এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি অনেক কম দেখা গেল।
রেলওয়েতে সবচেয়ে নাটকীয় চমক দেখালো।
কোন লম্বা লাইন নেই টিকেট কাউন্টারে। নেই কালোবাজারি নেই কোন হই হট্টগোল। এনআইডির মাধ্যমে টিকিট কাটা। টিকেট যার আসন তার। পোস্ট লেখা পর্যন্ত ছাদে কোন যাত্রী নেই।
এবার ঈদ যাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নবনির্মিত পদ্মা সেতু। রেকর্ড সংখ্যক যানবাহন পদ্মা পাড়ি দিয়েছে। যার কারণে আরিচামুখি যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে গেছে। বরিশাল পটুয়াখালী পিরোজপুরের লঞ্চ যাত্রীরা পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সড়ক পথ ব্যবহার করায় সদরঘাটের ভিড়ও নাটকীও ভাবে কমে গেছে। আর ঈদের ছুটিতে এবার মোটরসাইকেল কে সেতু পার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে শর্তসাপেক্ষে।
সহজ যাতায়াতের স্বার্থে ভিন্ন ভিন্ন দিনে গার্মেন্টস কারখানায় ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকেই পর্যায়ক্রমে তিন দফায় পোশাক কারখানা ছুটি দেওয়া শুরু হয়।যে কারণে এবার ঈদ যাত্রায় বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি একদমই।
বছরব্যাপী ডলার সংকট ব্যাংকের তারল্য সংকট সত্ত্বেও শতভাগ কারখানার শ্রমিকদের বেতন ঈদের আগেই পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছে। সাথে ১০০% কারখানার ঈদ বোনাসও দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
বোনাসের পাশাপাশি চলতি এপ্রিল মাসের সম্পূর্ণ কর্ম ঘন্টার বেতন অগ্রিম পরিশোধ করছে ৮২% পোশাক কারখানা। অর্থাত ১,৭৬৮টি কারখানা।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।