গত দুইমাস যাবত আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীতে যাদের দেখছি তাদের মাঝে ডঃ ইউনুস বাদে আসিফ নজরুল , নাহিদ ও আসিফ ছাড়া আর কাউকেই বিপ্লবী ভুমিকায় দেখা যাচ্ছে না। বর্তমান উপদেষ্টা মন্ডলী এখন পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রসাষনে ডিসিপ্লিন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যার্থ হয়েছেন। উপদেষ্টাদের দুর্বল ভুমিকার কারনেই এসব ঘটছে। পাওয়ার হাতে থাকা সত্ত্বেও তারা সেই পাওয়ার ব্যবহার করছেন না। সর্বত্র একটা বিশৃংখলা প্রতীয়মান হচ্ছে। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা এখনও সক্রিয় এবং তারা প্রতিমুহুর্তে তাদের নখ দন্ত দেখিয়ে বেড়াচ্ছে !! যে কোন অঘটন ঘটলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের দৌড়ে যেতে হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে!! দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা একেবারেই দিচ্ছে না। বিশেষ করে দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল বিএনপির ভুমিকা খুবই ন্যক্কারজনক। বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় চাদাঁবাজির অভিযোগ ছাড়াও স্বৈারাচারী আওয়ামিলীগের পুর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জেলায় টাকার বিনিময়ে প্রচুর লীগের নেতাদের শেলটার দেয়ার খবর পত্রিকায় এসেছে। এছাড়াও দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা পুরোপুরি নিরাবতা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন ছাড়া তাদের মুখে আর কোন কথা নাই। চরিত্রের দিক দিয়ে আওয়ামিলীগ ও বিএনপির যে কোন পার্থক্য নাই , তাতো আমাদের সবারই জানা আছে। ক্ষমতায় গিয়ে রাস্ট্রীয় সম্পদ লুটপাঠ ব্যতীত তাদের দ্বীতিয় আর কোন এজেন্ডা নাই।
দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অন্তর্বরতী সরকারকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী রাজনৈ্তিক দল। আর তাই নতুন একটা রাজনৈতিক শক্তির উত্থান এখন বর্তমান সময়ের দাবী। আমাদের চাটুকার ও টাকার কাছে বিক্রি হওয়া গনমাধ্যমগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারনে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক ও ইউটিউব দীর্ঘদিন ধরেই বস্তুনিষ্ঠ খবরের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন অনলাইন এক্টিভিস্টরা বছরের পর বছর ধরে তাদের তথ্য ও বিশ্লেষন সম্বলিত ক্ষুরধার লেখা ও ভিডিওর মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের ভিত বহু আগেই নাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরী ও জনমত তৈরীেতে অনলাইন এক্টিভিস্টদের বিড়াট ভুমিকা রয়েছে। এইসব অনলাইন এক্টিভিস্টদের অধিকাংশই পতিত স্বৈরাচারী সরকারের বিরাগভাজনের শিকার হয়ে গুম, খুন এড়াতে বিদেশে পারি জমিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দেশে থাকা পরিবার পরিজন হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কিন্ত তারপরেও থেমে থাকেনি তাদের কলম। নতুন রাজনৈ্তিক দলে এই নির্ভীক মানুষদের আমরা দেখতে চাই ।
ফেসবুক ও ইউটিউবে জনপ্রিয় অনলাইন এক্টিভিস্ট হচ্ছেন পিনাকি ভট্টাচার্য , জুলকারনাইন সায়ের , জিয়া হাসান, গোলাম মর্তুজা, ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ, ড জাহেদুর রহমান, ব্যরিস্টার ফুয়াদসহ আরো অনেকেই। এরা সবাই একটা প্ল্যটফর্মে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া কিছু সম্ন্বয়কদের সাথে নিয়ে একটা রাজনৈ্তিক দল গঠন করলে দেশ ও জনগন অনেক উপকৃত হবে। এরা সবাই উচ্চশিক্ষিত , যোগ্য ও দুঃসাহসী । দেশ পুনর্গঠনে আমরা এই সাহসী বীরদের দেখতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৬