...আমি আর বড় হতে চাইনা। কেন এই বড় হওয়া। আমি থাকে যেতে চাই আমার মায়ের ছোট্ট আদরের সন্তান হয়ে।
মায়ের ভালোবাসা, বকুনি- আজকে আর আমি সেরকম করে পাই না। মায়ের আচঁল জড়িয়ে ঘুরে বেড়ানোর সেই আনন্দ আজ আর নেই কোথাও। মায়ের হাতে মাখানো ভাত- সবসময় অপেক্ষা করতাম শেষ লোকমাটার জন্য- মা বলতো, শেষ লোকমাটাই সবচে মজার! এখন মনে হয়- পুরো প্লেট খাবার জন্যই এই বুদ্ধি! আজকাল আর মায়ের হাতে খাওয়া হয় না।
নিউমার্কেটে যেয়ে তিন গোয়েন্দা কেনার যে বায়না!- মা বলতো, বই দেয়া হবে, যদি টেস্ট-এ ভালো করো। আজ, আমি নিজেই বই কিনি। বই কিনতে কোন শর্ত মানতে হয় না। কিন্তু মা-র কিনে দেয়া বই পেলে যে আনন্দ হতো, সেই আনন্দ এখন আর হয় না।
আজকে আমার কোন বাঁধা-নিষেধ নেই। একটু বেশি টিভি দেখলে কেউ বকে না। সন্দ্ধ্যা ৭ টায় পড়তে না বসলে কেউ দাত কিটমিট করে তাকায় না। আজকাল সর্ষে ইলিশও খাওয়া হয় না। মাঝে মাঝে নিজেই রাধতে চেষ্টা করি। কিন্তু মায়ের রান্নার মতো হয় না।
অন্যভূমিতে থাকতে থাকতে মায়ের সাথের অনেক গল্পই মুছে যাচ্ছে....। মায়ের খোঁজ নেওয়ারও সময় হয় না। বড় হওয়াটা তাই অনেক কষ্টের।
চোখটা ভিজে গেল, এই চিঠিটা লিখতে যেয়ে। মা কাছে থাকলে নিশ্চয়ই বলতো- এই মেয়ে, তুই না বড়ো হয়েছিস। চোখে পানি কেন?