২০০২ বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের শুরুর দিকের সময়ে কি একটা কারণে আমি দেশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় কিছু বন্ধুর মাধ্যমে এটা অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেলাম।
আমাদের বাড়ির কাছে একটা কলেজ আছে সেখানে তারা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ২১তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একটা সৃতিচারন ও আলোচনা সভার আয়জন করেছে। মজার বিষয় হল আমার আব্বা হুজুর সেখানে বিশেষ অতিথী, যিনি সারাজীবন নিজেকে বঙ্গ বন্ধুর সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন।
কিছুটা কৌতহল নিয়ে গেলাম অনুষ্ঠানে তারপর কেবল বিস্ময়...বিস্ময়.....বাবা ষ্টেজে তার সৃতিচারন করছেন আমি অবাক হয়ে শুনছি একজন বীরের কর্মগাথা... শুরু করলেন ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে শেষ করলেন ১৯৮১ সালের ৩০শে মে দিয়ে ।
এর মধ্যে তার সেক্টর ১ এর অগুনঝরা দিনগুলি এবং ১৯৭৮ সালের খাদ্য বিতরন কর্মসুচীর কথা বেশি এসেছে। বক্তব্য শেষের দিকে বাবার গলা কিছুটা ধরে আসে এবং তিনি তার বিখ্যাত কালো চশমা পড়লেন। আমি ছোট কাল থেকে জানি বাবা তার চোখের জল আড়াল কারার জন্য এই কাল চশমা ব্যবহার করেন।
পেছন থেকে ফুপিয়ে কান্নার শব্দ পাচ্ছিলাম, তাকিয়ে দেখি আমাদের কলেজের সুইপার বিশুদেবের চোখ লাল হয়ে গেছে এবং টপটপ করে জল পড়ছে। আমি বললাম কাঁদছেন কেন? তিনি এবার আরোও ড়ুকরে কেঁদে উঠলেন এবং বল্লেন
"একট্যা দ্যাসের রাজা হামার মাথাত হাত থুয়ে জানবার চ্যাচিল হামি ক্যাংক্যা আছি, ত্যার কতা মনে হলে হামার মনডা ক্যান্দে উঠে বাবু...ক্যান্দে উঠে"
[ অফ টপিক : অতছ তার অনুসারীদের দেখলে লজ্জা লাগে, একজন বীরের অনুসারীরা এরকম ভীতু হয় কি করে ? এত বেহায়া হয় কি করে ? কিভাবে এত চুরি করে...???? ]