
অন্ধকার সভ্যতায় হঠাৎ কেউ
গাঢ় আঁধার! তাঁর নিচে ল্যাম্পপোস্ট আলো হাতে দাঁড়িয়ে আছে অনেকটা সময় ধরে। একেবারে স্তব্ধ!! হয়তো চোখবন্ধ ছিল। পুরোপুরি মনে নেই। ঠেলাঠেলি করে ওইটুকুন আলোকে ঘিরেই বিশৃঙ্খলায় মত্ত একাংশ অন্ধকার। একে অপরের এতো কাছে, তবুও নিজেদের মধ্যে টু শব্দটি নেই। শব্দহীন দ্বন্দ বলা চলে। দোয়াতকলম আর নিউজপ্রিন্ট পাতা নিয়ে দিনের হিসাব কষতে একে একে জড়ো হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পদবিপ্রাপ্ত তারাগণ। গতকাল দেরি করে ফেরাতে এখনও অনুপস্থিত তারা প্রধান চাঁদ। তাই অফিস সম্পাদনে কিছু বিলম্ব বটে। শরীরে কাঁপ ধরানোর মতো জাদুটোনা বস্তাবন্দি করে উন্মাদ বাতাসেরা মদ্যপানে ব্যস্ত। এ সুযোগে পিঠে পাখা গজিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে ধূলকণারা। তাই ধাঁধা চোখেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ক্লান্ত ফেলে যাওয়া অপরিচ্ছন্ন শহুরে রাস্তাটির মুচকিহাসির মুখখানা। ফিসফিস শব্দে ঘুমন্ত সতেজ পাতাগুলো চোখ মেলে দেখে, আর না বুঝেই হা করে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে। দিনের কঠিন কঠিন শব্দে কান ঝালা-পালা হওয়ায় কৃত্রিম অট্টালিকাগুলো এদিকে আর সাঁই দিচ্ছে না। এতোরাতে অনৈতিক কাজের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে সময়গুলোকে, তবুও ধারাবাহিক ভাবে বয়ে যাওয়া সময়কে দেখে অবাক হয়েছে ভাগ্যরা। উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ায়, নতুন সূচি ঘোষণা করে পুনরায় নোটিশ করা হয়েছে।
(বেশ কিছুক্ষণ চুপ সবাই)
এতোটা সময় ধরে ঘটে যাওয়া কীর্তি দেখে মুচকি হাসি দিয়েই থেমে গেল শহুরে আগত আগন্তুক পেঁচারা। গাছের সবুজ পাতাগুলো ভেজাপ্রায়। ভেজা শরীরের পানে তাকিয়ে অবাক সবাই। এরই মধ্যে এলোপাতাড়িভাবে অবাদ যাতায়াত শুরু হয়ে গেলে শীতের দূত শান্ত বায়দের। অনেক গবেষণা শেষে শীতের কুয়াশার উপস্থিতি নিশ্চিত করে আবহাওয়াবিদ চড়ুইপ্রধান। শীতেদের এমন অনাকাঙ্খিত উপস্থিতি দেখে সাপ্তাহিক শালিশ বসেছে পাড়ায়। দীর্ঘক্ষণ দুপক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচি হঠাৎ করেও চুপ। ঠুক! ঠুক! বুট জুতোর শব্দ। মিটিং-এ আগত অতিথিরা ইতোমধ্যে এহেন অবস্থায় প্রত্যেকে স্ব স্ব শক্ত অবস্থান নিয়েছে। ডানে-বায়ে, উপরে-নিচে অর্ধশত চোখ উঁকি দিয়ে দেখে মানুষরূপে কেউ। পুরোনো কেউ জন্ম নেয়, নতুন ভোরের আভায়।