আমার আর্জেন্টিনায় আসার স্বপ্ন পূরণ হতে অনেক সময় লেগে গেল। আসলে, অনেক আগেই চেষ্টা করেছিলাম — ২০০৮ সালে, যখন আমি চাকরি ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। ব্রাজিল ছিল সেই সময়ের গন্তব্যগুলোর একটি, আর সেখান থেকে আর্জেন্টিনায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, কারণ দেশ দুটি কাছাকাছি। কিন্তু তখন পারিনি। ভিসা পাইনি।
এরপর অনেক বছর কেটে গেল, জীবন এগিয়ে গেল, আর সেই স্বপ্নও থেকে গেল অপূর্ণ। অবশেষে, এতদিন পর আমি আর্জেন্টিনায়!
আমার প্রথম দিনটা ছিল কৌতূহল, উত্তেজনা আর কিছুটা শঙ্কার মিশেলে। ঢাকার বিমানবন্দরে আমার যাত্রা শুরুটা সহজ ছিল না — কাস্টমস কর্মকর্তারা আমার ভিসা পরীক্ষা করতে করতেই ৪০ মিনিট পার করে দিলেন! সে গল্প পরে বলব।
আমি যখন বুয়েনোস আইরেসের এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলাম, তখনো খানিকটা দুশ্চিন্তা কাজ করছিল। যদিও আমি নিজেকে অভিজ্ঞ পর্যটক বলতে পারি, তবু প্রতিবার নতুন দেশে নামলে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করে।
আমার প্রথম দিনটা ছিল কৌতূহল, উত্তেজনা আর কিছুটা শঙ্কার মিশেলে। ঢাকার বিমানবন্দরে আমার যাত্রা শুরুটা সহজ ছিল না — কাস্টমস কর্মকর্তারা আমার ভিসা পরীক্ষা করতে করতেই ৪০ মিনিট পার করে দিলেন! সে গল্প পরে বলব।
আমি যখন বুয়েনোস আইরেসের এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলাম, তখনো খানিকটা দুশ্চিন্তা কাজ করছিল। যদিও আমি নিজেকে অভিজ্ঞ পর্যটক বলতে পারি, তবু প্রতিবার নতুন দেশে নামলে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করে।
এইবার, তবে, কিছুই হলো না। দশ মিনিট পর অফিসার ফিরে এলেন, কম্পিউটারে কয়েকটি তথ্য টাইপ করলেন, তারপর হাসিমুখে বললেন — “ওয়েলকাম টু আর্জেন্টিনা!” ব্যস!
বিদায় নেওয়ার আগে আমি একটা ছোট অনুরোধ করলাম — “পাসপোর্টে একটা স্ট্যাম্প দিতে পারবেন?”
অনেক দেশ এখন ডিজিটাল সিস্টেমের কারণে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দেয় না। কিন্তু আমার কাছে এগুলো একেকটা স্মৃতি, একেকটা গল্প। অফিসার হাসলেন, অন্য একটা বুথে গেলেন, তারপর ফিরে এসে পাসপোর্টে একখানা স্ট্যাম্প বসিয়ে দিলেন।
বিয়েনভেনিদো, বুয়েনোস আইরেস!