নিরন্তর যাত্রা
পোস্ট করার পর প্রথম মন্তব্যটা করেন ব্লগার ছন্নছাড়ার পেন্সিল। তার কাছে গল্পটা নাকি বেশ ভালো লেগেছে। তার ভাষায় আকাশ নাকি কাঁপিয়ে দিচ্ছিল সব। এরপর ব্লগার কালপুরুষ ভাই এসে একটা চমৎকার মন্তব্য করেন - “আকাশে হয়তো তারার অভাব কখনই হয়না। তবে শুকতারা সবাই হতে পারেনা। চমৎকার লিখেছেন। খুব ভাল লাগলো।" সত্যি বলতে বেশ অনুপ্রেরনা পাই। আর তখনই প্রথমবারের মত চিন্তা করি এই গল্পটাকে আমি আরো গুছিয়ে লিখবো।
বিশ্ববিদ্যালয় শেষে বাসায় ফিরতে ফিরতে বাসে চিন্তা করতে শুরু করলাম। নিরন্তর শব্দের অর্থটাই যেন গল্পের প্লটটা আমার মাথায় এনে দিল। আকাশের মত ছেলেরা নিরন্তর ছুটছে। কিন্তু কিসের পেছনে? সম্ভবত কোন আকাশই জানে না সেটা। পৌনে এক ঘন্টার বাস ভ্রমনে আমার মাথায় গল্পটা একটু একটু করে দাড়িয়ে যেতে শুরু করলো। আমি যেন আকাশকে দেখতে পাচ্ছিলাম তখন। আকাশের নিরন্তর ছোটা, আকাশের অতীত, আকাশের ভালোবাসা এবং আকাশের এলোমেলো জীবন। সব এক হয়ে বারবার আমার মাথায় একটাই কথা বলে যাচ্ছিল – বর্তমান প্রজন্মকে আমি কিছু বলতে চাই এ গল্পের মাধ্যমে। এ সূর্যদয় বঞ্চিত প্রজন্ম আমার গল্প পড়ুক বা না পড়ুক – আমি তাদের অন্তত একটা অংশকে জানিয়ে দিতে চাই তথাকথিত এই উন্মাতাল জীবনটা আসলে আয়নার অপর দিক থেকে দেখতে কেমন এবং এর পরিনতী কি হয় শেষ পর্যন্ত।
লিখতে শুরু করলাম নিরন্তর। পুরো গল্প তখন আমার মাথা থেকে বের হবার জন্য যুদ্ধ করছে। একের পর এক পর্ব লিখতে লিখতে আমি ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু গল্প যেন আর শেষ হয় না। পরবর্তি দশ দিনে লিখলাম দশটা পর্ব। কিন্তু তাতেও যেন অর্ধেকও শেষ করতে পারলাম না। জুলাই মাসে লিখলাম নিরন্তরের এগারো তম পর্ব। তারপর লেখা বন্ধ করে দিলাম। একটানা ব্লগিংই বন্ধ রাখলাম নভেম্বর পর্যন্ত। নভেম্বরের চার তারিখ প্রথম আলো ব্লগ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সেদিনই ব্লগিং শুরু করলাম সেখানে। আবার ফিরে আসতে লাগলো নিরন্তর লেখার ইচ্ছে। এবার ঠিক করলাম আর বড় গল্প নয়। নিরন্তরকে উপন্যাস হিসেবে দাড় করবো। ধীরেধীরে আবার গোছাতে শুরু করলাম নিরন্তর। এবার প্রথম আলো এবং সামহোয়্যার ইন – দুটো ব্লগেই প্রকাশ করতে শুরু করলাম। পাঠক এসে তাদের মতামত দিতে লাগলেন, আমিও নুতন উদ্যামে লিখতে লাগলাম। আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম শেষ দুটো পর্ব আলাদা ভাবে না দিয়ে পুরো উপন্যাসের সাথে এক সাথে দেব। অতঃপর এলো সেই ক্ষন। গত ১২ জুলাই সামহোয়্যার ইন এবং প্রথম আলো ব্লগে এক সাথে প্রকাশ করলাম আমার সম্পূর্ন উপন্যাস। দুই দিন পরই পাঠকের সুবিধার জন্য ই-বুক আকারেও প্রকাশ করলাম গ্রন্থটা। ফেইসবুকে এ্যাড দিলাম, বন্ধুদের অনুরোধ করলাম পরিচিতজনদের জানাতে।
এর পর এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটতে শুরু করলো। আমি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠি ডজন খানেক ইমেইল আর ফেইসবুক ম্যাসেজ নিয়ে। মোটামোটি সবাই আমার অপরিচিত মানুষ। তাদের ভালো লাগার অনুভুতি জানাতে মেইল বা ম্যাসেজ পাঠাতেন। সবাই একটা কথা বলছিলেন যে আমার উপন্যাসে একটা 'বক্তব্য' আছে যেটা তাদের ভালো লেগেছে। সুইডেনের কেটিএইচ থেকে সুব্রত দাশ জানান তার কাছে ভালো লাগার মূল কারন পুরো দৃশ্যপটের পূর্নাঙ্গতা। ঢাকা থেকে শাহ এম কামাল জানান তার কাছে মনে হয়েছে উপন্যাসটায় বর্তমান ফুটে এসেছে। একই অভিমত প্রকাশ করেন লুবনা আহমেদ এবং শায়লা শারমিনও। আরো অনেকেই ছোট করে কিন্তু চমৎকার মন্তব্য দিচ্ছিলেন যা আমাকে যারপরনাই ছুঁয়ে গিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় মেইলটা করেছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবরিনা ফরিদ। অদ্ভুত সুন্দর ভাবে সে কেটে কেটে নিরন্তরকে ব্যাখ্যা করেছে। এটা দেখে আমার শুধু একটাই কথা মনে হয়েছে - আমি আমার অনুভুতি প্রকাশে সফল, সীমিত পরিসরের মানুষের কাছে হলেও, আমি সফল।
এখন পর্যন্ত ১,৭০৫ বার নিরন্তর ডাউনলোড হয়েছে অফিসিয়াল সাইটটা থেকে। প্রতিদিনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পড়ছেন উপন্যাসটা। তাদের আগ্রহই আমাকে সাহস দিচ্ছে আগামী বই মেলায় নিরন্তর প্রকাশ করার। ভবিষ্যতের উপর মানুষের হাত নেই। আমি জানি না কি হবে, তবে এত এত ভালোবাসা সাহসটাকে উসকে দিচ্ছে নিঃসন্দেহে। খুব বলতে ইচ্ছে করছে - দেখা হবে বন্ধু, কথা হবে আগামী বই মেলায়। বাকিটা নিয়তির হাতে তোলা থাক।
(এই অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকে উপন্যাসটা ডাউনলোড করা যাবে এবং পাঠকের মন্তব্যও পড়া যাবে।)
২৩ জুলাই ২০০৯
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড।


ওয়াক্ফ সম্পত্তি আইন ২০২৫: ভারতের মুসলিম নিধন নীতির আইনগত চাবিকাঠি !
ভারত আজ আর গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয়—আজকের ভারত এক হিন্দুত্ববাদী নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক প্রকল্প, যেখানে সংবিধানকে অস্ত্র বানিয়ে একের পর এক সংখ্যালঘু নিধন চালানো হচ্ছে। 'ওয়াক্ফ সম্পত্তি আইন ২০২৫' তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ওরিয়ানা ফাল্লাচির সাক্ষাৎকার - Sheikh Mujibur Rahman's interview with Oriana Fallaci
(Interview with History বই থেকে, পৃষ্ঠা ১২২-১৩৫, বাংলায় ভাবানুবাদ)
"১৯৭২ সালে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফাল্লাচি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একটি তীব্র ও বিতর্কিত সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তার বই Interview... ...বাকিটুকু পড়ুন
মোদির সাথে ডঃ ইউনূসের সাক্ষাৎ এবং.....
মোদির সাথে ডঃ ইউনূসের সাক্ষাৎ এবং.....
'সাইড লাইনে সাক্ষাৎ" দেখে যারা উল্লাসে উচ্ছ্বসিত, আনন্দে উদ্ববেলিত....কেউ কেউ আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে গলাবাজি করছেন- ভারত ভুল বুঝতে পেরেছে, ডক্টর ইউনুস স্যারের কাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনূস বিদেশে দেশকে করছেন অপমান-অপদস্থ
দুর্নীতির কারণে তার যাওয়ার কথা ছিল জেলে, গেছেন তিনি বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টার শপথ নিতে। এটা খোদ মুহাম্মদ ইউনূসের স্বীকারোক্তি ছিল। তার দেশশাসনের আট মাসে বিদেশে যখন গেছেন তিনি, তখন স্বীকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=এখানে আর নিরাপত্তা কই!=
কোন সে উন্নয়নের পথে হাঁটছি বলো
এই গিঞ্জি শহর কি বাসের অযোগ্য নয়?
শূন্যে ভাসমান রাস্তা-নিচে রাজপথ
তবু কি থেমে আছে যানজট কিংবা দুর্ঘটনা?
দৌঁড়ের জীবন-
টেক্কা দিতে গিয়ে ওরা কেড়ে নেয় রোজ... ...বাকিটুকু পড়ুন