বখাটেদের উৎপাতে কিছুদিন যাবত পত্রিকা পড়া যেতনা । এখন কিছুটা কমলেও পুরোপুরি নির্মুল হয়নি । যদি পোষ্টারিং করে কিছুটা সচেতনেতা বাড়ানো যায় সেই চিন্তা থেকে স্বপ্নের শুরু । কিছু স্বাপ্নিক মানুষের পরিশ্রমে একটা পোষ্টার দাঁড় করানো আর তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিছু সেচ্ছাসেবক । আমিও তেমনি একজন । চেষ্টা করেছি ছড়িয়ে দিতে পেরেছি কিনা জানিনা । আমাদের পোষ্টারিং এর ফলে একজন মানুষ ও যদি সচেতন হয় সেটাই সফলতা ।
পোষ্টারগুলো হাতে পেয়েছি আজ একসপ্তাহের বেশী, ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য পোষ্টারের সদব্যবহার করতে পারেনি । গতকাল লাগানোর ইচ্ছা ছিল তাও হয়ে উঠেনি । আজ অফ ডে ছিল, বন্ধুদের জানালাম তারা সানন্দে রাজী । সকালে আটা কিনে বন্ধুর মেসে আঠা বানিয়ে অন্যদের জন্য অপেক্ষা । আমরা পোষ্টার লাগানো শুরু করি মালিবাগের শান্তিবাগ থেকে । বিজয়ের মাসে মাথায় ছিল পতাকা আর মনে ছিল উৎসাহ ।
(হোসাফ টাওয়ারের সামনে......ডেস্টিনির সামনেও বলতে পারেন )
বাস, রিক্সা কোনটাই বাদ যায় নাই......... এক বাসের কন্ডাক্টর এসে চেয়ে নিয়ে গেল তার বাসে লাগানোর জন্য সেইসাথে আমাদের নাস্তাও করাতে চাইল । কৃতজ্ঞতা তার প্রতি ।
মৌচাক মার্কেটের সামনে, সবার উৎসাহ দেখার মত ছিল ।
মেয়েরা পিছিয়ে থাকবে কেন......
আরো অনেক অনেক ছবি আছে কিন্তু দেওয়া হয়ত যাবে না । ছবিগুলা রিসাইজ করা বিধায় ভাল নাও লাগতে পারে ।
আমাদের ক্যাম্পাসের লাব্রেরি থেকে শুরু করে সুইমিং পুল পর্যন্ত লাগিয়েছি । সবচেয়ে ভাল লেগেছে সাধারণ মানুষগুলোর সাহায্য সহযোগীতা । তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা । এক দাদু তার নাতির জন্য একটা পোষ্টার নিয়েছে কারন তার নাতি নাকি মেয়ে দেখলে চোখ টিপি মারে অবশ্য তার বয়স মাত্র তিন । এক সি এন জি ওয়ালা এবং কয়েকজন লোক গ্যারেজে এবং পৌরসভার ভিতরে মারার জন্য পোষ্টার নিয়েছে ।
ধন্যবাদ সবাইকে, যারা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং যারা কাজ করে যাচ্ছেন । আমি এর সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে গর্বিত অনুভব করছি ।