দুই কেজি দেই?
মুকুল পেপে পছন্দ করতো না, এখন খেতে হয়, লিভারের সমস্যারটার পর কাচা পেপে ভর্তা; সব্জীতে, শিং মাছের ঝোলে পেপে অবধারিত। লিভারের কারণে মদটাও ছাড়তে হয়েছে, কিন্তু ভদকার সাথে পেপে-ভিনেগারের যে সালাদটা খেতো সেটা ছাড়েনি। কিন্তু ১০ টাকা কেজির পেপে ছয়মাসে ৩০ টাকা হওয়ায় সে হতবাক হয়।
স্যার?
হ্যাঁ, দুই কেজিই দাও।
ঘরে ঢোকার মুখেই দেখে গেটের সামনে রাজ্জাক দাঁড়ানো। রাজ্জাক আসা মানেই কাজ আর কাজ মানেই টাকা। রাজ্জাক হলুদ দাঁত বের করে হাসে।
সালাম ভাই।
কী খবর!
রাজ্জাক কিছু বলে না, মুকল তালা খোলে। বেডরুম আর ড্রইংরুমের মাঝখানে প্যাসেজ ও বাথরুম। রাজ্জাক ড্রইরুমে বসে। মুকুল বাথরুমের দরজা খোলা রেখেই গোসল করে আর রাজ্জাকের সাথে কথা বলো।
রাজ্জাক, আমি বাইর হমু, তাড়াতাড়ি কামের কথা সারো।
কথা আর কি, ছবি, ঠিকানা নিয়া আসছি, এডভান্স আনছি।
মালটা কেডা?
চিনি না। পলিটিকাল অইতে পারে।
কতো আনছো?
যা দেই তাই, অহন বিশ বাকীটা পরে।
অইবো না।
জ্বি ভাই!
পঞ্চাশ লাগবো। নগদ। কাম শেষ হইলে আরো পঞ্চাশ।
কী কন ভাই! একটানে এতো দাম বাড়াইলে কেমনে অইবো!
অইবো না কেন, মাইনসের দাম কম! জানো, তিন মাসে পেপের দাম বাড়ছে তিনগুণ। সবখানেই দাম বাড়াইবা, লাশের দাম বাড়াইবা না! মানুষ মারা কি সোজা কাম? রেট বাড়াও।
রাজ্জাক নিরুত্তর, স্তব্ধ হয়ে যায়। বাথরুমে কলের শব্দ হয় অবিরল।