অবশেষে ফেসবুক বন্ধ হল। অনেকটা মশা মারতে কামান দাগার মত। ফেসবুকের অপরাধ, আমাদের নেত্রীদের ব্যান্গচিত্র আপলোড করেছে এর কোন এক বখে যাওয়া ব্যাবহারকারী। ছবিটা যদিও দেখিনি, ধরে নিলাম খুব বাজে ধরনের ছবি ছিল। কিন্তু তাই বলে এভাবে একটা জনপ্রিয় এবং দরকারী ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে হবে? প্রতিটা উপকরনের ব্যাবহার নির্ভর করে এর ব্যাবহারকারীর উপর। ছুরি দিয়ে ডাক্তার অপারেশন করে রোগীকে নতুন জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করেন। একি জিনিস দিয়ে একজন ছিনতাইকারী নিরিহ একজন পথচারীর জীবন নেয়। তাহলে সরকার দেশ থেকে ছুরি নিষিদ্ধ করুক। ব্যক্তিগতভাবে আমি ফেসবুক ব্যাবহার করিনা এখন। তবে যখন করতাম, ফেসবুকের কল্যানে আমি খুজে পেয়েছিলাম আমার হারিয়ে যাওয়া অনেক বাল্যবন্ধুদের, আমার ছেলেবেলা কাটানো কলোনি। এত অর্বাচিন হলে দেশটা কিভাবে এগুবে?
আজকের কালেরকন্ঠের আরেকটা নিউজ দেখে মর্মাহত হলাম। রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান 'নাগরিক সংবর্ধনা' নিতে নিজের নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে যাবেন আজ রবিবার। তাঁর হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য অস্থায়ীভাবে দুটি হেলিপ্যাড বানানো হয়েছে এবং এর জন্য চারপাশের শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ আমাদের কতটা উপকারী বন্ধু, সেটা আর বলে কাউকে বোঝাতে হবেনা বর্তমানে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিলিয়ন ডলার ব্যায় করে তাদের দেশকে গাছ সমৃদ্ধ করছে। এই কোরিয়াতেই আমি নিজের চোখে দেখেছি, তারা গাছগুলোকে কতটা যত্ন করে। অকারনে কখনোই গাছ কাটেনা। দরকার হলে পরো গাছটাকে শিকড়সহ তুলে নিয়ে অন্য জায়গায় বপন করে।
কিছুই আর বলার নাই। এসব রাষ্ট্রপতিদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।