১৯৯৭ সালে করা নারী নীতি অনুযায়ী ২০১১ সালে আবার নারীনীতির খসড়া পাস হয়েছে। যেখানে সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারীকে সমভাগ দেয়ার কথা প্রস্তাব করা হয়েছে। যারা এ ব্যাপারে তর্ক করতে চান তা তাদের ব্যক্তিগত অভিরুচি। কারণ আমরা আমাদের নাতিদীর্ঘ জীবনাভিজ্ঞতায় জানি দিনের শেষে কোন নিয়ম আইন আমাদের রক্ষা দিতে পারবে না। যে সঙ্গীর সাথে সারা জীবন পার করি সে যেমন মর্যাদা দেয় না, তেমনি বাবা ভাই সন্তান কর্মসহযোগী কেউই আমাদের জেন্ডার বান্ধব নয়।
শুধু একটা বিস্ময় সবসময় মনে জাগে একটা খসড়া পাস হবার সাথে সাথে কিভাবে ইসলামী (!) ঐক্যেজাট নামক একটি সংগঠন হরতাল ডেকে ফেলতে পারে?
এরা কখনো যৌতুকের বিরুদ্ধে কথা বলে না, হেনার মতো শিশু ধর্ষিত হয়ে মারা গেলে এদের ইসলামী দিল কেঁপে উঠে না, দিনের পর দিন বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিলে এরা সরকার প্রশাসন আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীকে চাপের মুখে ফেলার জন্য হরতাল বা বিক্ষোভের আয়োজন করতে পারে না। কিন্তু নারীর জন্য ভালো উদ্যোগ গৃহীত হবার সম্ভাবনা দেখা দিলে এরা রাজপথে, আধুনিক শিক্ষানীতি চালু হলে এরা রাজপথে, ফতোয়া নিষিদ্ধ হলে এরা রাজপথে- এরা কি কারো গর্ভজাত মানুষ না কি কুকুর হাঁটতে হাঁটতে এদের রাস্তাতেই ফেলে দিয়ে গেছে?
বড় বিসম্য় জাগে। এধরনের মানুষ ও জন্মায়, এরা স্বাধীন দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায় ভেবে কেমন যেন এলোমেলো লাগে। মনে হয় ম্যাজিক দেখছি। কানের মাঝে কিছু শব্দ ব্যঞ্জনার সৃষ্টি করে- দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই অমুকের, আমরা ক্ষমতায় এলে তমুকের হৃত সম্মান ফিরিয়ে দেব। পূর্ণিমার সম্মান কে ফিরিয়ে দেবে? যাকে ২০০১ এর নির্বাচনের পর গণধর্ষণ করা হয়েছিলো?
আমাদের কারো কোন সম্মান নেই। আমাদের অধিকার নেই। আমরা কতিপয় 'না মানুষ' সার্কাস দেখি। ইসলামী (!) ঐক্যজোট হরতাল ডেকে যায়। আমাদের চাঁছা ভ্রুর নীচে রঞ্জন রঞ্জিত অধরে এদের জন্য কোন তিরস্কার গর্জে উঠে না। কেবল তারা আমার দুষ্কর্মের দোসর বলে।