১। নৈরাজ্যবাদ একটি সামাজিক আন্দোলন যা উৎপীড়ক/অত্যাচারী ব্যবস্থা বিলোপ করতে চায়।
২। নৈরাজ্যবাদীরা দমনমূলক যাজকতন্ত্র তথা শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে। নৈরাজ্যবাদীরা মনে করে শাসকেরা দূর্নীতগ্রস্ত এবং তারা সবার সম অধিকারে বিশ্বাসী।
৩। নৈরাজ্যবাদীরা ভায়োলেন্স, অত্যাচারের বিরুদ্ধে। যদিও মিডিয়ায় তাদের ভায়োলেন্সবাদী, নায়ালিজম, বিশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত হিসেবে দেখানো হয়।
৪। নৈরাজ্যবাদীরা পুঁজিবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী। পুঁজিবাদ হচ্ছে সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে পুঁজিপতি এবং ভূস্বামীরা নিজেরা অধিক সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে বিনিময়ে যথযথ সেবা কিংবা পণ্য সরবরাহ না করে। পুঁজিবাদে শ্রমিকের ক্ষমতা খুব কম থাকে। তারা ব্যাংকার এবং রাজনীতিবিদদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
৫। নৈরাজ্যবাদীরা পুঁজিবাদের পরিবর্তে সোশ্যালিজম সমর্থন করে। সোশ্যালিজমে উৎপদন ব্যবস্থা তথা ভূমি, ফ্যাক্টরী, অফিস ইত্যাদির উপর শ্রমিকের সরাসরি ক্ষমতা থাকে। গণতান্ত্রিক সংঘটনের মধ্যমে নৈরাজ্যবাদীরা ক্ষমতার অত্যাচারী পন্থা যেখানে ক্ষমতাসীন এবং রাজনীতিবিদরা অন্যায়ভাবে সমাজ শাসন করে তার অবসান চায়। নৈরাজ্যবাদীরা প্রত্যেককে সেসব বিষয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিতে চায় যেসব বিষয়গুলো তাদের জীবনে প্রভাব ফেলে।
৬। বেশিরভাগ নৈরাজ্যবাদীরাই কম্যুনিস্ট এবং শ্রেণীহীন, অর্থহীন, রাষ্ট্রহীন সমাজের সমর্থক। বাকীরা মিচুয়ালিস্ট এবং মুক্ত বাজার সোশ্যালিজমের সমর্থক। নৈরাজ্যবাদী সমাজে কোন কেন্দ্রীয় ক্ষমতা নেই। এর পরিবর্তে থাকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত সম্প্রদায়, যারা সরাসরি গণতন্ত্রের ( ঐক্য) মাধ্যমে কোন শাসক ছাড়া সংঘটিত হয়।
নৈরাজ্যবাদী ব্যবস্থা কী সম্ভব না পুরোটাই ইউটোপিয়া?
রোজাভাতে এরকম একটা ব্যবস্থা চলছে বা চলার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
রোজাভা বিপ্লবের পর ওয়েস্টার্ন কুর্দিস্থান তথা রোজাভা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল। সরাসরি গণতন্ত্র, লিঙ্গ সমতা, সাসটেইনেবিলিটি ইত্যাদি মূলনীতির উপর দাড়িয়ে আছে। তাদের চারটি ক্যান্টন। জাজিরা, তেল আবায়েদ, কোবানি, আফরিন। জাজিরার অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেছেন ক্যান্টনটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুর রাহমান হিমো। ডিসেম্বর ২, ২০১৪ তে এক কনফারেন্সে।
তার কথাবার্তায় উঠে এসে রোজাভার তিন ধরনের অর্থনীতির মিশ্রণের কথা যেখানে সামাজিক অর্থনীতি মূল।
এই স্বাক্ষাতকারেও রোজাভার শাসন ব্যবস্থা এবং পরিস্থতির চিত্র পাওয়া যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৯