ফায়ার সার্ভিসের লোকটা মৃত শিশুটিকে নিয়ে যাচ্ছে!
লাইন ধরে সারি সারি লাশ!
অঝর ধারায় কাদছে হাসপাতালের নার্স!
পুরো শহর স্তব্ধ!
শোকে জমে গেছে মানুষের মন।
আর কতো দেখবো আমরা? দালান ধসে পড়ছে, আগুনে পুড়ছে মানুষ। আমাদের জীবনের কি কোনই মূল্য নেই? কি ঠুনকো আমাদের এই বেঁচে থাকা! মানুষ মরে যায়, কিন্তু বেঁচে যায় অমানুষ অপরাধীরা। তাদের শাস্তি হয় না কোনদিন। লোভি অমানুষগুলো বেচেই যায়। আগুন ওদের স্পর্শ করে না। শহরের বড় বড় এপার্টমেন্টে সেইসব অমানুষগুলো বেঁচে থাকে নিশ্চিন্তে।
লোভ!- মানুষকে অমানুষ বানায়!
পর পর ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো থেকে একটি বিষয়ই পরিষ্কার হয়- ঢাকা শহর কি আদৌ বসবাসের যোগ্য? ঘিন্জি শহরের অলিগলিতে হাজারো হাজারো দালান। সেই দালানের নিচে গড়ে উঠেছে লোভী অমানুষদের টাকা বানানোর কারখানা। নিরাপত্তার বালাই নেই, পানি, গ্যাস, বিদুৎ-তের সঠিক ব্যবস্থা নেই সেইসব অনেক এলাকায়। ধুকে ধুকে জীবন চলছে আমাদের। তারপর একদিন- মাটি ধব্স-এ আটকে পড়ে, আগুনে পুড়ে জ্বলে জ্বলে আমাদের সেই জীবনের শেষ নিঃ শ্বাস।
আমাদের লোভী অমানুষগুলো যতদিন বেচে থাকবে, দুর্ণীতিবাজ রাজউকের কর্মকর্তাগুলো যতদিন বেচে থাকবে, যতদিন আমাদের সরকার দোষীদের শাস্তি না দিয়ে আপোসে ছেড়ে দিবে, ততদিন আমরা এইভাবেই জ্বলে, পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাবো।
মাঝে মাঝে মনে হয়, একটি কুকুরের চেয়েও কমদামি আমাদের জীবন!