ষড় ঋতুর দেশ আমরি বাংলাদেশ। শীতের যাবো যাবো ভাব ও ঋতুরাজ বসন্তের আগমনেহলদে রঙে রাঙ্গানো অপরূপ একটি মাস এই ফেব্রুয়ারি। বসন্ত এসে অপরূপ সাজে সাজিয়ে দিয়ে যেন ১৮ কোটি বাংলাদেশীদের মনে যেন নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মাস।
বিভিন্ন কারণে এই মাসটি আমদের ইতিহাসে আনন্দ এবং বেদনার, সুখ ও দুঃখের হাসি এবং কান্নার, এক অতুলনীয় মাস হয়ে আছে।এই মাসটিতে মিশে আছে আমার কথা বলার ও ভাব প্রকাশ করার ভাষাকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেওয়ার অহংকার, আছে গণতন্ত্র হত্যাকারী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরার করুণ স্মৃতি, এই মাসটিতেই বসন্ত এসে সাজিয়ে দেয় অপরূপ বাংলাদেশকে। এই মাসেই আমরা হারাই ৫৭ জন মেধাবী সেনা অফিসারকে। কে বা কারা পাক হানাদার বাহিনীর মত গভীর রাতে আমাদের পিলখানায় হামলা করে খালি করে ৫৭ জন মায়ের বুক, বিধবা করে ৫৭ জন বোনকে , বাবা হারা হয় অনেক সন্তান।
সামুর ব্লগারদের জন্যও এই মাসটি খুব শোকের । আজ থেকে দুই বছর আগে অর্থাৎ ১০ ই ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে আমরা আমাদের প্রিয় সহ ব্লগার মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদকসাগর সরওয়ার ভাইকে হারাই। গভীর রাতে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে সাগর ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে নির্মম ভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। যে হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো হয়নি। অথচ ৭৩৭ দিন শেষ হয়ে গেলো আজ।
বেদনা বিধুর একুশে ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশীরা যে সব বিষয় গুলো নিয়ে অহংকার করে তার মধ্যে একটি হলও ২১ শে ফেব্রুয়ারি।১৯৫২ সালের এই দিনে শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা বলার জন্য বুকের রক্ত দিয়ে জীবন দিয়েছেন বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। রচিত হয়েছে সে বিখ্যাত গান যা শুনলে এখনো রক্তে শিহরন সৃষ্টি হয । আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ? দীর্ঘ সংগ্রাম ও ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ থেকে ১৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর জন্ম নেয় সুজলা সুফলা সোনার বাংলাদেশ। আমরা লাভ করি স্বাধীনতা। অর্জন করি বাংলা ভাষায় কথা বলার পূর্ণ অধিকার। একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে দিনটি। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্য-দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ - এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছিলো। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাংলাদেশ । পরে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্য বিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।
ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে র ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুণরায় রাজপথে নেমে আসে। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তখন থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় ‘শোক দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাধিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলে বই মেলা ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে করুণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা' । বই মেলা উপলক্ষে বাংলা ব্লগ গুলোতে বিরাজ করেউৎসব মুখর পরিবেশ। সামুর ব্লগারদের মধ্যেও যুক্ত হয় এক নতুন আমেজ। বই মেলা উপলক্ষে সামুতে আসে অনেক পোস্ট। প্রেমিক তার প্রেমিকার হাত ধরে ঘুরতে যায় বই মেলায়।
আমরা বাংলাদেশীরা মাসটিকে গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করি এবং আমরণ করে যাবো।এই মাসে ১৮ কোটি বাংলাদেশী মেতে থাকে এক উৎসব মুখর পরিবেশে।
বেদনা বিধুর ১৪ই ফেব্রুয়ারিঃ যদিও দিবসটি বাংলার ইতিহাসে এক বেদনা বিধুর ইতিহাস ও স্বৈরাচার পতন আন্দোলন এর করুণ স্মৃতিচারণ করে তারপরও আধুনিক প্রজন্ম এর কাছে দিবসটিকে ভালোবাসা দিবস নামে পরিচিত করে দিয়েছে সাম্রাজ্যবাদীরা। রক্তের অক্ষরে লেখা শহীদের নাম ভেসে গেছে ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে। প্রিয় ব্লগার দিনমজুর ভাই এর গত বছরের ১২ ই ফেব্রুয়ারিতে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস না ভ্যালেন্টাইনস ডে? - দিবস বাণিজ্যে বিবশ তারুণ্য ! শিরোনামে লেখা এই পোস্টে সুন্দর বিবরণ রয়েছে। সময় করে পোস্টটি অবশ্যই পড়ুন।
এ বিষয়ে আরও সুন্দর বর্ণনা করে লিখেছেন ব্লগার রাজনীতি বিশ্লেষণ ভাই তার এই পোস্টে
১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ছাত্র জমায়েত। মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতি প্রত্যাহার, বন্দী মুক্তি ও জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে এই জমায়েত হয়েছিল। পরবর্তীতে যা পরিণত হয়েছিলো এক বিরাট প্রতিরোধে।জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দিপালীসহ সারাদেশে প্রাণ দিল ১০ জন। সরকারি হিসাবে গ্রেপ্তার হয় ১হাজার ৩১০ জন। সেই থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি হয়ে ওঠে মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ চেতনার দিন। সে থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে। ( সুত্র প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ সহ দেশের সকল দৈনিক)। সেদিন মিছিলে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতা মোস্তাক হোসেনের বর্ণনা মতে, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আরো সুশৃঙ্খল, আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ছাত্ররা কর্মসূচিতে যোগ দেন। মিছিলের প্রথমে শতাধিক ছাত্রীর অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো। খুবই শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল, উৎসবের মতো অনেকটা। ব্যারিকেডের সামনে যখন মিছিল যায় হাইকোর্টের গেট ও কার্জন হল-সংলগ্ন এলাকায়, তখন মেয়েরা ব্যারিকেডের সামনে বসে পড়েন। নেতারা তারকাঁটার ওপর উঠে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। মিছিলটি ছিল হাইকোর্টের গেট থেকে বাংলা একাডেমী পর্যন্ত। কিন্তু কোনো উসকানি ছাড়াই তারকাঁটার একদিক কিছুটা সরিয়ে রায়ট কার ঢুকিয়ে রঙিন গরম পানি ছিটাতে শুরু করে পুলিশ। এরপর ভেতরে ঢুকে বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। সাধারণ ছাত্ররা তখন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ তখন ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন জয়নাল। সেদিন জয়নালকে গুলিবিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাঁর শরীর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে পুলিশ। বেয়নেট ফলা আর জয়নালের শরীর থেকে চুইয়ে পড়া রক্ত বাংলার পথ-প্রান্তর ভাসিয়ে দেয়। শুধু জয়নাল নয়, ছাত্রদের ওপর পুলিশি তা-বের সময় শিশু একাডেমীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা দিপালী নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তবে দিপালীর লাশ পুলিশ গুম করে ফেলে। জয়নাল পড়েছিলেন কার্জন হলের মধ্যে। তাঁকে ধরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে যেসব ছাত্র সকালে মিছিলে আসেননি, তাঁরা বিকেলে জয়নালের জানাজায় বটতলায় উপস্থিত হন। হাজার হাজার সাধারণ মানুষও উপস্থিত হয়।’
২৫ শে ফেব্রুয়ারি হায়েনার হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হয় ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাঃ আজ থেকে ঠিক ৫ বছর আগের ঘটনা। দিনটি ছিলো ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি।এই দিনের নৃশংসতা জাতির জন্য কলঙ্কিত এক ইতিহাস।মাত্র দু’দিনের নারকীয় নৃশংসতায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ একসঙ্গে ৭৫ জনকে হত্যাযজ্ঞের বীভৎস ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ১০০ এর ও বেশি সেনা পরিবার কিছু বি ডি আর এর পৈশাচিক আচরণে ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। সেনা পরিবার শুধু নয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অশ্রুতেও সেদিন বাংলাদেশের আকাশ বাতাস ভারি উঠেছিলো।আমাদের সেনা বাহিনী আমাদের গর্ব।২০১০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রায় ১০,৮৫৫ সৈন্য সারা বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তি-রক্ষী বাহিনীতে কর্মরত আছে, যা পৃথিবীর অন্য যে-কোন দেশ হতে বেশি। আমাদের বিডিয়াররা ছিলো প্রচুর দেশপ্রেমিক । ২০০১ সালের কথা মনে কি পড়ে? ভারতীয় কুকুর বাহিনী বি এস এফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু সেদিন বাংলার বাঘ বীর বি ডিয়ার রা তাদের কুকুরের মতো তাড়িয়ে ছিলো। সেদিন ৩ বিডিআর সদস্য নিজের জীবন দিয়ে দেশের মাটি রক্ষা করেন। অপরদিকে ৪০০ টি ভারতীয় কুকুর জাহান্নামে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ থেকে ২০০৮ এর ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনেকদিন সামরিক শাসন থাকার পরও ও ৯০ এ স্বৈরাচারের পরও যা কখনো হয়নি ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তা কি করে হলও আমাদের বুঝে আসেনা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের মাত্র দেড় মাসের মাথায় একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে এমন নারকীয় ঘটনা আমাদের মনে প্রচুর প্রশ্নের সৃষ্টি করে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আলোচনার ঝড় তোলে। মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার কর্নেল, লে. কর্নেল, মেজরসহ ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার লোমহর্ষক সেই কাহিনী আজও আমাদেরকে অশ্রুসিক্ত করে। আজও বিদ্রোহের সেই দুঃসহ স্মৃতি আমাদের শিউরে তুলে।
এই তিনটি প্রধান কারণে পুরা ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের স্মৃতির মানস পটে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে। আসুন আমাদের সহ ব্লগার হত্যার বিচার চাই। আসুন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করি। আর এ মাসের ১৩ তারিখেই তো আমাদের ১লা ফাল্গুন। আমরা কি চেষ্টা করতে পারিনা শহীদ দিবসের মত করে ১লা ফাল্গুনকেও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ও বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে? আসুন আমাদের ৫৭ জন মেধাবী সেনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে , বই মেলার আনন্দ উপভোগ করে , মনে ফাল্গুনের বাসন্তী রঙ রাঙিয়ে বুকে বাঙালি সংস্কৃতিকে লালন করি ফেব্রুয়ারি মসটিকে স্মরণ করি
মাসের অর্ধেক শেষ হয়ে গেলো। কিন্তু আলোচ্য বিষয়ের উপর বিশ্লেষণধর্মী কোন পোস্ট নেই। সম্মানিত ব্লগার ফিউশন ফাইভ , দূর্যোধন , দিনমজুর অথবা তন্ময় ফেরদৌস নিয়মিত ব্লগে থাকলে হয়তো তাদের মধ্য থেকে কেউ একজন এই বিষয় অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়ে পোস্ট লিখতেন । কিন্তু তারা তো ব্লগে আসেন না এখন। আমার এই পোস্ট এর মাধ্যমে তাদের ব্লগে ফিরে আসার ও নিয়মিত হতে চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করছি।