ব্যাপক গবেষণা করে এই দূর্দান্ত ১০টা টেকনিক বানিয়েছি। আজ থেকে কাজে লেগে যান সবাই বা ভবিষ্যতের জন্য শিখে রাখুন। বিফলে মূল্য ফেরত।
চরম জেলাস ফিল ও মন খারাপ করতে থাকবেন
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট। ছ্যাকা খাবার পর আপনার প্রেমিকার সাথে যদি নতুন কোন ছেলেকে দেখেন তাহলে তাহলে মেয়েটির সামনেই হালকা নাটক করতে হবে আপনাকে। মেয়েটি এবং নতুন ছেলেটির দিকে একদম একপলকে তাকিয়ে থাকবেন। এমনভাবে তাকানো শুরু করে দিবেন যে তারা যেন অস্ব:স্তি ফিল করা শুরু করে। নিজের চেহারা চরম হতাশাগ্রস্ত এর মতো বানিয়ে ফেলবেন। যেন কষ্টে আপনার বুক ফেটে যাচ্ছে। তারপর কিছুক্ষণ এরকম করে দাড়িয়ে খুব কষ্ট যেন পেয়েছেন এরকম ভাব দেখিয়ে টলতে টলতে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে সেখান থেকে বেরিয়ে যাবেন।
মেয়েটির ছায়া হয়ে থাকুন কিছুদিন
খুবই বিপদজনক একটা টেকনিক। খুবই সাবধানের সাথে ব্যবহার করতে হবে। মেয়েটি যাতে ভুলেও আপনার আসল উদ্দেশ্য টের না পায়। তাহলে সব শেষ। ভান করবেন যেন আপনি আড়াল থেকে মেয়েটিকে এখনো দেখে যাচ্ছেন। ভুলেও ইভটিজার হারামীদের মতো কিছু করবেন না। মেয়েটির সাথে ভুলেও কথা বলতে যাবেন না। দূর থেকে এমনভাবে মেয়েটির দিকে করুণ নয়নে তাকিয়ে থাকবেন যেন মেয়েটিকে এই একটু দেখতে পারাটাই আপনার জন্য সব। ভান করবেন এতেই আপনি মহা খুশী। এমন দূরত্ব বেছে নিবেন যাতে মেয়েটি আপনাকে দেখে ফেলে কিন্তু সে যে ভাবে যে আপনি চাচ্ছেনই না যে মেয়েটি আপনাকে দেখে ফেলুক। বাংলা মুভির সিন আরকি। কিছু করার নাই। করতে হবে।
সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ
সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ এইটা। ব্যাপক কষ্টেরও বটে। ব্রেকআপ হবার পরেও একটা ছোট আশা থাকে এই যোগাযোগ মাধ্যম। মনে হবে হয়তো মেয়েটি ফেসবুকে নক করতে পারে!!! আবার হয়তো সে এই ফোন দিলো!!! লাভ নাইরে ভাই। মেয়েদের হৃদয় বড়ই শক্ত। এত সহজে ভুলবে না সব। এক কাজ করেন.......মেয়েটি যেকোন কারণেই যদি আপনাকে ফোন দেয় ফোন ধরবেন না। মেসেজ পাঠালে সেটারও রিপ্লাই দিবেন না আপাতত। ফেসবুকেও মেয়েটির সাথে আপাতত কোনপ্রকার যোগাযোগ করার দরকার নাই। শুরুতেই এই কাজটি করলে ভালো হয়। তবে বেকুবের মতো আবার রিমুভ করে দিয়েন না। হঠাৎ করে তাহলে মেয়েটি হয়তো বুঝতে পারতে পারে যে সে আপনাকে মিস করছে। বলাও যায় নারে ভাই। হতেও পারে।
মেয়েটিকে জেলাস ফিল করান
এইটা আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চরম ভেজালের একটি কাজ। টেকনিকটা ক্লিক করলে কেল্লাফতে আবার ক্রসফায়ারে পড়ে যাবারও তুমুল সম্ভাবনা আছে। সাবধানে ব্যবহার করতে হবে এই টেকনিক। টেকনিকটির একমাত্র পয়েন্টই হলো মেয়েটিকে চরমভাবে জেলাস ফিল করাতে হবে। নিজের কোন খুব ভালো মেয়ে বন্ধুকে নিজের ব্রেকআপের সব গল্প বলে কিছুদিনের জন্য তাকে রাজিক করান। যাতে সে কিছুদিনের জন্য আপনার গার্লফ্রেন্ডের অভিনয় করে। বিশেষ করে পুরনো প্রেমিকার সামনে। লাভ হলো আপনার পুরনো প্রেমিকাটি চরম জেলাস ফিল করতে পারে। ঠিকমতো সব ক্লিক করলে সুখবর পেয়ে যেতে পারে। আর বিপদজনক সমস্যাটা হলো আপনি নতুনভাবে জীবনভাবে নিজের জীবন শুরু করেছেন এই ভেবে আবার না আপনার পুরনো প্রেমিকা দূরেই সড়ে যায়!!!! সুতরাং বুঝেশুনে!!!!!
নিজেকে বাবু সাজিয়ে রাখুন
ব্রেকআপের পর না ঘুমিয়ে, শেভ না করে, চুল কাটা বন্ধ রেখে চেহারায় দেবদাস ভাব আনার দরকার নাই কোন। এইটা চরম বেকুবি। এসব দেখলে মেয়েটি আরো হাসবে। একদম ক্লিন শেভ করে, চুলটুল কেটে একদম ফিট বাবু হয়ে যান। চেহারায় নায়ক ভাব নিয়ে আসুন।
উইশ করতে ভুলবেন না
মনে রাখবেন আপনি ব্র্যাড পিট বা লিওনার্দো না। একদম বেশী ভাব নেয়ার আবার দরকার নেই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ব্রেকআপের পরেও মেয়েটিকে তার জন্মদিনে বা মেয়েটির জীবনের ভালো কোন সংবাদ পেলে তাকে একটা ছোট মেসেজ দিয়ে উইশ করবেন। মেসেজটা যেন একদম ছোট হয়। পুরনো কাসুন্দি মেসেজ লেখার দরকার নাই। ছোট্ট করে স্মার্ট একটা মেসেজ। যাতে মেয়েটির ধারণায় থাকে যে আপনি তার একজন শুভাকাংখী।
মেয়েটিকে খোচা দিয়ে কথা বলুন
ব্রেকআপের পরেও আপনাদের সম্পর্ক এখন বন্ধ হিসেবে না থাকলেও হয়তো প্রায়ই আপনাদের দেখা হয়। এসময় মেয়েটির সাথে গদগদ হয়ে কথা বলা বন্ধ করুন। হালকা শক্ত হয়ে যান। পারলে মেয়েটিকে খোচা দিয়ে কথা বলুন। এমন কথা যেটা মেয়েটির গায়ে লাগতে পারে। দেইখেন আবার একসেস খোচা দেয়া শুরু করে দিয়েন না। তাইলে দেখাটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অতি চালাকির সাথে টেকনিকটা ব্যবহার কইরেন।
মেয়েটির দিকে করুণভাবে একপলকে তাকিয়ে থাকুন
ধরুণ মেয়েটিসহ কয়েকজন আপনার সামনে বসে গল্প করছে। আবার হয়তো হঠাৎ করেই মেয়েটি আপনার সামনে পড়ে গেছে হঠাৎ করে। একদম একটু দূরে থেকে একপলকে করুণ চোখে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকুন। মেয়েটিসহ সবার যেন সেটা চোখে পড়ে। আপনাকে নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসি শুরু হয়ে যেতে পারে তাদের মাঝে। একদম ইগনোর করে যান সেসব। কিছুক্ষণ এভাবে তাকিয়ে থেকে চরম হতাশার ভান করে চলে যান। ভুলেও আবার আগ বাড়িয়ে কথা বলদে যাইয়েন না। আপনার জন্য তাদের একটু খারাপ লাগতেও পারে।
ইমোশনাল সিন ক্রিয়েট
অতি সাবধানতার সাথে কিছু ইমোশনাল সিন ক্রিয়েট করতে হবে আপনাকে। ধরেন আপনি জানেন যে মেয়েটি তার বন্ধুদের সাথে একটু পরই একটা জায়গায় আড্ডা দিবে। সাথে সাথে মেয়েটির আগে সেখানে চলে যাবেন। এমন একটা জায়গা বসবেন যেখানে থাকলে মোটামুটি সব জায়গা থেকে আপনাকে দেখা যায়। এইবার কানে একটা এয়ারফোন লাগিয়ে করুন টাইপের গান শোনার ভাব নেন। যারা সিগারেট খায় তারা হাতে একটা সিগারেট ধরান। খুব হতাশভাবে কোন একদিকে একপলকভাবে তাকিয়ে থাকেন। সিনটা এমনভাবে সাজাবেন যাতে মেয়েটিসহ তার বন্ধুদেরও আপনার জন্য মনটা খারাপ হয়ে যায়। ব্যাপক কাজে দিবে কিন্তু এই টেকনিক। অত্যন্ত সাবধানতার সাথে সুযোগ পেলেই এরকম আরো কিছু ইমোশনাল সিন ক্রিয়েট কইরেন।
ড্যাম কেয়ার ভাব নেন
(এইটা ব্যাকআপ। অন্যগুলো কাজ না হলে চেষ্টা কইরেন)
ব্রেকআপের কষ্ট নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখেন আপাতত। কান্নাকাটি যা করার সবার আড়ালে কইরেন। সবার সামনে বিশেষ করে মেয়েটি বা তার বন্ধুদের সামনে একদম ড্যাম কেয়ার ভাব নিয়ে থাকেন। ব্রেকআপ হয়েছে.....তাতে কি??? এইটা কোন ব্যাপার হলো??? ধুর!!! এই সব জিনিস নিয়ে আমার ভাবার সময়ই নেই। এরকম ভাব মেরে থাকেন। পারলে সবার সাথে নরমালি বিহেভ করেন। যাতে মনে হয় ভুলেই গেছেন সব। একটু হলেও অবাক হবে সবাই আপনার আচরণে।
*** যদি আসলেই মেয়েটিকে ফিরে পেতে চান তাহলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। মেয়েটি আরেক ছেলের সাথে প্রেম করে সুখে আছে। তার আনন্দই আমার সুখ। এইসব বাংলা সিনেমামার্কা চিন্তাভাবনা অফ করেন। আরেক ছেলে আমাদের মাঝখানে আসবে মানে ??? ফাজলামী নাকি!!! বললেই হলো!!!! শেষ রক্ত থাকা পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো আমি।
*** কিছু টেকনিক বিপদজনক আছে। সাবধানে ব্যবহার না করলে উল্টা ক্রসফায়ারে পড়ে মান-ইজ্জতসহ সব হারাতে পারেন। তাই একটু সাবধানে।
*** কোনভাবেই নিরাশ হবেন না। একদম মেয়েটির বিয়ে হবার আগ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকুন। বিয়ে হলে গেলে সব আশা বাদ দেন।