বাংলার সর্বত্র, অন্ধ গলি ঘুপচি ; কিংবা-
পাড়া মহল্লায়, যেখানে ছিল তোমার পদচারনা,
সেখানেই এনেছে
প্রাণের দীপ্ত জাগরণ!
অমর একুশ হে ,
কত রক্ত ঝরেছিল সেদিন-
তার হিসেব করবার ছিল না কেউ।
বরকত, শফিক-জব্বারের নির্মম আত্নাহুতি
জমাট রক্তে ভেজা রাজপথ,
সন্তান হারা মায়ের নিদারুণ অভিনয়!
এক বুক কষ্ট ভরা নির্জলা ব্যথাতুর চোখ-
সবই দেখেছে তুমি। তুমি জানো-
পশুরা খেলেছিল কী নির্মম হোলিখেলা,
আমাদের সন্তানেরা হয়েছিল বলিদান!
হে মহিমান্বিত একুশ-
অনেক মূল্য নিয়েছ সেদিন তুমি।
তবু আমাদের আশা,আশ্রয়; সংকটে সন্তাপে-
আজো আছ তুমি !
কী আশ্চর্য সামান্য কটি কথা,তোমার ছোয়ায়
হয়েছিল কী অগ্নিঝরা !
রাষ্টভাষা বাঙলা চাই
বাচার মত বাচতে চাই।
কী বিপ্লব কী প্রবল বিদ্রোহ!
বঞ্ছনার ঝরে জ্বালল দাউ দাউ আগুন ।
সব চক্রান্ত সব হতাশার জাল-
পুড়ে গেল এক নিমেষে!
আমি আজ স্বাধীন
আমার সকাল শুরু হয় পাঠশালার শিশুদের
আমার সোনার বাঙলা শুনে।
আজ আমার বাঙলা ভাষা,
পেয়েছে প্রতিষ্ঠা। আমি পেয়েছি-
আমার কথার ফুলঝুড়ি
আমার চিত্ত করে নতুন সুরের সন্ধান।
হৃদয় খোজে নতুন গানের কথা।
সে গানে আছে আমার মায়ের মুখ,
একুশের জয়গান!
মহিমান্বিত একুশ, তুমি রবে চির অম্লান।
Raat 3 ta, 17/02/08