ব্লগ হলো রাহুমুক্ত। ব্লগার আসাযাওয়া বেড়ে গেছে। ফিরে এসেছে চিরায়ত ক্যাচাল ও প্যাচালের মজার দিনগুলো। ব্লগের অবমুক্তির পর থেকে, বলা যায়, প্রতিদিনই পালিত হচ্ছে ব্লগদিবস। তবে কেন জাতীয় ব্লগদিবসটি আড়ম্বরে পালিত হবে না! হতেই পারে না। ব্লগের মুরুব্বিরা বিভিন্ন জায়গায় গলাখাকারি দিয়ে এসব জানান দিচ্ছেন। কেন নয়!
মানুষ অতীতবিলাসী। স্মৃতিকাতর মন বলে, তবু কেন অনেক পরিচিত লেখকদেরকে আগের মতো দেখা যায় না? (হয়তো কেউ কেউ আসেন, আমি দেখতে পাই না)। তবে অনেককেই আগের মতো দেখা যায় না। কেন দেখা যায় না - কিছু জানি কিছু জানি না।
তাতে কার কী আসে যায়! দিন কেটে যায় গ্রহের স্বভাবে। মহাজগতের কোনকিছু কারও জন্য আটকে থাকে না। সকল 'ব্লগযুগেই' অনেক ব্লগার এসেছেন এই সামু সমাজে। তারা মাতিয়ে রেখেছেন দুর্দিনের বাংলা ব্লগকে। তাদের আনন্দ দেখলে কারও কারও 'বালকবেলা' অথবা 'বালিকা বেলার' কথা মনে পড়ে। কারও মনে পরে লেখককালের কথা (ব্লগ ছাড়া তারা লেখেন না)।
অতএব বাংলা ব্লগ যেন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এরমধ্যেকার লেখক জনতা, এর উত্তরণ, জাগরণ, অবদমন, পুনরুত্থান সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক মাইক্রো-বাংলাদেশ। সর্বংসহা সামু আর সর্বংসহা বাংলাদেশ - যেন একাকার।
জীবন আছে যাদের যতদিন, মানুষ ততদিন বারবার জেগে ওঠে। 'জেগে ওঠা' মানুষের আজন্ম স্বভাব। সামুও কতবার জেগে ওঠেছে সঠিক হিসেব কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।
কিন্তু সামুর সাথে জেগে ওঠেছে অগণিত বাঙালির লেখক আত্মা, স্বদেশ প্রেম, বাংলাদেশী মন, জাগরণ। এ অর্জন অপরিমেয়।
এদের সবার জন্য বিশেষ বার্তা নিয়ে এগিয়ে আসছে বাংলা ব্লগদিবস। সবাইকে আগাম শুভেচ্ছা!