বলেছিলাম.........
বিভ্রম ক্যানভাস পুড়ে হবে ছাই,
যদি একবার উঠে দাঁড়াই!
এখানে হয়েছে চাষ -
বারোমাস,
সহস্র শতক জুড়ে
ঘুণে ধরা চেতনার আকাশ!
অচ্ছুত সংস্কার,
প্রথাবাদ নৌকোয়,
বনিতার দ্বারাকাংখী হয়ে,
করে গেছে ব্যভিচার -
আমাদের নতজানু বিবেকের পরে।
রোদজ্বলা সকাল
ঢেকে গেছে ছায়ামেঘ জলে ;
বিদ্রোহী অকপট সূর্য-
নিভে গেছে, ফোঁটা ফোঁটা
জ্বলন্ত রক্তকণা ফেলে।
বলি হয়েছে শত অপাপবিদ্ধ শরীর
নির্বিচারে ক্ষয়ে ক্ষয়ে,
মুছে গেছে অশ্রুজলরেখার আকুতি-
দুঃসহ যন্ত্রণা সয়ে।
আমি বলেছি তোমায়,
তুমি সূর্য হও-
তুমি বলেছ আমায়,
তুমি হও অগ্নি।
আমরা করেছি বুনন কেবল -
স্বপ্নের,
প্রতীক্ষার,
পশু গন্ধ আলোয়ান থেকে ঝেড়ে ফেলে-
মৃতদের ভীড়ে বেঁচে ওঠার।
কেবল জানিনি-
কেমন করে ছিঁড়ে দিতে হয়,
শৃঙ্খলের পরাকাষ্ঠা,
দৃপ্ত দুহাতের আঙ্গুলে।
তবু বলি আজ,
বলি তোমায়-
পড়ে থাক আবর্জনার স্তুপে,
মৃত বোধের রক্ত গন্ধ মেখে
ভ্রান্তির চাদরে শরীর ঢেকে।
আমি তবু দাঁড়াব উঠে-
জ্বালিয়ে করব ছারখার ,
তোমার পাশবিক চেতনার বালিয়াড়ি ;
অশ্রুর সলতে হয়ে যাবে অগ্নি চোখের পাপড়িতে-
জ্বালাব তোমার সব-
বুনোমোষ বর্বর নিয়মের সারি।
এবং নিজেও যাব জ্বলে
এক আকাশ নক্ষত্রের মত
আসে যদি সংঘর্ষে-
ধ্বংসপ্রাপ্তির কাল ;
তবু দাঁড়াব উঠে,
টাঙ্গাব ভয়শূন্য চেতনার দেয়াল।
আত্মপরিচয় খুঁজে খুঁজে-
অবশেষে হয়ে যাব নিঃশেষে শূন্য,
তুমি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দাও আমায়,
তবু গ্রীবা হয়ে রবে আকাশসম উঁচু ;
কেননা আমাদের,
পাবার আছে বহু-
শুধু হারাবার নেই কিছু!
উত্সর্গ: প্রিয় শিরীষকবি!
যার কবিতায় শব্দেরা বীণার ঝংকার হয়ে রিমঝিম করে বাজে! আমি তাঁর মত করে বোধকে অসাধারণ উপমা আর চিত্রকল্পের ডালিতে সাজাতে পারি না। শুধু সোজা কথাটা সোজা করে বলতে পারি........