বিজেপি বিরাট সভ্য কোন দল নয় যে ইতিহাস সৃষ্টি করে বিজয় ছিনিয়ে আনবে বরং তারা জয় পেয়েছে কংগ্রেসের ব্যর্থতার জন্য। কংগ্রেসের ব্যর্থতাই তাদের পরাজয়ের এবং বিজেপির জয়ের মুল কারন। এটা বুঝতে পারার জন্য কোন রাজনৈতিক বোদ্ধা হওয়া দরকার নাই। আসুন একটু পিছিয়ে যাই বিগত দিনগুলিতে.....
মুখোশের আড়ালে কংগ্রেস ভয়ঙ্কর একটা রাজনৈতিক দল। নিজেদের দলের মধ্যে কোন গনতন্ত্রের কোন ছোয়া তো না..ই বরং আছে পরিবার তন্ত্রের কালো ছায়া কিছুটা আমাদের দেশের তথাকথিত কিছু রাজনৈিতক পরিবার গুলির মত। কংগ্রেসের নেতৃীত্বে আছে সোনিয়া.... সহসভাপতি আর প্রচারনায় প্রিয়াংকা ... বাহ্....! কি চমৎকার...কি চমৎকার... আর বিজেপির দিকে তাকিয়ে দেখুন, এক এক জনের চুলে পাক ধরেছে রাজনীতি করতে করতে। তাদের কাছে রাহুল, প্রিয়াংকারা আবাল-বাচ্চা। বিগত দশ বছর তাদের পাপে জ্বলেছে ভারতবাসী।
আসলেই আমাদের এই উপমহাদেশে অলিখিতভাবেই গনতন্ত্রের মুখোশে পরিবারতন্ত্র তথা গনতান্ত্রীক রাজতন্ত্র চালু হয়েছে। রাজার হুকুমে রাজ্য চলে । রাজার ছেলে রাজা হবে আর অন্যরা সব চান্ডাল, সিংহাসন ছোয়া ও তাদের জন্য মহাপাপ। বাংলদেশ ও ভারতে এর চর্চা অন্যদেশ গুলাে থেকে বেশি এবং তা কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। একটা পরিবর্তন আসা অনেক দরকার ছিল্ এবং সেটা এসেছে আমার সবচেয়ে অপ্রিয় একটা দেশে। ভারতবাসী ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে পরিবারতন্ত্রের কবর দিয়েছে নিন্দুকেরা যে কথায় বলুক না কেন ভারতের এই নির্বাচনের মাধ্যমে গনতেন্ত্রর জয় হয়েছে।
ধন্যবাদ ভারতবাসীদের,তাদের ৬০ কোটি লোক খোলা আকাশের নিচে প্রাতকর্ম সাড়লে ও নির্বাচনে একটা ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নির্বাচন থেকে আমাদের নেতার বউ, নেতার বেটি, নেতার ছেলে, অবোলা নেতা এবং দুধভাত আম পাবলিকদের অনেক কিছু শেখার আছে।
আমাদের দেশের দিকে তাকান, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোথা ও কোন গণতন্ত্র নাই। আজকে আমাদের দেশে মেধাবী একটা ছেলে যদি দেশের হাল ধরার উদ্দেশ্য রাজনীতিতে আসতে চায়, তাহলে আমাদের বড় দুই দলে তার ঠাই হবে না কারন এই দুই দলে মেধাবীদের কোন স্থান নাই। তাই মেধাবীরা আর রাজনীতিতে আসতে চায় না। কিন্তু আপনি যদি একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি নিয়ে আপনার আশে-পাশে খেয়াল করেন তাহলে একটা অপ্রিয় সত্য ঘটনা প্রবাহ দেখতে পাবেন। মেধাবীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বুঝে হওক আর অবুঝেই হওক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামাত-শিবির এ যোগ দিচ্ছে বা সাপোর্ট করছে।
জামাত-শিবির এর মত একটা ৩য় শ্রেনীর দলের মধ্যে যতটা গণতন্ত্র আছে তার যদি ১০% এই দুইটা দলের মধ্যে থাকত তবে দেশের এই মেধাবীরা জামাত-শিবির এ যোগ দিত না। ভারতের এই নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, তা না হলে কিছু দিন পর হয়তবা বিএনপি ও আওয়ামীলীগ কে নির্বাচনী জোট বাধতে হবে জামাত ঠেকানোর জন্য।
কংগ্রেস, বিজেপি কেউ আমাদের প্রকৃত বন্ধু নয়। আমাদের কে চলতে হবে আমাদের মত, আমাদের ভাল আমাদের কেই বুঝতে হবে। জামাত কে মডেল ধরে হলে ও আমাদের সবগুলো দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা চালু করতে হবে তা না হলে, কংগ্রেসের মত ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না ,সেক্ষেত্রে হয়ত আমরা ও কোন কট্টর সম্প্রাদায়িক শক্তিকে পাব কান্ডারী হিসাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩