



১) সাইফ উল আজম(দা লিজেন্ডারী ঈগল অফ দা স্কাই): পাবনায় জন্মগ্রহনকারী এই বীর বৈমানিক আকাশ যুদ্ধের জগতে তার বীরত্বের স্বরূপ রেখেছেন অনন্য কিছু রেকর্ডের মাধ্যমে।একজন বাংলাদেশী হিসেব গর্বে বুকটা ভরে উঠলো যখন জানতে পারলাম সাইফ উল আজম সম্পর্কে। সাইফ উল আজম ১৯৬০ সালে কমিশন লাভ করেন পাকিস্তানী বিমানবাহিনীতে।পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এরিজোনার লুক এয়ারফোর্স বেস থেকে এফ-৮৬ এয়ারক্রাফট চালানো শেখেন এবং কৃতিত্বের সাথে টপগান সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তার সহপাইলটরা তাকে ডাকতো বর্ন পাইলট হিসেবে।
১৯৬৫ সালে ফ্লাইং অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকার সময় তিনি ভারতে একটি গ্রাউন্ড এট্যাক শেষ ফেরার পথে তার ফরমেশন দুটি ভারতীয় ফল্যান্ড ন্যাট দ্বারা বাউন্সড হয় এবং তার মধ্যে একটিকে তিনি শুট ডাউন করেন।তার ভিকটিম ফ্লাইং অফিসার মায়াদেবকে পরে পাকিস্তান যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করে। তার এই সাহসীকতার জন্য তৎকালীন পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান তাকে সিতরাত-এ-জুর্রাত(পাকিস্তান ডিফেন্স ফোর্সের তৃতীয় সম্মানজনক পুরস্কার) প্রদান করেন।
সাইফ উল আযম তার কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন ১৯৬৭ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধেও।আরব ইসরায়েল যুদ্ধে পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন না করলেও ষোল জন পাইলটের একটি দল ডেপুটেশনে পাঠিয়েছিল জর্দান এয়ারফোর্সে।সাইফ উল আযম সেই ষোল জনের দলে ভলান্টিয়ার হিসাবে যোগদেন।
৫ জুন ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলী এয়ারফোর্স জর্দানের মাফরাখ এয়ারফোর্স বেস আক্রমণ করে। শুরু হয় ইসরায়েলী এয়ারফোর্স এবং জর্দানী এয়ারফোর্সের মধ্যকার ডগফাইট বা আকাশ যুদ্ধ।সাইফ উল আযম সেই যুদ্ধে একটি ইসরায়েলী বিমান শুট ডাউন করেন এবং আরেকটিকে আংশিকভাবে বিধস্থ করেন।যা থেকে ধোয়া বের হতে থাকে এবং পরবর্তীতে ইসরায়েল এর দিকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। সাইফের এমন বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে জর্দানের বাদশা হুসাইন তার ব্যক্তিগত গাড়িতে সাইফকে নিয়ে বের হন আরেক পাকিস্তানী অসুস্থ(আহত নয়) পাইলটকে দেখতে এবং ৪০ কিমি যাত্রাপথে সাইফকে বাদশাহ ছোটভাই হিসেবে সম্বোধন করতে থাকেন। জর্দান তার বীরত্বের পুরস্কার স্বরূপ তাদের ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রিয় পুরস্কার Wisam al-Istiqla-এ ভূষিত করে।
এর দুদিন পরে ইরাকী এয়ারবেস H-3 তে হামলা চালায় ইসরায়েলী এয়ারফোর্স।কিন্তু তারা জানতেন না তাদের দুঃস্বপ্ন বাঙ্গালী সাইফ সেদিন একটি ইরাকী হান্টার নিয়ে উড়ছিলেন ইরাকের আকাশে শত্রু সন্ধানে।সাইফ এর ফরমেশন চারটি বম্বার এবং তাদের এস্কর্ট করা দুটি মিরেজ এর মুখোমুখি হয়।একটি ইসরায়েলী মিরেজের আঘাতে সাইফ এর টেইলিং বিমানটি বিধস্ত হয়।কিন্তু সেই ইসরায়েলী মিরেজের পাইলট, ক্যাপ্টেন গিডেওন দ্রোর পরিণত হন সাইফ এর শিকারে।দ্রোর এর বিমান সাইফের হান্টারের আক্রমণে বিধস্ত হলেও দ্রোর প্যারাসুট দিয়ে নিরাপদে অবতরণ করেন এবং যুদ্ধবন্দী হিসেবে ইরাকী বাহিনীর নিকট আটক থাকেন। একই সময়ে সাইফের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আরেকটি ইসরায়েলী বম্বার যার পাইলটও ইজেক্ট করেন। পরবর্তীতে ইরাকের কাছে বন্দী দুই পাইলট এর বিনিময়ে ইসরায়েল ৪২৮ জন জর্দানী বন্দীকে মুক্তি দেয় । ২০০৩ সালে ইরাকী মিউসিয়াম থেকে উদ্ধারকৃত একটি ইসরায়েলী বিমান বাহিনীর হেলমেট নিয়ে বিবিসি একটি নিউজ করে । সে নিউজে ক্যাপ্টেন দ্রোর(বর্তমানে ইসরায়েল এর একটি কমার্শিয়াল এয়ারলাইনে কর্মরত) বলেন সে সময়ের দুঃসহ স্মৃতি কিছুই তার মনে নেই।
তার এই কৃতিত্বের জন্য ইরাকী সরকার তাকে রাষ্ট্রিয় পুরস্কার নাওয়াত আল সুজাতে ভূষিত করেন।
ভিনদেশে গিয়ে পাকিস্তানের মুখ উজ্জ্বল করার কারণে দেশে ফেরার পর পাকিস্তান সরকার পুনরায় এই অকুতভয় বাঙ্গালীকে পাকিস্তানী রাষ্ট্রিয় পুরস্কার সিতরাতে বাসালাত প্রদান করেন।
সাইফ উল আযমের ইউনিক রেকর্ডগুলো হল তিনটি দেশের রাষ্ট্রিয় পুরস্কার প্রাপ্তি(পাকিস্তান,জর্দান,ইরাক,জর্দান) তার মধ্যে পাকিস্তানেরই দুবার।ইসরায়েলী এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী কিল। দুটো ভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে স্কোর করা(ইসরায়েল এবং ভারত)।যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স লিভিং ঈগল হিসেবে স্বীকৃত দেয় সাইফ উল আযমকে।সারা বিশ্বে লিভিং ঈগল আছেন আর মাত্র বাইশ জন।যেন তেন কথা না

১৯৭১ সালে সাইফ উল আজম অন্যান্য বাঙ্গালী পাইলটদের মত গ্রাউন্ডেড থাকেন।পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশ এয়ারফোর্সে যোগদান করেন এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন হয়ে অবসর গ্রহন করেন।তিনি সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান,চলচিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রধান এবং ৯১ সাল থেকে ৯৬ সাল নির্বাচিত সাংসদের দায়িত্ব পালন করেন।এই অসীম সাহসি মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা।
৩) মুহাম্মদ মাহমুদ আলম: মুহাম্মদ মাহমুদ আলম পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এয়ার কমোডোর পদে থেকে অবসর গ্রহন করেন। পাকিস্তানী এয়ারফোর্সের পাইলটদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী কিল তার(নয়টি)।মুহাম্মদ মাহমুদ আলম সম্পুর্ন নতুন একটা টেকনিকে ১৯৬৫ সালে ভারতের বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ধ্বংস করে। এফ-৮৬ স্যাবর জেটের মতন মান্ধাতা জঙ্গী বিমান নিয়ে ৩০ সেমেন্ডে ৫ টা বিমান ও সেই একই ফ্লাইটে মোট ৯ টা বিমান ভূপাতিত করা, এইটা এখন পর্যন্ত ডগফাইট এ বিশ্বঃ রেকর্ড। হলিউডি ফিল্মেও চিন্তা করা যায় না। এটি একটি মিথ।এখনো পাইল্ট রা তার নাম শ্রদ্ধাসহ শরন করেন। পাকিস্তান এয়ারফোর্সে তাকে দেবতা সুলভ দৃষ্টিতে দেখা হয়।পাকিস্তান ডিফেন্সের তৃতীয় সম্মানজনক পুরস্কার সিতরাত-এ-জুর্রাত পান তিনি। বাঙ্গালী হওয়াতে ১৯৭১ সালে তাকেও গ্রাউন্ডেড করা হয়।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়-মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে পাকিস্তআন একমাত্র দেশ যাকে ভারত ও ইসরাইল উভয়ের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে।
সংস্থাটিকে ১৯৪৮, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে ভারতের সাথে ও ১৯৬৭ ও ১৯৮৪ সালে ইসরাইলের সাথে ক্রসফায়ারে পড়তে হয়।
এটি একমাত্র মুসলিম ফোর্স যারা আকাশ থেকে আকাশে কমব্যাট মিশনে ভারতীয় ও ইসরাইলি বিমান বাহিনীর বিমানকে গুলি করে।
১৯৬৫ সালে এই বাহিনী ভারতের বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ধ্বংস করে। এখন পর্যন্ত এটি একটি বিশ্বরেকর্ড।
১৯৬৭ সালে তিনটি ইসরাইলি বিমান এই বাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করে। ওই সময়ে ইসরাইলি বাহিনী জর্দানে বিমান হামলা শুরম্ন করেছিল।
১৯৮৪ সালে এই বাহিনী ভারত ও ইসরাইলের যৌথভাবে পাকিস্তôানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলাকে বন্ধ করতে পেরেছিল।
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে পাকিস্তôান একমাত্র দেশ যার লং রেঞ্জ মিসাইল একসাথে ভারত ও ইসরাইলের যেকোনো প্রান্তেô আঘাত হানতে সড়্গম।
এই বাহিনীর মতো একসাথে বন, পাহাড়, সাগর, উন্মুক্ত ও মরম্নভূমি এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করা অন্য কোনো মুসলিম দেশের পড়্গে সম্ভব নয়।
মুসলিম দেশের মধ্যে পাকিস্তôানই একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দেশ।
অথচ বাংলাদেশের মতো দুর্বল সামরিক শক্তির কাছে হেরে যেতে হয়েছে পাকিস্তানকে। পারবে কিভাবে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এলিট যোদ্ধাদের বেসিরভাগ ই বাঙালি

বলা হয়ে থাকে ১৯৬৫ সালে যুদ্ধতে বিমানবাহিনীর পর তৎকালীন সেনাবাহিনীতেও বাংলাদেশীদের যথেষ্ট অবদান ছিল। ১৯৬৫ যুদ্ধতে বাঙ্গালীরা না থাকলে পাকিস্তানের খবর ছিল।১৯৬৫ সালে যুদ্ধতে বেঙ্গল রেজিমেন্ট এম ন মাইর দিসিলু ইন্ডিয়া রে,যে ৭১ রে ঈন্দিয়া বাংলা দেসের উপর তাদের প্রভাব টিকিয়ে রাখার জণ্য জেনারেল ওসমানী কে চাপ এ রাখার জন্য ভারতপ্নথি আওয়ামি মজিব বাহিনি গঠন করে এবং তাদের আলাদা পাওয়ার দেয়া হয়,আবার মিত্র বাহিনি নিজেদের খেয়াল খশি মত অভিজান চালাত,এতে মুক্তিবাহিনির সুপ্রিম কমান্ডার জেনারেল ওসমানীকে জানানোর প্রয়জন মনে করত না। যাক সে কথা ,যোদ্ধা জাতি না... এই ধুয়া তুলে তৎকালিন পাকিস্তান আর্মড ফোর্সে বাঙ্গালীদের খুব একটা সুযোগ দেয়া হত না...কিন্তু যে গুটিকয় ব্যক্তি সুযোগ পেরেছেন তারাই সর্বচ্চো কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন..কর্নেল তাহের অ্যামেরিকায় ফ্রগ্ম্যান ট্রেনিং এ যে সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন তা ঐ সময়ের পাকিস্তান সেনা বাহিনীর কারো ছিলো না..।জিয়াউর রহমান ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। যুদ্ধে দুর্ধর্ষ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বীরত্বসূচক পুরষ্কার লাভ করে, জিয়াউর রহমানের কোম্পানি ছিল এদের অন্যতম। ১৯৬৫ সালে যুদ্ধতে বেঙ্গল রেজিমেন্ট না থাকলে নাকি আজ লাহোর ভারতের অধীনে থাকতো কথাটা ১০০% সত্য। কারন লাহোরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ভারতীয় সৈন্যদের দল কে বাঙ্গালী রেজিমেন্ট রুখে দিয়েছিল যা অন্য রেজিমেন্ট পারেনি।পাকিস্তান ডিফেন্স ওয়েব সাইটে বিস্তারিত দেওয়া আছে। বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর সাহসিক তায় আইয়ুব খান ব ল তে সাহস পান যে ১ জন পাকিস্তানই ৩ জন ইন্ডিয়ান যোদ্ধার সমান।
আজকেও বাঙ্গালী অফিসার বিশেষ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অফিসাররা ইন্ডিভিজ্যুয়াল হিসাবে দুনিয়ার যে কোন বাহিনীতে কাজ করার যোগ্যতা রাখে...আমাদের শুধ ইক্যুয়িপমেন্ট আর ঐক্যের অভাব.. সাহস আর দক্ষতার অভাব কোন দিন ছিলো না ...থাকবেও না।
সুতরাং বাঙালি হেলা ফেলার জিনিস না



আকাশ কাঁপানো বিস্মৃত কয়েক জন বাঙ্গালী বীর -Neelpoddo
বি: দ্রঃ ইহা একটি কপি পেস্ট মারকা পোস্ট ,নিজে এই তথ্য জেনে এত অবাক হইসি যে পোস্ট না দিয়ে থাকতে পারলাম না



Top 10 অ্যাকুস্টিক গিটার Song ব্লগ লিঙ্ক mp3 ডাউনলোড লিঙ্ক সহ ।দেখি আপনাদের সাথে মিলে কিনা

বাঙ্গালী বীর যাদের না চিনলে বাঙালি হিসেবে জীবন বৃথা

জোছনা আর সেই মেয়েটি
পলিটিক্যাল জোক ও একটি আষাঢ়ে ছবি





আমি বাচতে চাই,সে জন্য শেখ,জিয়া কি জিনিস না জানলেও চলবে!

আমার দেখা প্রিয় কিছু অ্যানিমেশন মুভি ( যে গুলো না দেখলে জীবন বৃথা )
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:২৭