গতকাল্য সেহরির সময় আমি ও আমার পিতামহাদয়ের একই সময়ে ঘুম থকে জাগড়ন ঘটিল। আমার মাতা সেহরি করিবেন না বলে মনস্থির করেছেন, তাই তিনি জাগ্রত হইলেন না। আমার পিতা নামায পড়িতে বসিলেন এবং আমি খাদ্যের খোজ করার জন্য রন্ধনশালার দিকে আগ্রসর হইলাম...
রন্ধনশালায় ঢুকেই আমি আমার মাতার আনুপস্থিতি তিব্র ভাবে আনুভব করিলাম কারন আমাদের সেহরির খাবার রান্না করা ছিল না !!! খাবার রান্না করিয়া খাইতে হইবে...
আমার পিতা রন্ধনশালায় আসিয়া তিনি নিজেও বেশ আসহায় বোধ করিলেন বলে মনে হইল ... কিন্তু তিনি তৎখনাৎ খাদ্য তৈরী করিবার জন্য প্রস্তুতি লইলেন।আমিও মহানন্দে তারার সহিত যোগদান করিলাম।
আমার মনে হইল যে ইহা এক মহা চমৎকার দৃশ্য ... পুত্র পেয়াজ,মরিচ কাটিতেছে এবং পিতা ডিম ভাজিতেছেন। পিতা মহাদয় ডাল গরম করিতে লাগিলেন এবং আমি খাদ্য খাওয়ার চৌপায়াটি পরিস্কার করিতে লাগিলাম। ইতিমধ্যে পিতামহাদয় খাবার লইয়া চৌপায়ার মধ্যে রাখিলেন এবং আতপর আমরা খাওয়া শুরু করিলাম ...
আমরা নিরবে সেহরি সেবন করিতেছি... পিতা মহাদয় কথা চালানর জন্য আমার সাস্থের খোজ খবর লইলেন। আমি খুবই মর্মস্পর্ষি হইলাম যখন পিতা মহাদয় আমার সাস্থের উন্নতি করার কথা বলিয়া ডিম ভাজির একটি বড় অংশ আমার পাতে তুলিয়া দিলেন। অতপর পিতামহাদয় আমার কিছু বিশেষ বিষয় লইয়া কথা বলিলেন যেই বিষয় গুলার কথা পিতামহাদয়ের জনার কথা নয়। তিনি সেই বিষয়ে আমাকে অনেক শিক্ষনিয় কথা বুঝাইয়া বলিলেন। ঠিক সেই সময় আমি আমার জন্মদাতার প্রতি বিশেষ ভালবাসা ও সম্মান আনুভব করিলাম। বিনম্র স্রদ্ধায় আমার মাথা নত হইয়া আসিল।
সেহরি শেষ হওয়ার পর আমরা উভয়েই ফজরের নামায পড়িলাম ...
নামেযে আমি আমার পিতা ও মাতা ঊভয়ের দির্ঘায়ু কামনা করিয়া বিশেষ মনাজাত করিলাম।
আল্লাহ তুমি আমার মাতা ও পিতা কে সর্বদা সুস্থ রাখিও এবং তাহাদের দীর্ঘকাল তুমি এই পৃথিবীতে বাচিয়ে রাখিও।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭