একদিন আমাদের ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন ভাই নতুন এক শহর আবিষ্কার করেন এবং তিনি তার সাথে আরেকজনকে পার্টনার করে শহরেতে থাকতে লাগলেন।একদিন সকালে গাড়ি চালাতে গিয়ে তিনি আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দেন । এটা অবশ্য কোন ঘটনাই না ,ঘটনা হচ্ছে-ঐ সময় ঐ শহরে মাত্র দুইটা গাড়িই ছিল ।
বল্টু চাচা বহুত রসিক মানুষ কিন্তু অনেক গরিব ছিলেন । (রসিক রা একটু গরিব ই হয় )তো তিনি নিজে কাজ করতেন এবং তার বউকেও কাজে পাঠাতেন । তার বউ ছোটবেলা থেকে আবার বান্দ্রামি করতে পছন্দ করতেন,তাই বল্টু চাচা উনাকে সার্কাসে কাজ করার জন্য পাঠালেন । তো চাচি সার্কাসে কামানের গোলা হিসাবে খেলা দেখাতেন । খেলার নিয়মানুযায়ী তিনি কামানের গোলার ভিতর ঢূকতেন তারপর কামান দাগা হত এবং চাচি দূরের এক জালে গিয়ে নিরাপদে আছড়ে পড়তেন । তো একদিন শহরের মেয়র সেখানে গেলে চাচি কে কামান হিসেবে দাগা হয় কিন্তু রহস্যময় কারণে চাচি কামানের ভিতরেই আটকে থাকেন কিন্তু তার সোনালি রঙ এর অন্তর্বাস টি ছিটকে গিয়ে মেয়রের মাথায় গিয়ে পড়ে ! মেয়র অবশ্য হাসিমুখেই ব্যাপার টি নিয়েছিলেন ।
স্বাস্থ্য বিষয়ক বেস্ট সেলার বই ''স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি'' গ্রন্থের বাংলাদেশি লেখক নাফিজ মুনতাসির এর রহস্যময় মৃত্যুহলে পুলিশ তার ময়না তদন্ত করে । ময়না তদন্তের রিপোর্টে ডাক্তার যে কারণ দেয় তাতে তার মৃত্যুর কারণ লিখেছে --''পুষ্টিহীনতা''। এ খবর প্রচার হলে বেস্ট সেলার বইটি এক সপ্তাহে ওর্স্ট সেলারে পরিণত হয় ।
একবার আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব জোক্স বলবে বলে স্টেজে উঠছে । কিন্তু তিনি কিছুতেই তার জোক্স মনে করতে পারছেন না । তারপর মাথায় হঠাৎ কি যেন এলো,তিনি জোক্স বলে ফেললেন । সেটা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠলেন । তিনি স্টেজ থেকে নেমে বউকে বললেন -দেখলে,জোক্স টা বলে শেষ করতে পারছি । উনার বউ রেগেমেগে আগুন হয়ে বললেন-একটু আগে ঠিক এই জোক্সটাই জিকো ভাই বইলা স্টেজ থেইকা নামলেন ।
কায়রো ভাই একবার ফ্যাশন ডিজাইনার হবেন বলে মনস্থ করেন । কিন্তু তার বানানো বোতাম কন্টকিত পোষাক পরে এক হার্টের রোগীর হার্ট এটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে হাস্পাতালে নেয়া হলেও বাচানো সম্ভব হয়নি কারণ তার বোতাম কন্টকিত পোষাক খুলতে খুলতেই রোগী মারা যায় । তাই তার এই ব্যাবসা ফল করে । তিনি বছর খানেকের মধ্যে নতুন ব্যবসা শুরু করেন । সেটা হচ্ছে-''মুখশ্রী বিষয়ক পরামর্শ দান''। তিনি কিভাবে মানুষকে আরো সুন্দর দেখা যেতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দিবেন । প্রথম দিকে এই ব্যবসা জমে উঠলেও পরের দিকে এই ব্যবসায় ধস নামে যখন তিনি রেজোওয়ানা আপুকে আরো সুন্দরি হওয়ার জন্য ঘরের কাজের পাশাপাশি গোফ রাখতে বলেন ।
আমাদের হামাভাই কখনোই ধূমপান করতেন না । কিন্তু বিয়ের পর তার স্তী তাকে ধূমপান করতে উৎসাহিত করেন।কেননা তার স্ত্রীর ধারণা পুরুষ মানুষ সিগারেট না খেলে ম্যানলি লাগে না । স্ত্রীর অনুরোধে হামা ভাই একদিন বিমর্ষ মুখে এক প্যাকেট সিগারেট ধরালেন!সিগারেটে টান দেয়া মাত্র তিনি কাইতে কাইতে অজ্ঞান হইয়া পইড়া গেলেন। তারে হাসপাতালে নিয়া যাওন লাগল । হাসপাতাল থেইকা ফির্যা হামা ভাই একটা চিঠি পাইল--স্ত্রীর পাঠানো ডিভোর্স লেটার ।
রাজসোহান নামক এক পর্ণোগ্রাফিক পত্রিকা প্রকাশক কে পুলিশ গ্রেফতার কইরা জেলে পাঠায় ।কারণ ক্রেতারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে সে বিজ্ঞাপনে তার পত্রিকাটিকে যতটা উত্তেজক বলে প্রচার করেছেন বাস্তবে ততটা ছিল না ।
শামসীর ভাই রাজনীতি এক্কেরে দেখতেই পারে না। তিনি ,আকাশটালাল ,নস্ট কবি ,জিসান ভাই আর দুর্যোধন মিল্লা হাসিনা আর খালেদারে উড়ায়া দেয়ার পরিকল্পনা করল । তারা বিষ মিশায়া চকোলেট মিল্ক শেক হাসিনা আর খালেদা আপার ফ্রিজে রাইখ্যা দেয় । আর বাড়ির আশেপাশে সী শেল জমা করে । ফ্রিজে মিল্ক শেক রাখতে গিয়া জিসান ভাই খালেদার প্রেমে পইড়া যায় । ফোন কইরা সব কিছু কইয়া দেয় খালেদারে । তহন খালেদা বাড়ির তে বাইর হইয়া যায় ।আর ঐদিকে শেখ হাসিনা বের হোয়ার সাথে সাথেই সব সী শেল ফাইট্টা যায় । ঐডা শেখ হাসিনারে মিস করলেও পুরা ফার্মগেট আর বিজয় স্মরণীর একটা ল্যাম্পপোস্ট কেও মিস করে নাই ।(হুদাই)
রবিন একবার এক গুপ্তচর হিসেবে ন্যাটো'র আস্তানায় ঢুকে পরে। সে ঐ ন্যাটো বাহিনীর সব ডকুমেন্ট নিয়ে ঝামেলা ছাড়াই বের হয়ে আসতে সক্ষম হয় । কিন্তু বের হওয়ার সময় তা ব্যক্তিগত ব্যাগটা ভিতরে ফেলে আসেন,যার ভিতরে ছিল একটা হাতুড়ি,এক্টা ফাইল,এক্টা বাইবেল,প্লেবয় পত্রিকার একটা কপিএবং তার গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ।
বাংলাদেশের যুদ্ধের সময় জিনিয়াস অণুজীব একবার তার চোখে দুইটা ডেস্ট্রোয়ার জাহাজ দেখতে পেল । তো অণুজীব প্লেন দুইটা পুরা ধ্বংস কইরা দিল । তবে দুঃখজনক ব্যাপারটি হচ্ছে,তিতাস আর হামজা নামের সেই ডেস্ট্রোয়ার জাহাজ দুটিও ছিল বাংলাদেশ সরকারেরই । হায়রে অণুজীব !
এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক । কেউ মাইন্ড খাইয়েন না । কষ্ট দিলে ক্ষমাপ্রার্থী । রম্য হিসেবে বিবেচনা করলে আনন্দিত হইতাম । প্রিয়তে নিলে প্রফুল্লিত হইতাম ।