প্রথমে শুরু করি কন্যা সন্তান জীবন্ত পুতে ফেলার এ খবরটি দিয়ে, যা ২৭ শে আগস্ট বিবিসিতে প্রকাশিত হয়। বিবিসির ঐ খবরে আরো বলা হয়, ভারতে প্রায়শই কন্যা শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালেও এরকম এক ঘটনা ঘটে, যেখানে এক তথাকথিত গুরুর পরামর্শে বাবা তার কন্যা শিশুকে জীবন্ত কবর দিতে উদ্যত হয়। আল্লাহ্ -র অশেষ রহমতে শেষ নবী ও রাসূলের মাধ্যমে আরব বিশ্ব প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়।
ভবিষ্যতের এই সুপার পাওয়ার ইতিমধ্যেই ধর্ষকের দেশ হিসেবে বিশ্বে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা পর্যটকরা ভারতে ভ্রমণের ব্যাপারে শঙ্কিত, ভ্রমণ করতে এসে তারা ধর্ষিত হতে পারেন এরকম শঙ্কা তাদের মাঝে কাজ করছে। তবে আমার মনে হয় এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, কিছু বাংলাদেশী বাঙালী। ভারতপ্রেম এদের মাঝে উপচে পরে। কিছু হলেই এরা ভারতে দৌড় মারে। বড়ই বিচিত্র, অদ্ভুত।
দাঙ্গাবাজিতে তো ভারত মাতার দামাল ছেলেরা খুবই এক্সপার্ট। ১৯৪৭ এর জন্মের আগ থেকেই এ অঞ্চলের লোকজন তা দেখে আসছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কচুকাটা করতে এরা খুবই পটু। আর এরকমই এক ভয়ঙ্কর দাঙ্গাবাজ যখন সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধাণমন্ত্রী হয়, তখন চিন্তিত না হয়ে আর উপায় আছে। বুঝুন, সুপার পাওয়ারের ঠ্যালা।
প্রতিবেশী দেশের সাথে ভারত বরাবরই ভয়ঙ্কর রকমের সহিংসমূলক বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখিয়ে আসছে। প্রতিবেশী দেশের নদীনালার পানি প্রবাহ বন্ধ করে অথবা সীমান্তে নির্বিচারে প্রতিবেশী দেশের জনগণকে হত্যা করে যে অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্নক বন্ধুত্বের নমুনা (শত্রুও এত ক্ষতি করে না) ভারত দেখাচ্ছে তা মানব ইতিহাসে বিরল। তবে আমার মনে হয়, চতুস্পদী জন্ত্ত জানোয়ারের ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে এরকম দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে।
শেষ করবো আরেকটি বিচিত্র খবর দিয়ে। জাত প্রথা আজো ভারতীয় সমাজে খুবই জঘন্যভাবে বিদ্যমান। সেখানে দলিত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ভাল্মিকী গোত্রের লোকদের দিয়ে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জোর পূর্বক মনুষ্য বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করানো হয়। এরা লোকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোন রকমের যন্ত্রপাতি ছাড়াই নিচুমানের টয়লেট থেকে মানুষের বর্জ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, ভারতীয় সমাজে যাদের নিচু স্তরের গণ্য করা হয়, তাদেরই এধরণের কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
এবার আপনারাই বলুন, এরকম ধ্বংসাত্নক শত্রুতামূলক বর্বর অমানবিক পাশবিক চরিত্র নিয়ে এরা কি করে সুপার পাওয়ার হবার স্বপ্ন দেখে! এরা কোনভাবেই ভবিষ্যতের সুপার পাওয়ার হবার যোগ্য নয়, এরা হবে সুইপার পাওয়ার (sweeper power), সুইপার পাওয়ার। সভ্য সমাজের বর্জ্য সংগ্রহ করাই হবে এদের একমাত্র কাজ।
তথ্যসূত্রঃ
Indian girl, 7, survives being buried alive
India loses luster for foreign tourists
Narendra Modi’s Shame: Muslim Survivors of the Gujarat Riots Are Still Suffering
India lower caste still removing human waste