তুই আসলে একটা কি ??? আল্লাহ যে তোরে কি দিয়ে বানাইছে??? সহজ সরল, সামান্য একটা উক্তি দিয়ে আমাকে সে বিশাল বিজ্ঞ একটা মানুষ বানিয়ে দেয়। আমিও তার কথা শুনে ছোট বাচ্চাদের মত খুশি হয়ে উঠি।
মীমের সাথে আমার পরিচয় ভার্সিটির প্রথম দিন। দেখি, ক্লাসের সেকেন্ড বেঞ্চে ভিতু ভিতু চোখে, শুকনো মুখে বসে আছে। এই ছোট্ট মুখটি যে কবে আমার বন্ধু হল আর কবে যে আমার ছোট বোন হয়ে গেল, কিচ্ছু টের ই পেলাম না।
"পর" বোন "আপন" হল কিভাবে তা আমি জানি না। তবে, "পর" যখন "আপন" হয় , তখন যে কতটা আপন হয় তা কেউ না দেখলে বুঝবে না। এখন গোটা সার্কেলই জানে যে এই দুইটা ভাইবোন। কেউ কেউ জিজ্ঞেস ও করে, এই তোরা কি আপন নাকি কাজিন??? আমি হেসে লুটোপুটি খাই। একদিন আলাপ করলাম, আসলে আমরা তো আপন ভাইবোন না, তাহলে??? তাহলে আমরা "পর" ভাইবোন। সেই আমার বোন "পর" হল। আজ সে আমার সুখ দুঃখের ভাগিদার।কিছু হলেই আমি তারে জানাই। না হলে আমার পেটের ভাত হজম হয় না।
এখন বেশ ভাল আছি। বেশ ভাল । এর কিছুটা ক্রেডিট আমি তাকে দিতে বাধ্য। নারীদের সম্পর্কে আমার একটা ধারনা ছিল। মীম না থাকলে তা পাল্টানোর কোন চান্সই ছিলনা।
এইখানে ভাইয়ার কথা না বললেই না। তিনি সম্পর্কে আমার "পর" দুলাভাই হন। বাট, হি ইজ অ্যা ড্যাম স্মার্ট ম্যান। এই মানুষটি আমি ভেবেছিলাম আমার মত একটা ভোদাইচন্ডিকে তিনি পাত্তাই দেবেন না। ওমা!!! আমি তারও ছোট ভাই হয়ে গেলাম।
সহজ সরল এই গৃহিণীটির প্রতিচ্ছবি আমি সব ফ্যামিলিতে দেখতে চাই। মীম, তুই যেমন আছিস তেমন ই থাকিস। পালটাস নারে। সবাই এমনটা হয়ে জন্মায় না। তুই জন্মেছিশ , ধরে রাখিস।
এই পোস্ট টা শুধু তোর জন্যই। সুখি হ আমার "পর"বোন। কারো নজর না লাগে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩২