somewhere in... blog

আসুন,একটা সঠিক পথে এগোই...................

২৫ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ব্লগে একেবারেই নতুন। নতুন পোষ্ট দেয়ার পরিবর্তে সবার পোষ্ট পড়ছি -যখনি একটু সময় পাচ্ছি। গত কয়দিনে পড়ে যা জানলাম তা হল- অর্ন্তদ্বন্দ বিভিন্ন ব্লগারদের মাঝে.. মন্দ কথা আর অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল যা অশোভনীয়।আজ আমরা বিভক্ত ডানগ্রুপে আর বামগ্রুপে; আমাদের দেশ নিয়ে...দেশের ইতিহাস নিয়ে!

আমরা শুধু পড়তে জানি, পড়ে গোগ্রাসে গিলতে জানি; যা জানি- তা নিয়ে চায়ের টেবিলে ঝড় তুলতে পারি! পারিনা শুধু নিজের কাজটুকু নিজে করতে, নিজের জন্য কিছু করতে, দেশের জন্য করতে!
আমরা সুন্দর সুন্দর কলাম লিখে বুড়ো বয়সে বুদ্ধিজীবী বনে যাই; যে সরকারের গুনগান গাই সে সরকারের সান্নিধ্য লাভ করি, সরকার প্রিয় চ্যানেলগুলোর আমন্ত্রন পাই -টক্‌শোর! আমরা বুদ্ধির ভারে নত হয়ে সরকারের পায়ে লুটিয়ে পড়ি, সরকারের পায়ে চুমু খাই -একটু যশের জন্য! আমরা মেধাকে বিকিয়ে দেই ডানপন্থী-বামপন্থী গালাগাল দিতে দিতে!
কিন্তু আমরা ভুলে যাই আমরা সবাই মানুষ, রক্তে-মাংশে গড়া মানুষ। আমরা খুন দেখে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছি, হাতদুটোকে রক্তে রন্জিত করছি; অথচ আমরা প্রিপেয়ার করছিনা হাতদুটোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, ভালো কিছু দেয়ার।আমরা এই হাত দিয়ে ধংসাত্তক লেখা লিখছি, জড়িয়ে ফেলছি কলহে! আমরা ভাবছিনা একটুও এই লেখা মানুশের মাঝে কলহ সৃষ্টি করছে।

আমরা সত্যকে লুকোতে শিখেছি, মিথ্যাকে সুন্দর করে সত্যতে রুপান্তর করছি-আমরা ঠেলে দিচ্ছি নেক্সট জেনারেশনকে হুমকির মুখে; তারা জন্ম নিচ্ছে আর বড় হচ্ছে দ্বিধার মধ্য দিয়ে। দেশের জন্য না...বড় হচ্ছে ডান-বামপন্থী ধারণা বুকে নিয়ে। ভালে করে রপ্ত করছে অপজিট কে হিংসা করতে। তারা শিখছে কিভাবে লগি-বইঠা দিয়ে পিটিয়ে ওপেন রাস্তায় মানুষ মারতে হয়, তারা শিখছে কিভাবে রগ কেটে মানুষকে ম্যানহোলে ফেলে দিতে হ্য়! দুটি গ্রুপে বিভক্ত আমরা কেউই পারিনি কিছু দিতে! শুধু পেরেছি প্রতিদিন কিছুনা কিছু তাজা রক্তের প্রাণ কেড়ে নিতে।

আজকের এই জেনারেশন কখনো শিখেনি কিভাবে নিজেকে ইস্টাবলিশ করতে হবে, নিজের জন্য এন্ড জাতির জন্য কল্যাণকর।
তাই আসুন, আমরা হানাহানির পথ পরিহার করি, আমরা বাচতে শিখি, নিজের জন্য-দেশের জন্য। আমরা ব্লগার রা তর্ক করি দেশের কল্যাণের জন্য,বিদ্ব্যেশ ছড়াতে নয়।রক্তের টেম্পেরেচার বাড়াই দেশকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য।
সবশেষে আমার নিতান্তই একটা ব্যক্তিগত অভিমত আছে। আর তা হল...ইতিহাস যেখানে আছে, সেখানেই থাকতে দিন। চলুন সবাই মিলে নতুন একটা ইতিহাস সৃষ্টি করি, দ্বন্দের নয়-ভাতৃত্যের। সবাই নিজের সংসারকে গুছাতে চেষ্টা করি; দেশের প্রতিটি পরিবার ভালো চললে পুরো দেশ ভালো চলবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:১৬
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনূস বিদেশে দেশকে করছেন অপমান-অপদস্থ

লিখেছেন sabbir2cool, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬


দুর্নীতির কারণে তার যাওয়ার কথা ছিল জেলে, গেছেন তিনি বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টার শপথ নিতে। এটা খোদ মুহাম্মদ ইউনূসের স্বীকারোক্তি ছিল। তার দেশশাসনের আট মাসে বিদেশে যখন গেছেন তিনি, তখন স্বীকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈদের বাড়ি

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৭


রোজার ঈদে মাকে খুঁজতে যাব
পাঁচ হাজার টাকা রেখে দিয়েছি-
সিঁলিকের শাড়ি কিনবে বলে;
বাবা আর বিড়ি খাওয়া দায়ে
আমাকে নাক সেছুর দিবে না
কোন কোরবানী ঈদে-কোন
পথে যাবো- কোন ঈদ আসবে!
আর অপেক্ষা করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এখানে আর নিরাপত্তা কই!=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩


কোন সে উন্নয়নের পথে হাঁটছি বলো
এই গিঞ্জি শহর কি বাসের অযোগ্য নয়?
শূন্যে ভাসমান রাস্তা-নিচে রাজপথ
তবু কি থেমে আছে যানজট কিংবা দুর্ঘটনা?

দৌঁড়ের জীবন-
টেক্কা দিতে গিয়ে ওরা কেড়ে নেয় রোজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই শহর আমার নয়

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০২




এই শহর আমার নয়
ধুলিমলিন, পোড়া ধোঁয়ায় ঘেরা
ধূসর এক স্বপ্নহীন চেহারা।
এই শহর, আমার নয়।

ঘোলাটে চোখে জমে হাহাকার,
চেনা মুখেও অচেনার ছাপ।
পথে পথে স্বপ্নরা পোড়ে,
আলোর ছায়ায় খেলে আঁধার।

এই শহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

টিউবওয়েলটির গল্প

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৪



এটা একটি টিউবওয়েল।

২০০৯ সালে, যখন আমি নানী বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতাম, তখন প্রতিদিন এই টিউবওয়েল দিয়েই গোসল করতাম। স্কুল শেষে ক্লান্ত, ঘামাক্ত শরীর নিয়ে যখন ঠান্ডা পানির ঝাপটায় নিজেকে স্নান... ...বাকিটুকু পড়ুন

×