আমার ধর্ম জ্ঞান নেহাত অল্প তাই ধর্ম নিয়া বেশি কথা বলব না। যারা সামুতে নিয়োমিত আছেন তারা খেয়াল করে থাকবেন যে, অতি সম্প্রতি আমাদের একজন ব্লগার তা পোষ্টে খুব চমৎকার ভাবে সেক্স লাইফে ইসলামের বিধান আলোচনা করেছেন এবং ব্লগ কর্তীপক্ষ সেটাকে প্রমোট করার জন্য ষ্টিকি করেছিল। এটা নিয়ে দুই একটা অতিমানব যারা নিজেদের মুক্ত চিন্তার ধারক বাহক মনে করেন তারা হই চই করা শুরু করেছেন। ব্লগ ছাগুতে ভরে গেল.... ধর্মের মধ্যে সেক্স ঢুকিয়ে আপনাকে ধর্মহীন করে দিল.... ব্লা.... ব্লা.....
এদের ধর্মের প্রতি দরদ দেখে আমি পুরাই টাস্কিত। আপনি রাষ্টিয় বা সামাজিক সমস্যাগুলিকে ধর্মের আলকে আলোচনা করতে চান তাহলে এরা আপনাকে জাশি ট্যাগ দিবে...ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ধর্মের আলকে কথা বলেন আপনাকে ধর্মান্ধ বলবে। এদের মতে ধর্ম খুবই স্পর্শকাতর বিষয় এটা নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
এরা আগে বলত রাজনীতির ভিতর ধর্মকে টানা যাবে না। ধর্ম যার যার রাজনীতি সবার। রাষ্টিয় জীবনে ধর্মের কোন স্থান নাই, ধর্ম ব্যক্তিগত ভাবে পালনের বিষয়। কিন্তু ইদানিং ঐ একই গোষ্টি বলাশুরু করছে, ধর্মের মধ্যে সেক্স ঢুকিয়ে একটি পক্ষ নাকি আমাদের মাথা নষ্ট করছে।
ধর্মের মুল উদ্দশ্যই হল মানুষের জীবনের সুন্দর বিন্যাস। যদি কেউ ধর্মকে বিশ্বাস করেন তাহলে তার জীবনের প্রতিটি কাজেই তার প্রতিফলন পাওয়া যাবে। সেটা রাষ্টিয়, সামাজীক বা একান্ত ব্যাক্তিগত জীবন যা..ই হউক না কেন। আর ইসলাম এমন একটা ধর্ম যেখানে আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজের মুলনীতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বলা আছে।
আজকের সমাজে অবাধ জৈনাচার সামাজের একটা বিরাট ব্যাধী। আজ যেখানে অবৈধ ও আবাধ জৈনাচার, নগ্নতা, বেহাল্লোপনায় ছেয়েে যাচ্চে সমাজ, সেখানে কেউ একজন মুসলিমরা কিভাবে এই সব আপদ থেকে রক্ষা পাবেন এবং মুসলিমদের যৌন জীবন কেমন হবে বা মুসলিমরা কিভাবে তাদের যৌন জীবন উপভোগ করবে তা সুন্দর ভাষায় আলোচনা করতেছেন সেখানে এই অতি মুক্তমনা গোষ্টির চুলকানী শুরু হয়েছে।
ওহে তথাকথিত মুক্তমনা সুশিল সমাজ, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ তোমরা যদি ধর্মকে সয্য না করতে পার তাহলে বাংলাদেশে অনেক সংগঠন আছে যারা নিজেদের ধর্মহীন দাবী করে তাদের সাথে যোগাযোগ কর। তোমরা নিজেদের মধ্যে এন্যাল, ওরাল, মাষ্টার যা খুশি কর আমাদের কোন বাধা নাই। তবে দয়ে করে যার তাদের পিছু লেগে থেক না যারা তাদের ধর্মের অনুভূতি নিয়ে এবং নিজেদের বাক্তিগত জীবনে ইসলাম মেনে চলতে চায়।
ইসলামে যৌন আচরন একটা বৈধ বিষয়। এই বিষয় নিয়ে সয়ং রাসূল তার সাহাবাদের সাথে আলোচনা করেছেন, সঠিক যৌন আচরনের পদ্ধতি বাতেলে দিয়েছেন। সুতরাং এই বিষয়গুলি নিয়ে সালীন ভাষায় আলোচনা অবশ্যই কোন খারাপ কাজ না যার কারনে ধর্মে কালীমা লগে।আমারা সমাজে, পরিবিরে বা ব্যক্তিগত জীবন সব যায়গাতেই ইসলামে ধারন করতে চাই, আমরা বিস্বাস করি গোপনে বা প্রকাশ্যে আমরা যা করি মহান সৃষ্টিকর্তা তা দেখেন।