somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নানা রংয়ের দিনগুলি

১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জন্ম এবং ছেলেবেলা কেটেছে চট্টগ্রামে। থাকতাম চিটাগাং স্টীলমিলের পশ্চিমের কলোনীতে। আমার বাবা স্টীলমিলে চাকরী করতেন। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে সেলফ রিটায়ারমেন্ট নেবার পর এখানে জয়েন করেছিলেন। পরে ১৯৯১ সালে চিটাগাং স্টীলমিল থেকে রিটায়ার করেন। আর্থিক দিকদিয়ে তেমন স্বচ্ছল ছিলোনা আমাদের পরিবার। বাবার চাকরির বেতনে আমাদের ৪ ভাই ২ বোনের সংসার চলত। সবার খরচা যোগাতে বাবাকে হিমসিন খেতে হত প্রায় সময়। বাবা সেজন্য দেখতাম অফিসে ওভারটাইম ডিউটি করতেন। এমনকি মাঝে মাঝে বাসায়ও অফিসের কাজ করতেন বসে বসে। উনি উনার সেকশানের কিছু রোস্টার ফর্ম ফিলাপ করতেন। আমার কাজ ছিল বাবাকে বিভিন্ন গাণিতিক সংখ্যার বানান বলে দেয়া। কাজটা বেশ এনজয় করতাম। বাসার সবার ছোট হবার কারণে বাসায় আমার আদর ছিল সব চেয়ে বেশি। বাবা মা কখনো আমার গায়ে হাত তুলেছেন বলে মনে পড়েনা। আমিই বরং পান থেকে চুন খসলে কান্নাকাটি জুড়ে দিতাম, সাবাইকে জালাতাম। হয়তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রাচুর্যের ছোঁয়া ছিলনা, যা চাইতাম তা সবসময় পেতামনা, কিন্তু তার পরো ছেলেবেলার দিনগুলোকে খুব মিস করি। যেহেতু কলোনীতে থাকতাম, সমবয়সী খেলার সাথীর অভাব ছিলনা। তখনকার স্কুলগুলোও এখনকার দিনের মত এত বিভিষীকাময় ছিলনা। এখন স্কুলগামী ছোট্ট বাবুগুলোকে দেখলে আতংকে রীতিমত গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে। স্কুলতো নয় যেন ওরা আর্মির কমান্ডো ট্রেনিংয়ে যাচ্ছে। পিঠে বিশাল এক বোঝা, গলায় পানির ফ্লাস্ক। আমরা দলবেঁধে স্কুলে যেতাম পায়ে হেঁটে, বাবা-মা ছাড়া একাই। তখনকার দিনে বাবা-মা, অভিভাবকদেরও বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন থাকতে হতোনা। এখন কিযে দিনকাল আসলো, ভাবলে কষ্ট বাড়ে। স্কুল চলত বড়জোড় ২ ঘন্টা। সকাল ৮টা থেকে ১০টা। এর পর পুরোদিনটাই কাটত খেলাধুলায়। নাচ, গান শেখা, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়া এতকিছু তখন ছিলনা। ছেলেবেলাটা কাটিয়েছি খুব সাদামাটা আনন্দঘন পরিবেশে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শুভ নববর্ষ। শুভ কামনা সব সময়।

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৫০

শহুরে মঙ্গলের বলি, পল্লির হালখাতা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫১





ছবি টি সফিকুল আলম কিরন ভাইয়ের তোলা।

আজ পহেলা বৈশাখ মানেই শহরের রাস্তায় মুখোশ, কাগজের ঘোড়া, আর লাল-সাদা শাড়ির বাহার। তার নাম—মঙ্গল শোভাযাত্রা। জাতিসংঘ স্বীকৃত, উৎসবমুখর, মিডিয়ায় আলোচিত। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২০

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

তালাক হচ্ছে সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল কাজগুলোর একটি। পারিবারিক জীবনে বিশেষ অবস্থায় কখনও কখনও তালাকের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যায় না বিধায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৪৩২ বয়স!

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪



বাংলা নববর্ষ নিয়ে অতি উচ্ছ্বাস -
উন্মাদনা বিশেষত যারা একদিনের জন্য নিখাঁদ বাঙালি হয়ে 'মাথায় মাল' তুলে রীতিমতো উত্তেজনায় তড়পাতে থাকেন তাকে খাস বাংলায় বলে ভণ্ডামি!

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ আসে ইংরেজি মাসের ১৪ এপ্রিল। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলায় ১৫ এপ্রিল উদযাপন করা হয় উৎসবটি। যদিও ১৯৫২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×