আজ থেকে ঠিক ৬৫ বছর আগের ঘটনা। সময়টা ১৯৪৭সালের জুলাইয়ের ২ তারিখ। Roswell শহর থেকে ৭৫কি:মি: দূরের একটি ফার্মে একটি বস্তু ক্র্যাশ করে পড়ে যায়। বিমান ক্র্যাশ করার পর যেরকম দাগের সৃষ্টি হয় সেই জমিতে সেরকম দাগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই বস্তুটি কোন বিমান নয়। এমনকি হয়তো এই পৃথিবীর তৈরী কোন কিছু নয়। এমন একটা জিনিস ছিলো সেটি যা নিয়ে পৃথিবীতে যুগের পর যুগ তর্ক হতে থাকবে। সৃষ্টি হবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নজিরবিহীন লুকোচুরির খেলা। হয়তো সত্যকে চাপা দেয়া এক চেষ্টা।
এই ছবিটি কে তুলেছিলো বা ছবির সত্যতা জানা যায় নি
ঘটনার শুরু এবং আসল ঘটনা
এবার চলুন কয়েকদিন পিছন থেকে একটু ঘুরে আসি। ১৯৪৭ সালের ২৪শে জুন পাইলট Kenneth Arnold ডিস্ক বা ঘূর্ণায়মান সসার আকৃতির বস্তু প্রচন্ড তীব্রবেগে ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে উড়তে দেখেছেন বলে তার বেজে রিপোর্ট করেন। ঠিক সেই দিনটির পর থেকেই আকাশে ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তু অনেকে উড়তে দেখেছে বলে সমগ্র আমেরিকার পেপারে রিপোর্ট আসতে শুরু করে।
এরপর ১৯৪৭সালের জুলাই মাসের ২তারিখের Roswell শহরের ঘটনা। একটি ফার্মের মালিক William "Mack" Brazel তার জমিতে সেদিন বিশাল আকারের কোন বস্তু ক্র্যাশ করার দাগসহ একটি ডিস্ক আকৃতির বস্তু এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রচুর মেটালিক টাইপের বস্তু দেখতে পান।
সেই বিখ্যাত ক্র্যাশ সাইট
কিন্তু তিনি সেগুলো নিয়ে বেশী ঘাটতে ভয় পেতে লাগলেন। এমনকি তেমন কাউকে না জানিয়ে পরিচিত কয়েকজনের পরামর্শে তিনি সাথে সাথে স্থানীয় শেরিফ Wilcox এর কাছে ব্যাপারটা জানান। তারপর কি জানি কি বুঝতে পেরে শেরিফ সাথে সাথে Roswell শহরের USAAF airbase এ যোগাযোগ করে বলেন যে “তারা দূর্ঘটনায় আক্রান্ত ডিস্ক আকৃতির একটি বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন।”
সেই USAAF airbase বেজ কমান্ডার Colonel William Blanchard সাথে সাথে তার প্রধান ইন্টিলিজেন্স অফিসার Major Jesse Marcel এবং Sheridan Cavitt সেই জায়গাটিতে আসল ঘটনা জানতে এবং তদন্ত করতে পাঠান। Marcel এবং Cavitt সেই জমির মালিককে নিয়ে সেই জায়গাটিতে যায়।
তিনজন সেখানে যাওয়ার পর আসলে কি করেছিলো সেটা আজও সঠিক করে জানা যায়নি। কারণ কাউকে সেই জায়গাটির ধারেকাছেও ঘেষতে দেয়া হচ্ছিলো না। অনেক চেষ্টা করেও পরে সেই জমির মালিক Brazel এর কাছ থেকে কোন কিছুই জানা সম্ভব হয়নি।
শিল্পীর চোখে সাইটটিতে যাওয়া তারা তিনজন
তারা সেদিন অর্ধেক ধ্বংসাবেষ নিয়ে ফেরত যায়। সাথে সেই জায়গাটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়। কারো পক্ষে ঢুকাতো দূরের কথা দেখাও অসম্ভব হয়ে পড়ে সেই জায়গাটিকে। পুরো জায়গাটিকে সামরিক কর্মকর্তারা ঘিরে রাখে। জুলাইয়ের ৭তারিখের মাঝে সেই জায়গাটিকে একদম পরিস্কার করে ফেলা হয়। সবকিছুর চিহ্ন মুছে ফেলা হয় সেখান থেকে।
অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলন
পরেরদিন ৮তারিখে বেজ কমান্ডার Col. Blanchard একটি অফিসিয়াল প্রেস রিপোর্ট রিলিজ করে। যাতে স্পষ্ট করে লেখা ছিলো ‘গত সপ্তাহের কোন একটা সময়ে’ Roswell এর একটি জমিতে ‘ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার’ পাওয়া গেছে। যা তাদের অফিসার দ্বারা নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং উচ্চতর পরীক্ষার জন্য বিশেষ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে।
পেপারে ছাপানো সেই প্রেস রিলিজ
United Pressও তাদের রিপোর্টে বলে যে সেই জমির কাছাকাছি স্থানীয় বেশ কয়েকজন কয়েকদিন আগে রাত ৩টার দিকে সেই জমির কাছে অদ্ভূত নীল রংয়ের আলো দেখতে পেয়েছেন।
অফিসিয়াল প্রেস রিপোর্টে খুব স্পষ্ট করে এবং কনফার্ম করেই সেই ‘ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার’ এর কথা বলা ছিলো। অন্য কিছু নয়। তারা স্পষ্ট করেই বলে দেয় যে তারা একটি অসনাক্ত ডিস্ক বা সসারের সন্ধান পেয়েছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী দম্পত্তির ভাষ্য
সেখানকার বাসিন্দা Mr. and Mrs. Dan Wilmot সম্ভবত একমাত্র মানুষ ছিলেন যারা দাবি করেন তারা সেই উড়ন্ত সসারটিকে দেখেছিলেন। তারা তাদের বাসার বাইরে বসে ছিলেন সেদিন। রাত মনে হয় ১০টা বাজে তখন। হঠাৎ আকাশের দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে তারা তীব্র আলোর একটি বস্তু প্রচন্ডবেগে উড়ে আসতে দেখেন। ঠিক সেই জমির কাছাকাছি। সেটি মনে হয় ৪০-৫০সেকেন্ড দৃশ্যমান ছিলো। সাথে সাথে আবার গায়েব হয়ে যায় তা।
তাদের ধারণায় বস্তুটি সম্ভবত ১৫০০ ফুটের মত উপরে ছিলো এবং প্রায় ঘন্টায় ৪০০-৫০০ কিমি বেগে ছুটতে ছিলো।
এই দম্পতি সেই শহরের সবচেয়ে সম্মানিত বাসিন্দা। সুতরাং তাদের কথা কেউ উড়িয়ে দিতে পারে নি পরে।
সত্যকে ধামাচাপা এবং বিখ্যাত লুকোচুরির খেলা
সবকিছুই চলছিলো স্বাভাবিক নিয়মে। সবাই প্রস্তুত ছিলো হয়তো মনে মনে যে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক খবর মনে হয় সবাই সামনেই শুনতে যাচ্ছে। সরকার থেকেই ঘোষণা আসবে যে এই সৌরজগতে আমরা একলা নই। সেই ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তুটি আমাদের পৃথিবীতে তৈরী কোন জিনিস নয়। অন্য কোন গ্রহে সৃষ্টি হয়েছে এটির।
কিন্তু ঠিক একদিন পরেই জুলাই মাসের ৯ তারিখ থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত লুকোচুরীর খেলা শুরু হয়ে গেলো। সত্যকে লুকিয়ে ফেলা হলো।
আগেরদিন স্বীকারের ঠিক ১দিন পর Brig. Gen. Roger M. Ramey নতুন করে সংবাদ সম্মেলন করে সবার সামনে ঘোষণা দিলেন যে রহস্যের সমাধান হয়ে গেছে। তারা একটি ছোট্ট ভুল করেছিলো। আসলে আগেদিনের প্রেস রিলিজে তারা যে ডিস্ক বা সসারের কথা বলেছিলো সেটি সম্পূর্ণ ভুল। উদ্ধার করা সেই বস্তুটি হলো একটি সাধারণ weather balloon !!!!! যেটি সেই জমিতে দূর্ঘটনায় পড়ে কয়েকদিন আগে।
১দিনের মাঝে সব অস্বীকার
সেই জমির মালিক এবং প্রথম সবাইকে খবর দেয়া Brazel এরও কথার সুর পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি বলেন যে, আসলে সেই সময়টিতে আমি বেশ তাড়াহুড়া ও টেনশনে ছিলাম। তাই ঠিকমতো সেই বস্তুটির দিকে তাকাতে পারিনি। তাই হয়তো ভুল বলে ফেলেছিলাম। আসলে সেটি একটি সাধারণ Weather Balloon ছিলো। আর কিছুই না!!!!!!!!
তদন্তকারী এবং আগেরদিনের প্রেস রিলিজ দেয়া Major Marcelও তার ভুল বুঝতে পেরে একদিনের মাঝে সবাইকে নতুন কথা শুনাতে থাকেন!!!! তিনি আগেরদিনের প্রেস রিলিজের স্টেটম্যান্ট সম্পূর্ণ ভুল বলে বলেন যে আসলে তারা একটি Weather Balloon এর ধ্বংসাবেশ উদ্ধার করেছিলো!!!!! এমনকি উপস্থিত সবাইকে সেই বেলুনের ছোট ধ্বংসাবেশও দেখানো হয়।
এইটা নাকি সেদিন উদ্ধার করেছিলো!!! কিসের মাঝে কি??
আজব এক অবস্থা!!!! সাংবাদিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ সবাই অবাক। এভাবে মানুষ মিথ্যা কথা বলতে পারে ???? তাও আবার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা!! একদিনের মাঝে একটি ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার Weather Balloon হয়ে যায় কি করে??? আসলে কি লুকাতে চাচ্ছে তারা??? সবাই প্রতিবাদ করে। কিন্তু সরকার আমলেই নেয় না কারো কথা।
পরবর্তীতে ফাস হয়ে যাওয়া কিছু বক্তব্য
এভাবেই একটা ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে সরকার। কিন্তু সেই Major Marcel পরে একসময় এই কথাটা স্বীকার করে যে তিনি Brig. Gen. Roger M. Ramey নির্দেশে পরে সব কাজ করে গেছেন। উপরের মহল থেকে এসব অর্ডার আসতে শুরু করে এবং একজন অফিসার হিসেবে তিনি সব মানতে বাধ্য। যদিও Marcel আসলে সেদিন তারা সেই জমিতে আসলে কি পেয়েছিলো এরকম প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
Major Marcel
সেই জমির মালিক Brazel আরো শক্ত মানুষ। তার মুখ থেকে জুলাইয়ের ৯তারিখের পর থেকে তিনি বেচে থাকা পর্যন্ত কোন কথাই বের করা যায় নি। অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে তার মুখ থেকে সত্য কথাটি বের করার জন্য। জানতে চাওয়া হয়েছে ঠিক কোন কারণে তিনি মাত্র ১দিনের মাঝে তার বক্তব্য পরিবর্তন করে ফেললেন!!! কিন্তু কোন কথাই বলতে চাইলেন না আর তিনি এই ব্যাপারে। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে এক সাক্ষাতকারে স্বীকার করেন যে জুলাইয়ের ৮তারিখে তার বাবাকে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে শপথ করানো হয় যে তিনি এই ঘটনার ব্যাপারে কোনদিন কারো কাছে মুখ খুলবেন না। ঠিক কি বিষয়ে কথা বলবেন না এইটার কারণও তিনি তার ছেলেদের দেন নি। শুধু ছেলেদের তিনি এই শপথের ঘটনার কথা জানিয়ে যান।
জমির মালিক বিখ্যাত William "Mack" Brazel
এভাবেই একটি গুরুত্বর্পর্ণ ঘটনাকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা ভাবেনি এই বিতর্ক আজ এতদিন পরেও ৬৫বছর পরেও এসে চলবে। মানুষজন বিশ্বাস করতেই নারাজ সরকারের এইসব দাবিকে। সবার ধারণা আসলেই সেদিন পৃথিবীর বাইরে থেকে কিছু একটা এসেছিলো। যেটা সাধারণ মানুষকে সরকার দেখতে দিতে চায় না। আজ ৬৫ বছর পরেও সেই Roswell ঘটনার ফাইলটি আমেরিকার টপ সিক্রেট ফাইলটির মাঝে একটি। সরকারের অনেক উচু লেভেলে হাতেগোণা কয়েকজন সেই ফাইলটি দেখতে পায়। তারাই জানে আসল ঘটনা।
এখন অন্য সবার মতো আমারও শুধু তাদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন:
* একটি ওয়েদার বেলুন এবং ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তুর মাঝে আকার-আয়তনে অনেক পার্থক্য। ডিফেন্সের উচু অফিসারদের কি করে এত বড় ভুল হয়ে গেলো যে তারা সামনা সামনি দেখে এবং হেডকোয়ার্টারে বস্তুটি ধ্বংসাবেষ পৌছে দেয়ার পরেও জুলাই ৮তারিখ পর্যন্ত সেটিকে ডিস্ক বা সসার বলে ভেবে নিয়েছিলো???
** আচ্ছা ঠিক আছে আপনাদের কথাই ঠিক। এইটা আসলে ওয়েদার বেলুনই। ওয়েদার বেলুনের দূর্ঘটনায় পড়ার অনেক ইতিহাস রয়েছে আমেরিকায়। তাহলে Roswell এর এই সাধারণ একটি ওয়েদার বেলুনের দূর্ঘটনাকে এত নিরাপত্তা এবং গোপনীয় করে রাখার দরকার কি?? গোপন করে রাখার একটি সীমা আছে......সাধারণ একটা ঘটনাকে এতই গোপনীয় করে কেন রাখা হলো যে আজ ৬৫বছর পরেও কেন কেউই এই সম্পর্কে জানতে পারবে না???
সরকার থেকে দেয়া এই রিপোর্টটি পড়ুন। ১৯৫০সালের এই রিপোর্টেও সেইখানে সসারের মতো বস্তু পাবার কথা লেখা আছে।
আর Major Marcel তো পরে স্বীকার করেই নিয়েছেন যে Brig. Gen. Roger M. Ramey এই ঘটনাটি নিয়ে একটি কভার স্টোরি বানিয়েছেন, মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন এবং তিনি তার নির্দেশ অনুযায়ী সেসময় কাজ ও সব কথা বলে গেছেন।
এলিয়েন থাকার দাবী:
আরেকটা মজার ঘটনা পরে এখনো অনেকে বলে। বলা হয়ে থাকে যে এই Roswell ক্র্যাশ সাইট থেকে সেদিন বাইরের পৃথিবীর কোন বা এলিয়েন উদ্ধার করা হয়।
এটা নিয়ে পরে অনেকের মত:
*সেই বস্তুটির ধ্বংসাবেষ যখন হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হচ্ছিলো তখন কঠোর গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়া হয়। সরকারের অণেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আনাগোনা দেখা শুরু হয় সেখানে। সবকিছুকে ছাপিয়ে একটি বিশেষ বক্সের মতো জিনিসকে নিয়ে সবার মাঝে চাপা উত্তেজনা ছিলো। কয়েকজন ছাড়া আর কাউকে সেটির কাছে ঘেষতে দেয়া হচ্ছিলো না।
**সেই জমির মালিক Brazel তার মৃত্যুর আগে তার ছেলেকে বলে গিয়েছিলেন যে তিনিও সেদিন বস্তুটি ছাড়াও অণ্য কিছু একটা দেখতে পেয়েছিলেন। মানুষ নয় অন্য কিছু!!!!
***সবচেয়ে অবাক করার মতো কথা বলেন Project Apollo astronaut Dr. Edgar Mitchell। তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন যে: Roswell এর ঘটনা সবার থেকে চাপিয়ে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভুল বুঝবেন না আমি কিন্তু একজন নভোচারী হিসেবে অনেক কিছুই জানতে পারি পরে এসে। খুব কম মানুষই ঘটনাটি জানে এবং আমার ধারণা মতে কোন এলিয়েন পাওয়া যেতে পারে সেদিন।
###সবশেষে এই Roswell এর ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই চমৎকার ডকুমেন্টারীর লিংকটি দিলাম। জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই দেখবেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাত আছে। সায়েন্টিফিকভাবে পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি দিয়ে আসল ঘটনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
পড়া শেষ!!! কি মনে হয় এখন আপনার??? কি হয়েছিলো আসলে সেদিন??? আসলেই কি সেদিন পৃথিবীর বাইরের কোন কিছু পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিলো??? কেনই বা সবার কাছে থেকে সেদিন সবকিছু গোপন করে রাখা হলো???? তাহলে এমন কি তথ্য পেয়েছিলো তারা সেদিন যা মানুষ জানলে সমস্যা হতে পারে???? না আসলেই সেটা ওয়েদার বেলুন ছিলো???? তাহলে এত নাটক এবং নজিরবিহীন নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তাই বা কেন?????
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭