চার জন রোজাদারে ইফতার
বিশ্বব্যাপী ইসলামের চতুর্থ রোকন সিয়াম তথা রোজার মাস চলছে। নাজাতের সওগাত নিয়ে এই মাস মুসলমানদের দ্বারে উপস্থিত হয়, এবং একমাস ব্যাপী প্রত্যেক মুসলমানের ঘরে মেহমান হিসেবে অবস্থান করে। হাদীস শরীফে রমযানের রোজার বহু ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রোজাদারকে ইফতার করানোর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন; জায়েদ ইবনে খালেদ জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “ যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাল, তার রোযাদারের ন্যায় সাওযাব হবে, তবে রোযাদারের নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না”। {তিরমিযি (৮০৭),
রোজাদারকে ইফতার করানোর ফযীলতকে সামনে রেখে কুয়েতের প্রায় প্রতিটি মসজিদে কুয়েতীগণ নিজস্ব উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন করে থাকেন।
আজ আমি আপনাদেরকে কুয়েতের সুর্রা এরিয়ার কিছু কুয়েতী যুবকদের ইফতার আয়োজন সম্পর্কে জানাবো।
কুয়েতের সুর্রা প্রদেশের কিছু যুবক মিলে প্রতি বছর ভিনদেশী রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে থাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে প্রায় এক হাজার লোক এক সাথে বসে ইফতার করতে পারে।
উক্ত তাঁবুটি সকল রোজাদারের জন্য উম্মুক্ত। সব ধরনের লোকই সেখানে বসে ইফতার করেন। সেখানে মিশর, ইণ্ডিয়ান, নেপালী, শ্রীলঙ্কান, পাকিস্তানী এবং বাংলাদেশীগণ ইফতার করেন।
কুয়েতী যুবকগণ আসরের নামাযের পর থেকেই ইফতার সাজানোর কাজ আরম্ভ করে দেন। এবং চল্লিশ মিনিট পূর্বেই তাঁবুটি কানায় কানায় ভরে যায়।
[ রোজাদারগণের জন্য তাঁবুটি ইফতার সাজিয়ে প্রস্তুত করেছেন।
রোজাদারগণেদেরকে ইসলামী আলোচনা শুনার ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে তিন ভাষায় প্রতিদিন দারস পেশ করা হয়। চল্লিশ মিনিট সময় আমরা তিনজন শায়খে মিলে নিজস্ব ভাষায় আলোচনা করি।
বাংলা ভাষায় রোজা বিষয়ে আমি দারস পেশ করছি
মাওলানা সিফাত আলম উর্দু ভাষায় আলোচনা করছেন
আমীর হাসান তামিল ভাষায় আলোচনা করছেন
রোজাদারগণ তাঁবুতে বসার পরের অবস্থা
এতে রোজাদারগণ অনেক উপকৃত হতে পারছেন। রমযান শেষে কুয়েতী যুবকগণ রমযান শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিজয়ীদের মধ্য থেকে ২০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাকে এক মহিলা ইফতারের জন্য দাওয়াত করল, তিনি তাতে সাড়া দিলেন এবং বললেন: “আমি তোমাকে বলছি, যে গৃহবাসী কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য তার অনুরূপ সওযাব হবে। মহিলা বলল: আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন, বা এ জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন: আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার হাসিল করুক। {মুসান্নাফ ইবনে আব্দুর রাজ্জাক: (৭৯০৮)}
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩৪