بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
السلام عليكم ورحمة الله و بركاته
একবার একদল লোক প্রখ্যাত তাবি তাবিয়্যিন ও হাদীসের স্কলার সুফিয়ান আস সাওরীর (রহ.) শিক্ষক ইব্রাহীম বিন আদম (রহ.)-এঁর [সিরিয়ায় বসবাসকারী, কুফীয় বংশোদ্ভূত স্কলার (মৃত্যু ৭৭৭ খৃস্টাব্দ)] কাছে জড়ো হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, “আল্লাহ্ কুর’আনে বলেন: ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো’। তাহলে কেন তিনি সাড়া দেন নি?” ইব্রাহীম(রহ.) বললেন, “হে বসরার লোকজন, তোমরা ১০টি বিষয়ে ধ্বংস হয়ে গেছো:
- তোমরা আল্লাহকে স্বীকার কর, কিন্তু তাঁকে তাঁর প্রাপ্য দাও না।
- তোমরা আল্লাহর কিতাব পড়, কিন্তু সেই অনুযায়ী কাজ কর না।
- তোমরা দাবী কর যে, তোমরা রাসূল (সা.)-কে ভালোবাসো, কিন্তু তোমরা তাঁর সুন্নাহ্ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছো।
- তোমরা দাবী কর যে, শয়তান তোমাদের শত্রু, কিন্তু তোমরা কাজেকর্মে তোমরা তার সাথে ঐক্যমত পোষণ কর।
- তোমরা বল যে, তোমরা জান্নাতে যেতে চাও, কিন্তু সে জন্য কাজ কর না।
- তোমরা বল যে, তোমরা জাহান্নামকে ভয় কর, কিন্তু তোমরা নিজেদের তার ভিতরেই আবদ্ধ রেখেছো।
- তোমরা মৃত্যুর বাস্তবতাকে স্বীকার কর, কিন্তু তার জন্য প্রস্তুতি নাও না।
- তোমরা অন্যদের দোষ-ত্রুটি নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত থাকো, কিন্তু নিজের দোষ ত্রুটি ভুলে থাকো।
- তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিয়ামত ভোগ কর, কিন্তু সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না।
- তোমরা তোমাদের মৃতকে সমাহিত কর, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর না।”
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, একথাগুলো বলা হয়েছিল রাসূল(সা.)-এঁর মৃত্যুর ১৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে – ইসলামী স্বর্ণযুগের আরব জাহানের লোকদের। একবার ভেবে দেখুন তো, এখনকার এই আমরা তাহলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?
ফি আমানিল্লাহ্!
দৃষ্টি আকর্ষণী:
যারা আল্লাহয় ও আখেরাতে বিশ্বাস করেন, তাদের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরী যে, কি কি কারণে একজন মুসলিম ইসলাম থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন সেটা জানা - যেন আমাদের নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত ইত্যাদি নিস্ফল হয়ে না যায়। এই ব্যাপারে একটি ধরাবহিকের প্রথম ৩টি পর্ব রয়েছে এখানে:
ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ - ১
ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ - ২
ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ - ৩
অনুগ্রহ করে দেখে নেবেন ইনশা'আল্লাহ্, যেন আপনার আমলসমূহ ভুলবশত বরবাদ না হয়ে যায়!