এমনিতেই কর্মক্ষেত্রে ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি অবস্থা.....মেশিনের তার আর নিজের মথার তার জট পাকাইয়া গেছে.....সকাল সকাল অফিসে এসে প্রাণপণ চেষ্টা করছি এর কিছুটা সুরাহা করা যায় কি না। টানা ৪ ঘন্টা কাজ করার পড় মাথা আরও আউলাইয়া গেল




আমার সহকর্মী বলল, স্যার চলেন চা-বিড়ি খাইয়া একটু ফ্রেস হয়ে আসি।




কি..রি..ং .........কি..রি..ং ..................কি..রি..ং
কল রিসিভ করছে না..............
কি..রি..ং .........কি..রি..ং ..................কি..রি..ং
নাহ্........এবারও কল রিসিভ করছে না..............
কি..রি..ং .........কি..রি..ং ..................কি..রি..ং
হ্যালো........( যাক বাবা ...কল ধরেছে

"বাবু-সোনামুনি আমার কল ধরনা কেন ? রাগ করেছ ? আমি অনেক সরি......কি করব বল ... ? আমি একটা বোর্ড মিটিং এ ছিলাম (ভূয়া কথা)


"..... এই বুকে বইছে যমুনা ........
নিয়ে অথৈয় প্রেমের জল.... ...
তার তীরে গড়ব আমি...,
আমার প্রেমের তাজমহল...।"
বাবা মোহনা তো ক্লাসে গেছে, রাগ করে ফোন বাসায় রেখে গেছে....
(পুরাই ধরা খাইলাম....



পুত....পুত......
হায়... হায়.....এইডা আমি কি করলাম ?


৪-৫ ঘন্টা পর.....
কি..রি..ং .........কি..রি..ং ..................কি..রি..ং
(মহারানীর কল )
মনে মনে ব্যাপক ঝাড়ি খাওয়ার প্রস্তুতি সহ কল রিসিভ করলাম,
আমি: হ্যালো
তিনি: হ্যালো সোনা....... (ভুল শুনলাম কি ?)ভাল আছ তুমি ..? তোমার অফিস কি রকম চলছে......?
আমি: এই তো সোনা আমি অনেক ভাল আছি বাট কিছুটা বিজি আছি।
তিনি: হা ...! তা তো বুঝতেই পারছি, ইন্জিনিয়ার মানুষ কিছুটা তো বিজি থাকবা (খোটা দিচ্ছে). তুমি কি একটু সময় নিয়ে আমাদের বাসায় আসতে পারবা ?
আমি: আলবৎ পাড়র..... তোমার জন্যই তো আমার সবকিছু করা... এই যে, এত কাজ.... এত কষ্ট..... এত পড়াশুনা...সব তোমর জন্য (সুযোগ পাইয়া চাপা দিলাম ) কিন্তু কেন ....?
তিনি: ডাক্টারের কাছে যাব...... তুমি তো জান আমার বড় কাকা বিএমএসইউ এর প্রোফেসর।
আমি: হুম.......... তোমার কি অসুখ হয়েছে.....??
তিনি: ফাজিল পোলা....


পুত....পুত...পুত......
মহারানীর এখন মাথা গরম..... তাই আর কথা বাড়ানো অনুচিৎ....
আমার স্বীকারোক্তি (Confess):
সত্য...সত্যই আমার মাথায় গন্ডোগোল আছে....




