২০০৭ সনের ডিসেম্বরে আমরা ১১ জন বন্ধু গিয়েছিলাম ভূটানে- সুন্দর ঝকঝকে তকতকে পাহাড়ের দেশ, আর মানুষগুলোও খুব ভালো। ভূটান আর দার্জিলিং মিলিয়ে ১০ দিনের tour এ মাত্র 1GB memory card নিয়ে পড়লাম মহা বিপদে, এত্ত সুন্দর সবকিছু যে ঘন ঘন click করে memory ফুরিয়ে গেল ৩ দিনেই। দু'চোখ ভরে দেখে মন ভরছিল না, তাই ক্যামেরার চোখ দিয়ে দেখে কিছু নিয়ে আসার চিন্তা। ভাবলাম, সেই অভিজ্ঞতা share করি সবার সাথে। লিখতে বড় আলসেমী আমার, তাই ছবি ব্লগ- কিন্তু ছবি বাছাই করতে গিয়ে সমস্যা- প্রত্যেকটা ছবিই আমার এত পছন্দ আর প্রায় হাজারখানেক ছবি। কোনটা রেখে কোনটা দেই- informative ছবি দেব নাকি photographic excellence এর? সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে আর চিন্তাশীল বাছাই এর ধৈর্যের অভাবে সামনে যা পেলাম, তাই দিয়ে দিলাম।
থিম্পুর প্রাণকেন্দ্রে clock tower আর সাথের plaza, এই প্লাজায় ওদের অনেক ধরনের প্রোগ্রাম হয়, আমরা থাকাকালীন সময়ে দূর্নীতি দমন নিয়ে একটা অনুষ্ঠান হয়- সবার জন্য উন্মুক্ত এই অনুষ্ঠানে ভূটানের চিত্রজগতের নায়ক-নায়িকারা অংশগ্রহণ করেছিল।
একটাই নদী ভূটানে, থিম্পুর পাশ দিয়ে একেঁবেকেঁ বয়ে চলেছে যাতে হাটুঁ পানির বেশী কখনোই দেখা যায় না।
হরেক রকম সুন্দর সুন্দর স্যুভেনির, ভুলেও হাত বাড়াবেন না- আগুন গরম দাম।
কী সুন্দর মুখোশ!
১৫০০ ফুট ট্র্যাকিং করে উঠা tango monastery থেকে পাহাড়ের view
tango monastery এর প্রাণকেন্দ্রে ছোট্ট গৃহে জ্বালানো প্রদীপশিখা
থিম্পু থেকে পারো শহরে যাওয়ার পথে পাহাড়ের গায়ে পাহাড়ের ছায়া, সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, ক্যামেরায় বন্দী করা সম্ভব না
৩৫০০ ফুট পাহাড়ী রাস্তায় ট্র্যাকিং করে পৌছঁতে হয় taksaang অথবা tiger's nest নামে পরিচিত এই বৌদ্ধ মন্দিরে
taksaang যাওয়ার পথে এক পাহাড়ের চূড়ায়, এই পাহাড় থেকে কিছুদূর নেমে আরেক পাহাড়ে উঠার পর সেই মন্দির।
অনেক কথাই তো বললাম, কথা বলব না করেও, এবার শুধুই কিছু ছবি দেখব।
আর্দ্রতাহীন পরিষ্কার নীল আকাশ (আবারো কথা বলে ফেললাম )
ফেরার পথে দার্জিলিং ঘুরে এলাম, কাঞ্চনজংঘার সে কী রূপ!
প্রত্যেক tour এ ছবি তোলার সময় আমার মন খারাপ হয়, যা দেখি ক্যামেরায় কেন তা ধরতে পারি না! কিন্তু হায়! সেও কি সম্ভব! আবার আমি আস্তিক হয়ে যাই- সৃষ্টিকর্তা মানুষকে যে লেন্স দিয়েছেন, তার সাথে মানুষের তৈরী লেন্সের যে বিরা-ট পার্থক্য। আর তাই বেরিয়ে পড়ুন, দু'চোখ ভঅরে দেখে নিন প্রকৃতির রূপ।