somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকের ধর্মকথার বিশ্বকাপ ফুটবল দরশন .....

১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আরেকটি ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গেলো, চারদিকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকার ছড়াছড়ি দেখে বিশ্বকাপের উত্তেজনা টের পেয়েছি- তা নয়। কোন পতাকা না থাকলেও সময় পেলে টিভির সামনে ঠিকই বসে যেতাম, যেমনটা ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যাহোক কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই। এবারের বিশ্বকাপের প্রধান দলগুলো নিয়ে আমার বিশ্লেষণ তুলে ধরাই এ লেখাটার লক্ষ। কাজটা তেমন কঠিন নয়- কারণ অল্প কটা দল নিয়ে দুচার কথা বলেই লেখা শেষ করা যাবে আশা করা যায়। বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম দুটো দল দিয়েই শুরু করছি:


১। আর্জেন্টিনা: কোচ ম্যারাডোনা এবং ফরোয়ার্ডে মেসি- এই দুজনের কারণেই সবচেয়ে বেশী আলোচিত আর্জেন্টিনা। তবে যতই আর্জেন্টিনা ফোকাসে থাকুক না কেন- দলটাকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার খুব বেশী কিছু আছে বলে মনে হয় না। ফ্রন্ট লাইন অবশ্যই বিশ্বসেরা কিন্তু ডিফেন্স একদমই সাদামাটা, বলতে গেলে খুবই জঘণ্য। টিম দেখে মনে হয়েছিল- এই দল করা হয়েছে কেবল গোল দেয়া ও গোল খাওয়ার উদ্দেশ্যে (বাস্কেটবলের ৮৮-৮৫ এর মত স্কোর না হয়ে যায়!!)। জেনেত্তি আর কাম্বিয়াসোরে না নেয়ার কারণ একমাত্র কোচই জানেন। বুড়ো ভেরনরে দিয়ে গোল তৈরি করা সম্ভব নয়- তার মানে স্ট্রাইকাররা গোল করার জন্য টগবগ করে ফুটতে থাকবেন- কিন্তু বল বানানোর মত কেউ থাকবেন না!!!! এইরকম ফ্রন্টলাইন প্লেয়ার থাকার পরেও এমন ফালতু টিম হতে পারে- সেটা অকল্পনীয়!!

তার পরেও - আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা একেবারে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না- তা মেসির জন্য। মেসিরে একটু নীচে খেলতে হবে, মানে বুড়ো ভেরনের কাজটা তাকে আর মাচোরানো-রদ্রিগেজদের সাথে মিলে করতে হবে, হিগুইন-তেভেজ-মিলিতোদের জন্য গোল তৈরি এবং নিজের গোল করা উভয় কাজটাই মেসিকে করতে হবে।

২। ব্রাজিল: ব্রাজিল সবসময়ের ফেভারিট, এবং এবারেও সে ফেভারিট- ফিফা র‌্যাংকিং তার ১। কিন্তু আমার দেখা ব্রাজিল দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য দল এবারের ব্রাজিল দল। দলগত সমঝোতা যত ভালোই থাকুক- সেইরকম সুপার স্কিলড প্লেয়ার এবার ব্রাজিলে একটাও নেই, যাকে কেন্দ্র করে তারা কাপ জেতার স্বপ্ন দেখতে পারে। কাকা-রবিনহো এরা পুরো মৌসুম সাইডবেঞ্চে বসে থেকেছে। ফাবিয়ানোর অবস্থা তেমন না। সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড় বলতে গেলে গোলকিপারটা, আর কয়েকটা ডিফেন্ডার। এদের অবস্থা ঠিক আর্জেন্টিনার বিপরীত। গোল দিতে না পারি- গোল খামু না।

আর, কোচ দুঙ্গা হলো একটা চরম বিরক্তিকর কোচ। ব্রাজিলের খেলা দেখার মজাটাই সে নষ্ট করে দিয়েছে।

৩। ইতালি ও জার্মানি: এরা এমন দুইটা দল যাদের খেলা খুবই বিরক্তিকর, এক কথায় ফালতু- কিন্তু বিশ্বকাপে তাদের ফল সবসময়ই ভালো। এবারেও এই হিসাবে তারা ফেভারিটের তকমা গায়ে এটেছে। কিন্তু- তেমন কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না।

৪। ইংল্যান্ড: রুনি- ল্যাম্পার্ড-জেরার্ড-টেরি মিলে মোটামুটি শক্ত দলই বলা যাবে। এদের গায়েও ফেভারিটের তকমা আছে- সবাই একসাথে জ্বলে উঠলে অনেক দূর যেতে পারে।

৫। হল্যান্ড: এক সময় চরম ফ্যান ছিলাম। একসময় মানে- খুলিত-বাস্তেন-রাইকার্ড-বার্গক্যাম্প-ওভারমার্স এর সময়ে। লম্বু-গাধার (নিস্টলরয়) আমল থেকে আগ্রহ হারাতে থাকি। এবারের বিশ্বকাপে হল্যান্ড দলকে তেমন ফলো করা হয়নি। রোবেন আর পার্সি খুব বেশীদূর নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে হয় না।

৬/ পর্তুগাল ও আইভরিকোস্ট: রোনালদো ও দ্রগবা দলদুটোকে যতদূর নিয়ে যেতে পারবে ততটুকুই লাভ। পর্তুগাল-আইভরিকোস্টের কেউই খুব বেশী আগানোর কথা নয়- তবে দ্রগবা আর রোনালদোর খেলা যত দেখা যাবে, ততদিন বিশ্বকাপ দেখার মজা থাকনে।

৭। স্পেন: জাভি নামের খেলোয়াড়টা যে দলে আছে- সেই দলে একজন আসলাম থাকলেই চলে, কিন্তু স্পেনের আছে ভিলা-তোরেস-ফাব্রিগাসরা। জাভির সাথে আবার ইনিয়েস্তা। ডিফেন্সে আছে পিকে-পুয়োল। গোলবারে কাসিয়াস; ভালদেসের মত গোলরক্ষক সুযোগ পাচ্ছে না (ভালদেস অনায়াসে ব্রাজিল ছাড়া যেকোন দেশের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পেতে পারে।)
এইরকম কমপ্লিট একটা দলের বিশ্বকাপ না জেতাটাই হবে দুর্ভাগ্যের বিষয়।

পরিশিষ্ট:
১/ ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল বেশী উপভোগ্য কারণ:
-> এখানে সাঈদ আনোয়ার- আমলা- ইউসুফ দের মত দাড়ির ছড়াছড়ি নাই।
-> গোল দেয়ার পরে ডিগবাজি খায়, কোমর দোলায়, দৌড়ায় .. কেউ আকাশের দিকে তাকাইয়া আল্লাহ, ভগবান, গড বা মৃত পিতা-মাতারে থ্যাঙ্কু জানায় না।
-> খেলা বন্ধ করে দিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ার তামাশা দেখার কোন সম্ভাবনা এইখানে নাই।
২। পোলা আর মাইয়ার জন্য দুইটা জার্সি খুজতেছি- একটা আর্জেন্টিনার, আরেকটা ব্রাজিলের। কিন্তু সাইজে মিলতেছে না। কালকের মধ্যে সাইজে না মিললে- বড় সাইজেরটাই কিনবো .....
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৪২
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×