাই বেশি আসে। ফাদার্স নিয়ার টুয়েন্টি ওয়ান ইয়ার্স ইংলিশ লার্ন কি না।
ইন্সপেক্টর: ইউ আর এ বিগ ফুল।
পন্ডিত : সলালি, সলালি টেল, স্যার। ছেলেরা না শুনে ফেলে।
ইন্সপেক্টর: আপনি কী রকম পড়াচ্ছেন, আমাকে শোনান।
পন্ডিত : অল রাইট, স্যার। বাবা গণেশ, বলো তো ছাপ্পান্ন কড়ায় কত গন্ডা?
গণেশ : পন্ডিত মশাই, ঝালাই করা না পেটা করা?
পন্ডিত : দাঁড়া। সাহেব চলে যাক। তোকে মেরে আরও ধোলাই করে ছাড়ব।
ইন্সপেক্টর: ধোলাই কেয়া হায়?
পন্ডিত : ও মানে, ইয়ে মানে, কী বলি রে বাবা, মানে ইয়ে, ক্লথ ওয়াশিংয়ের কথা হচ্ছে, স্যার। আচ্ছা ভ্যাবলা, বলো তো ভুতপূর্ব হেড মাস্টার মানে কী?
ছাত্র : পারব না তো, স্যার।
পন্ডিত : টুকে নাও। যে হেড মাস্টার পূর্বে ভুত ছিলেন।
ইন্সপেক্টর: ননসেন্স।
পন্ডিত : এই মরেছে। ভ্যাবলা, তুমি বলো, বাবা। আমি তোমায় হাড়ে হাড়ে চিনি, ইংরেজি কী?
ছাত্র : হাড়ে হাড়ের ইংরেজি কী, স্যার?
পন্ডিত : বোন টু বোন।
ছাত্র : আর চিনি?
পন্ডিত : চিনির ইংরেজি জানো না? সুগার। টুকে নাও। আই সুগার ইউ বোন টু বোন।
ইন্সপেক্টর: হা হা হা। আচ্ছা পন্ডিত, গুড বাই।
পন্ডিত : গুড বাই। দেখলেন তো স্যার, আমার লার্নিংয়ের রান, মানে বিদ্যের দৌড়। টুয়েন্টি ওয়ান ইয়ার্স ইংলিশ লার্নিং ফাদার...
ইন্সপেক্টর: শাট, শাট আপ।
পন্ডিত : ও বা...বা (ইন্সপেক্টর চলে যায়)
ছাত্র : স্যার, একটা কথা বলব?
পন্ডিত : এক শ বার বলবে।
ছাত্র : আপনাকে বিগ ফুল বললেন কেন?
পন্ডিত : বিগ ফুল মানে বড় ফুল। বিলেতে গিয়েই সাহেব নিজের বাগান থেকে যেটি সবচেয়ে বড় ফুল সেটি আমার জন্য উপহার পাঠাবেন। আমার পড়ানোর কায়দা শুনে সাহেবের তাক লেগে গেছে।
ছাত্র : স্যার।
পন্ডিত : কী?
ছাত্র : স্যার, দপ্তরি কী একটা চিঠি নিয়ে আসছে।
পন্ডিত : ও কিছু নয়। সার্টিফিকেট এসে গেল। সাহেবদের কাজই ঝটপট।
দপ্তরি : না, পন্ডিত মশাই। সাহেব আপনাকে বরখাস্ত করেছেন। পড়ে দেখুন।
পন্ডিত : সে আমি আগেই বুঝতে পেরেছি রে। এর পরও যদি ডিসমিস না করে তো নিজের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে যে। এমনি যে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছি বাছাধনকে, ডিসমিস না করে যায় কোথায়?
--------------------------------------------------------------------------------
৫ । অবশেষে একটি হারানো বিজ্ঞপ্তিঃ
আনুমানবিক দশ জমজভ্রাতা একত্রে হারাইয়া গিয়াছে । কিছুতেই খুজিয়া পাইতাসিনা তাহাদের । অদ্য নিশুতি পঞ্চ ঘটিকা হইতে উহাদের কোন সন্ধান পাইতাসিনা । সকলের দেহের বর্ন শুভ্র । দেহের মাপ সাড়ে পাচ সেন্টিমিটার । নিখোজ হইবার প্রাক্কালে উহাদের পড়নে ছিল হলুদ বাটিক প্রিন্টের গাঢ় হলুদ প্যান্ট । প্যান্টের দৈর্ঘ প্রায় আড়াই সেন্টিমিটার । শরীরে তাহারা “বিশেষ পরিস্রুতকারক” লেখাটি ধারন করে জন্মের চিহ্ন হিসাবে । কোন স্বহৃদয় ব্যক্তি উহাদের সন্ধান পাইলে যোগাযোগ করুন ০১৭১২-****** ।
জমজভ্রাতা দের নাম কি কেঊ জানেন?
--------------------------------------------------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০