জীবনের প্রয়োজনেই বিভিন্ন সময়ে ভাড়া বাসাতে থাকতে হয়েছে। ৯৬ সালের দিকে ঢাকায় ইব্রাহিমপুরে কয়েকজন মিলে মেস করে এক বাসায় ছিলাম। বাড়ীওয়ালীকে ডাকতাম আপা আর বাড়ীওয়ালাকে দুলাভাই। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কন্যাদ্বয়কে ভাগ্নী আর পুত্রদ্বয়কে ভাগ্না। যদি পুত্র-কন্যাগন আবার আমাদের ভাই ডাকতো

কাজীপাড়ায় যে বাসায় ছিলাম সেটি ছিলো ১রুম+১কিচেন+১বাথ। বাড়ীওয়ালা বছরে শেষে ভাড়া বাড়ানো কথা বলতো না বরং আমি নিজে থেকেই প্রতিবছর সাধ্যমতো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছি। তিনিও মেনে নিয়েছেন। তিনি ছিলেন দুসম্পর্কের নানা। আত্নীয়তার সুবাদে নিয়মিত খানা-খাদ্যও জুটতো

এরপরে যে বাসায় ছিলাম সেটি শেওড়াপাড়া মাতবরের পুকুরপাড়ে স্বপন ভাই এর বাসা। তিনি আমার প্রায় সমবয়সী হওয়াতে বন্ধুর মতোই ছিলেন। ঢাকা ছেড়েছি ৫ বছর হলো। এখনও নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
রাজশাহীতে প্রয়োজনের তাগিদেই বছরে ১টি করে বাড়ি পাল্টে এখন তৃতীয় বাড়ীতে। আগের দু বাড়ীতে বাড়ীওয়ালা ভিন্ন জায়গাতে থাকতেন বলে যোগাযোগ সেভাবে নেই কিন্তু উল্লেখযোগ্য সমস্যাও হয়নি। বর্তমান বাড়ীতে রয়েছি ২বছর হলো। অসম্ভব একটি ভালো পরিবারের সাথে থাকার সুযোগ হয়েছে। তারা আমাদেরকে তাদের পরিবারের সদস্যই মনে করেন। নিয়মিত খাবারের ট্রে নেমে আসে উপর থেকে(উনারা তিন তলায়, আমরা দোতলায়)। উনাদের প্রতিটি পারিবারিক প্রোগ্রামে আমাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। আমরা একবেলা খাবার পাঠালে আগামি তিনবেলা খাবার উনারা পাঠাবেন এটি নিশ্চিত। উনাদের প্রায় সকল আত্নীয়দের বাসাতেও আমাদের যাতায়াত-খানাপিনা সুসম্পন্ন হয়েছে

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন। সবাইকে মিলেমিশে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।
[মাঝে মাঝে ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালা সম্পর্কের দু:খময় পোষ্ট পড়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতাটি দিলাম]