ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটি। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চাঁদের রাজ্যের নীল আকাশে। কোথায় সে উজ্জল চাঁদটি? না কোথাও খুঁজে পেলোনা তাকে।জ্যোৎস্না রাজ্যকে মেঘের ভেলারা আঁধারে ঢেলে দিয়েছে চাঁদের নির্মল আলোকে। শান্ত পরিবেশে গ্রীল ধরে একাকি দাড়িয়ে নীল আকাশের সাথে মিতালীতে লিপ্ত সে।
ক্ষনে ক্ষনে দূর দেশে হারিয়ে যাচ্ছে সে একাকি। স্নিগ্ধ আলোর খোঁজে দাড়িয়ে আছে অথচ বেরসিক মেঘের ভেলা আজ আর চাঁদ পৃথিবীর মিতালী সইলো না।নিষ্ঠুরের মতো চাঁদের গাঁয়ে জড়িয়ে দিয়েছে মেঘের চাদর।কি দরকার ছিলো এ পরিবেশে চাদর জড়ানোর? আজকের এ স্নিগ্ধ রাতটাতে কি মেঘের চাদর না জড়ালে চলতো না?
আকাশ পানে তাকিয়ে তাকিয়ে মেঘের দেশে উড়াল দিলো সে। সারি সারি মেঘের ভেলায় উড়াছে যেন সব। উড়ছে এলোমেলো চুল, জড়িয়ে রাখা ওড়না। পাড়ি দিচ্ছে প্রান্ত থেকে প্রান্ত, হারিয়ে যাচ্ছে প্রান্ত থেকে প্রান্ত, সন্ধান পাচ্ছে নতুন প্রান্তের।
ভাবতে ভাবতে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলো মেয়েটি। মোবাইল ফোনের মৃদু আওয়াজে আবার ফিরে এলো আলোহীন ব্যালকনিতে। ইচ্ছে করছিলো না এ স্বপ্নীল রাজ্যটা ছেড়ে যেতে, তবুও কিসের টানে ছুটে গেলো ফোনের কাছে। একটি ক্ষুদে বার্তা…………
ভেবেছিলাম…….
দেখবো রাতের অন্ধকারে
চাঁদ পৃথিবীর মিতালী,
কিন্তু হায়……..
সইলো না সুখ মেঘের ভেলার
চাঁদ পৃথিবীর মিতালী।
কি উত্তর দিবে মেয়েটি…………? সেও যে এখন চাঁদ পৃথিবীর মিতালী খোঁজে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে। অথচ মেঘের ভেলারা সে তা দিলো না। স্নিগ্ধ চাঁদের আলোয় মুগ্ধ হতে চেয়েছিলো কিন্তু গোমড়া মুখে নীল আকাশ বলছে আজ নয় আর মিতালী। চাঁদটি এসেছিলো মিতালী পৃথিবীর সাথে তেমনি করে চাঁদের আলোয় মিতালী করবে সে প্রিয় মানুষটির সাথে কিন্তু চাঁদ পৃথিবীর মিতালী নেই তাদের মাঝেও মিতালী প্রাণ নেই।
ভেবেছিলো ওপারের মানুষটি চাঁদের দিকে দেখিয়ে বলবে ……… অসম্ভব সুন্দর লাগছে চাঁদকে, তাকাও তো চাঁদের দিকে?
বলবে সেঃ হুম দেখছি আর দেখছি। খুঁজছি তোমায় ……
কিন্তু চাঁদ পৃথিবীর সে মিতালী যে আর হলো না। তাতে কি …….. নীল আকাশের সাথে তো মেঘের ভেলার মিতালী হচ্ছে। তাতেই তারা খুশি।দূর দেশে জ্বলতে থাকা উজ্জল নক্ষত্রগুলি সাক্ষী থেকে যাবে তাদের মিতালীর। কথায় কথায় হারিয়ে গেলো দুজন দুজনে মেঘের ভেলায় দূর আকাশের নীলের সীমানায়।