somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আলফ্রেড হিচকক - দ্যা মাস্টার অফ সাসপেন্স

১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৮৯৯ সালের ১৩ আগস্ট আলফ্রেড হিচকক জন্মগ্রহণ করেন লন্ডনের লেইটোনস্টোনে। তার বাবা উইলিয়াম হিচকক শাক-সব্জি ও পোলট্রির ব্যবসা করতেন। মার নাম ছিলো এমা জেন হিচকক। হিচককের জন্মের পর তার বাবা নিজের ভাই আলফ্রেডের নামটাই ছেলের নাম হিসেবে রেখে দেন। তাকে প্রথমে লন্ডনের স্ট্যামফোর্ডের জেসুইট ক্লাসিক স্কুলে এবং পরে সেন্ট ইগনেসিয়াস কলেজে পড়ানো হয়। তার যখন ১৪ বছর বয়স, তখন তার বাবা মারা যান। সে বছরই তিনি লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নেভিগেশনে ভর্তি হন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে তিনি একটি কেবল কোম্পানিতে ড্রাফটসম্যান ও অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইনার হিসেবে যোগ দেন। এ সময়েই তিনি ফটোগ্রাফির প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং ফিল্ম প্রোডাকশনের কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি প্যারামাউন্ট পিকচার্সের লন্ডন শাখায় টাইটেল ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯২০ সালে তিনি আইলিংটন স্টুডিওতে টাইটেল ডিজাইনার হিসেবে পাকাপাকিভাবে কাজ পান। আর এর মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই তিনি পুরোদস্তুর চলচ্চিত্র পরিচালক হয়ে ওঠেন।

পরিচালক হিসেবে হিচকক প্রথম দিকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তার প্রথম কয়েকটা ছবি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। তিনি ১৯২২ সালে তার প্রথম ছবি ‘নাম্বার থার্টিন’এর কাজ শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই অর্থসঙ্কটের কারণে ছবিটির কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। আর যা কাজ করা হয়েছিলো, তার অনেকগুলো দৃশ্যও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায়। ১৯২৫ সালে বের হয় ‘দ্য প্লেজার গার্ডেন’ এবং ব্যবসায়িকভাবে চূড়ান্ত রকমের ব্যর্থ হয়। তবে এর মাঝেও তিনি আরো একটি ছবির কাজ করেছিলেন। ‘অলওয়েজ টেল ইয়োর ওয়াইফ’ নামের ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো ১৯২৩ সালে। কিন্তু সেটাতে পরিচালক হিসেবে তার নামই উল্লেখ করা হয়নি। ১৯২৬ সালে তিনি বের করেন তার পরবর্তী ছবি ‘দ্যা মাউন্টেন ঈগল’। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো ‘ফিয়ার অফ গড’ নামে। এটাও ফ্লপ।

অবশেষে হিচককের ভাগ্য ফিরলো। আর তা একটা থ্রিলার ছবি দিয়েই। ১৯২৭ সালে হিচকক তার প্রথম থ্রিলার ছবি তৈরি করলেন। ‘দ্যা লজার : এ স্টোরি অফ দ্য লন্ডন ফগ’ ছবিটি যুক্তরাজ্যে সে বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি হয়ে উঠলো। আর ছবিটির সাফল্যে আলোচনায় উঠে এলেন হিচকক। বছরের শেষের দিকে তিনি আবারও উঠে এলেন আলোচনায়। ডিসেম্বরের ২ তারিখ তিনি তার সহকারী পরিচালক এলমা রেভিলেকে বিয়ে করলেন। ১৯২৮ সালের ৭ জুলাই তাদের একমাত্র সন্তানের জন্ম হ্য়।এলমার সঙ্গে হিচককেরে সংসার আমৃত্যু টিকে ছিলো।

[তথ্যসূত্র : অন্তর্জাল]
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ড. ইউনুসের বক্তব্যের ব্যাবচ্ছেদ

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:২০

আজ সন্ধ্যায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ শুনলাম। প্রায় ৩৫ মিনিটের এই বক্তৃতা অনেকের কাছে হয়তো ঘ্যানঘ্যানানি আর প্যানপ্যানানির মতো মনে হতে পারে, কিন্তু আমি একজন রাজনৈতিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৪৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



আজ ২৫ রোজা।
এই তো সেদিন রোজা শুরু হলো। দেখতে দেখতে ২৪ টা রোজা শেষ হয়ে গেলো। সময় কত দ্রুত চলে যায়! আগামী বছর কি রমজান... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

লিখেছেন পদাতিক চৌধুরি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯



অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

ওসির নির্দেশ মতো ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদব লাশ পরিদর্শনের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। গাড়ির ড্রাইভার সহ তিনজন কনস্টেবল যথাস্থানে তৈরি ছিলেন। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ওনাদের।খানিক বাদেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে বিচার , সংস্কার তারপরেই নির্বাচন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২



জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন এক ঝাক তরুনদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এ জ্বালাময়ী কর্মসুচী দিচ্ছিল , তখন বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

It is difficult to hide ল্যাঞ্জা

লিখেছেন অধীতি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

এক গর্দভ ইউটিউবার ৭১কে ২৪এর থেকে বড় বলতে গিয়ে আমাদের শিখায় যে ৭১ বড় কারণ সেটা ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হয়ে ছিল। আর আপামর জনসাধারণ সেটায় অংশগ্রহণ করেনি। এই হলো যুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×