ধরুন আপনি একটা বহুতল ভবনের উপরের কোনো তলায় উঠার জন্য লিফটে উঠেছেন। অনেক মানুষ। এই সময় কি কখনো ঘামের দুর্গন্ধে আপনার লিফট থেকে লাফ দেয়ার কথা মনে হয়নি?
কনফারেন্স রুমের মধ্যে গায়ে দুর্গন্ধ ওয়ালার ভালো কথাও আপনার কাছে অত্যন্ত বাজে মনে হয়নি? সহযাত্রীর উচ্চ কণ্ঠের ফোনে আলাপচারিতায় যত না বিরক্ত হয়েছেন, তার চেয়ে বেশী বিরক্ত হয়েছেন তার বগলের ঘামের দুর্গন্ধে।
যেমনি আমাদের কেউ শেখায় না ফুটপাতে থুতু ফেলা নিষেদ তেমনি কেউ শেখায় না যে খাওয়ার টেবিলে ঢেঁকুর তোলা মারাত্মক অপরাধ।
বাংলাদেশ গরম প্রধান দেশ। এখানে আমার হিসাবে ৯ মাস গরম। বাতাসে জলীয়বাস্প অনেক। তাই ঘাম আমাদের হবেই। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে সহজেই এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারি। দেখে নেয়া যাক পরিত্রানের উপায়।
সাধারণত ঘামের কোনো গন্ধ নেই। আমাদের ত্বকে থাকা বাক্টেরিয়া ঘামের সংস্পর্শে এসে বহুগুনে নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করে আর আমাদের দিয়ে যায় দুর্গন্ধ !!!!
এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ৬ টি বিষয় আমাদের সবসময় মানতে হবে :
১) নিজেকে "ঝকঝকে তকতকে " রাখুন। না ভাই, আপনাকে হারপিক দিয়ে ধৌওয়ার কথা বলছি না। দিনে অন্তত দুইবার গোসল করুন। গোসল আপনার শরীরে জমে থাকা ধুলা ময়লার সঙ্গে বাক্টেরিয়ার গুষ্টি নাশ করবে।
২) আন্টি-বাক্টেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে সাধারণ সাবানের বদলে আন্টি-বাক্টেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। বাজারে অনেক ডিওদরেন্ট সাবান বা শাওয়ার জেল পাওয়া যায়। দেখতে পারেন।
৩) পর শরীর ভালো করে মোছা অবশ্য কর্তব্য। একদম ড্রাই হতে হবে।
৪) এরপর নিয়ে আসুন "কারখানার শক্তি" । আমি বলছি বডি স্প্রে, ডিওডরেন্ট ও আন্টি পার্সেপায়রেন্ট এর কথা। আমি বাক্তিগত ভাবে তিন নাম্বারটা পছন্দ করিনা। আমি মনে করি ঘাম একটা স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। এটাকে বাধা দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ না। এগুলোর মধ্যে যে আরোমা আপনার শরীরের গন্ধের সাথে মিলে সুবাস দেয়, সেটাই সেলফ থেকে তুলে নিবেন। মনে রাখবেন, ভারতীয় বিজ্ঞাপনে এক্স ইফেক্ট যাই হউক , নিজের দুর্গন্ধ ঢাকাই এটা ব্যবহারের মূল কারণ।
৫) আপনার কাপড় ঝকঝকে তকতকে রাখুন।
৬) বেশী মশলাদার খাওয়া যা আপনার শরীরে অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্গন্ধ তৈরী করতে পারে, যেমন বেশি বেশি রসুন পেঁয়াজ থেকে দুরে থাকুন।
সুগন্ধ নিয়ে বাঁচুন, উঠে যান অন্য এক উচ্চতায়।
তথ্য ছবি সূত্র: ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২২