সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রামাণ্য দলিল
সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রামাণ্য দলিল
১৯৭২ সালের সংবিধানের প্রশংসায় যাঁরা অহেতুক-অকারণে পঞ্চমুখ হন, তাঁদের জন্য এই লেখাটি দুঃসংবাদ মনে হতে পারে। কারণ এটা দালিলিকভাবে প্রমাণ করা সম্ভব যে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এবং তা করা হয় সুপরিকল্পিতভাবে, ভেবে-চিন্তে। এধরণের তথ্য এত দিন ছিল অকথিত, অনালোচিত ও অনুচ্চারিত। চাপা পড়া এই ইতিহাস সম্পর্কে সম্ভবত এই প্রথম আমরা জানতে পারছি। বাংলাদেশের সংবিধানবিষয়ক রায়, বইপত্র ও আলোচনার পর্যবেক্ষক হিসেবে এই তথ্য এর আগে কখনো নজরে পড়েনি।
বাহাত্তরের সংবিধান প্রণেতারা প্রশংসনীয়ভাবে স্বল্প সময়ে নিশ্চয় একটি সংবিধান উপহার দিতে পেরেছিলেন। দু-একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয় বাদে ওই সংবিধান যে যথেষ্ট অগ্রসর ছিল তাতেও সন্দেহ নেই। এর অসামপ্রদায়িক দিকটি ছিল নিশ্চয় অসাধারণ। কিন্তু তাকে খুব বড়গলায় গণতান্ত্রিক বলতে আমরা অপারগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রজাতন্ত্রের সর্বময় নির্বাহী ক্ষমতা সুপরিকল্পিতভাবে কুক্ষিগত করার সিদ্ধান্ত আর যাই হোক গণতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতির্পূর্ণ হতে পারে না। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত লেখকের ‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’ নামের একটি প্রকাশনায় (বই না বলে তারুণ্যের স্পর্ধা বলাই সংগত) দেখিয়েছিলাম যে সংসদীয় গণতন্ত্র অনুসরণকারী বিশ্বের লিখিত সংবিধানগুলোতে এভাবে এক ব্যক্তির হাতে নির্বাহী ক্ষমতা আরোপ করা হয়নি।
কিন্তু আমাদের সংবিধান প্রণেতারা তা যে সুপরিকল্পিতভাবে করেছিলেন তা জানা ছিল না। আমার কাছে এতকাল এটা ছিল এক বিরাট ধাঁধা। তাঁরা এ রকম একটি অস্বাভাবিক, অদ্ভুত ও অভিনব অনুচ্ছেদ কোথা থেকে ধার করলেন সে নিয়ে প্রশ্ন জেগেছিল। ৫০টির বেশি দেশের সংবিধানের নির্বাহী ক্ষমতার বণ্টন মডেল পরখ করে দেখেছিলাম। আশা ছিল, কোনো অনুন্নত দেশের সংবিধানে হয়তো এ রকম একটি বিধান বা তার কাছাকাছি কোনো বিধান পেয়ে যাব। কিন্তু তা পাইনি। অবশেষে এর উত্স ও বিবর্তনের হদিস পেলাম আমাদের দলিলপত্রে। এসব দলিল দুষপ্রাপ্য। জাতীয় সংসদ কিংবা জাতীয় আর্কাইভে নেই।
১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম বৈঠক বসে। ৪ নভেম্বর ১৯৭২ চূড়ান্তভাবে সংবিধান অনুমোদিত ও প্রণীত হয়। সংবিধানের বাংলা পাঠ রচনাকারী পণ্ডিত ড. আনিসুজ্জামানের কাছ থেকে দালিলিকভাবে জানতে পারি যে ‘সংবিধান প্রণয়ন কমিটি ১৯৭২ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে ১০ জুনের মধ্যে ৩০টির অধিক সুদীর্ঘ বৈঠকে মিলিত হয়ে খসড়া সংবিধানের সার রচনা ও অনুমোদন করে।’ এর অর্থ দাঁড়ায়, ব্যক্তি শেখ মুজিবের হাতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সিদ্ধান্ত ওই ৩০টির বেশি দীর্ঘ বৈঠকে হয়নি। অনুমান করি, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া হয়তো ছিল নাটকীয়তায় পূর্ণ। চাপিয়ে দেওয়া।
গণপরিষদে সংবিধান নিয়ে ‘আলোচনার জন্য প্রস্তুত খসড়া’য় (সম্ভবত প্রথম) মন্ত্রিসভাকে সরকার গণ্য করা হয়েছিল। সে কারণে এর উপশিরোনাম দেওয়া হয় সরকার। ৬৪(১) অনুচ্ছেদে লেখা হয়: “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি মন্ত্রিসভাকে লইয়া হইবে সরকার। (২) এই সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্ব সরকারের দ্বারা বা সরকারের কর্তৃত্বে লইয়া সংবিধান ও আইনের অনুসারিতায় প্রত্যক্ষভাবে বা সরকারের অধীনে কর্মরত অফিসারদিগের মাধ্যমে পালিত হইবে।”
এরপর মুদ্রিত হয় ‘আলোচনার জন্য প্রস্তুত দ্বিতীয় খসড়া’। এই কপির গায়ে লেখা আছে, বাংলাদেশ গণপরিষদের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির ১৭ই এপ্রিল হইতে ২৫শে মে ১৯৭২ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকসমূহের আলোচনার ভিত্তিতে প্রণীত। এর ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় প্রথম দেখা মেলে গণতান্ত্রিক ও শুদ্ধ বিধানটির। “৬০(১) প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভাকে লইয়া গঠিত সরকারে ন্যস্ত থাকিবে। (২) এই সংবিধানের বিধানাবলি-সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্ব সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক বা সরকারের কর্তৃত্বে প্রত্যক্ষভাবে কিংবা সরকারের অধীন অফিসারদিগের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হইবে।” (পৃষ্ঠা-১৬)
‘বাংলাদেশের গণপরিষদের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির ১৭ই এপ্রিল হইতে ১০ই জুন ১৯৭২ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকসমূহের আলোচনার ভিত্তিতে প্রণীত খসড়া সংবিধান’ এই শিরোনামে বেশ কয়েক কপি সংবিধানের খসড়া মুদ্রিত হয়।
এর দুটি কপিতেও নির্বাহী ক্ষমতাবিষয়ক ওই আদর্শ বিধানটি লক্ষ করি। একটি কপিতে ওই বিধান ছাপা হয় ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায়। বিধানটি এর পরের খসড়ায়ও টিকে ছিল। বরং লক্ষ করুন যে আগের বিধানের ত্রুটি দূর করা হয়েছে। ‘সরকারে ন্যস্ত’ কথাটির পরিবর্তে ‘সরকারের উপর ন্যস্ত’ কথাটি এসেছে। “৬০(১) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভাকে লইয়া গঠিত সরকারের ওপর প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত থাকিবে। (২) এই সংবিধানের বিধানাবলি-সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্ব সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক বা সরকারের কর্তৃত্বে প্রত্যক্ষভাবে কিংবা সরকারের অধীন অফিসারদিগের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হইবে।” (পৃষ্ঠা-১৮) এ থেকে স্পষ্ট ধারণা মেলে যে ব্যক্তি শেখ মুজিবের হাতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা তুলে দেওয়ার মতো চিন্তা ১৯৭২ সালের ১০ জুন পর্যন্ত সংবিধান প্রণেতাদের বাস্তব পরিকল্পনায় ছিল না। এরপর কোনো একসময় শেখ মুজিবের ক্ষমতায়ন চিন্তায় সংবিধান প্রণেতাদের পেয়ে বসেছিল কিংবা তাঁদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা গলাধঃকরণ করতে হয়েছিল। তবে এটা কেন, কখন, কোন প্রেক্ষাপটে, কিসের বাধ্যবাধকতা থেকে হয়েছিল তা অনুসন্ধান ও গবেষণার দাবি রাখে। সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন বিজ্ঞ সদস্য নিয়মিত টিভি টক শোতে অংশ নেন। সভা-সেমিনারে বক্তব্য দেন। তাঁরা এখন এ বিষয়ে জাতিকে আলোকিত করতে পারেন। ঐতিহাসিক অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে জাতি মুক্তি পেতে পারে।
২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ মুদ্রিত ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান’-এর ৬০ অনুচ্ছেদে বলা হয়, “(১) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীকে লইয়া এবং তিনি সময়ে সময়ে যেরূপ স্থির করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রীকে লইয়া বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে। (২) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে কিংবা প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো নির্দেশ-সাপেক্ষে অন্য যেকোনো মন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে এই সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগযোগ্য হইবে।” এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সালে মুদ্রিত একটি ইংরেজি খসড়া সংবিধানের ২১ পৃষ্ঠায় ৬০(২) অনুচ্ছেদে ওই বিধানটির ইংরেজি তরজমা লক্ষ করি।
এবার লক্ষ করুন শেখ মুজিবকে কীভাবে মন্ত্রিসভা ও মন্ত্রীদের থেকে আলাদা সত্তা প্রদানের চিন্তা করা হয়েছিল। ৬০(৩) অনুচ্ছেদটি নিম্নরূপ: “মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ সরকারের সহিত সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করিবেন এবং যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।” ১১ সেপ্টেম্বর মুদ্রিত ওই ইংরেজি খসড়ায়ও এই ৬০(৩) অনুচ্ছেদটির দেখা পাই। “দি ফাংশনস অব দ্য কেবিনেট শ্যাল বি টু অ্যাডভাইজ দি প্রাইম মিনিস্টার ইন ম্যাটারস অ্যাফেক্টিং দি গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ।...”
১১ অক্টোবর ১৯৭২ মুদ্রিত হয়, ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে স্থিরীকৃত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য বিল।’ এর ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় ৫৫(১) অনুচ্ছেদে লেখা হয়: “১) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী লইয়া এই মন্ত্রিসভা গঠিত হইবে। (২) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে কিংবা প্রধামন্ত্রীর যেকোনো নির্দেশ-সাপেক্ষে অন্য যেকোনো মন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে এই সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হইবে।”
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বরে ঈষত্ পরিবর্তিত হয়ে ছাপা হলো। ৫৫(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: “প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে এই সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হইবে।” সেই থেকে আমরা এই সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র বয়ে চলেছি। দুটি বড় দলের সমর্থক বিশেষজ্ঞরা সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে সাধারণত প্রলাপ বকতে পছন্দ করেন। বিএনপির জাঁদরেল সমর্থক কাম সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধিতা করতে গিয়ে ধর্ম ব্যবসার উন্মাদনা চেপে রাখতে পারেন না। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের অবস্থাও তথৈবচ। ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালিত্বের মতো বিষয় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেই তাঁদের যত জোশ।
দুই দলের বড় বড় নেতা ও সমর্থকদের (তথাকথিত সংস্কারপন্থীসহ) মধ্যে একটি বড় মিল। তাঁরা কখনো মূল খসড়া সংবিধান থেকে ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভাকে লইয়া গঠিত সরকারের উপর প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত থাকিবে।’ এই কথাটির বদলে ‘প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে এই সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হইবে’ এই কথাটি কীভাবে এল এবং এর ফলে দেশ যে চিরস্থায়ীভাবে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্রের খপ্পরে খাবি খেয়ে চলেছে, সে বিষয়ে তারা নীরব। সংবিধান সংশোধনের সামপ্রতিক উদ্যোগের পটভূমিতেও লক্ষ করুন, এই সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র নিয়ে কোনো আলাপ কিংবা বিলাপ নেই। এরা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন। বিএনপি যদি শেখ মুজিবর রহমানকে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গালাগালি করে, তাহলে তাদের কাঁধে দায় চাপে। জবাবদিহি করতে হয়। বলতে হয়, তাঁদের এত সাধের পঞ্চম সংশোধনী তাহলো কী ত্রুটি সারালো। আসলে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির যুগেও মুজিবই নমস্য ছিলেন। ৫৫ অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী মুছে রাষ্ট্রপতি শব্দ বসে। ১৯৯০ সালে রাষ্ট্রপতি মুছে প্রধানমন্ত্রী বসে। আওয়ামী লীগ তো ৫৫ অনুচ্ছেদ মুখেই নেবে না। কারণ, বাহাত্তরের সংবিধান বলতেই আবেগে তাদের গলা বুজে আসে। এখন এটাকে ত্রুটি হিসেবে মানলে সংশোধনের দায় চাপবে। অতএব উট পাখি হও। বালিতে মুখ গুঁজে থাকো।
এই হলো আমাদের সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও তা ৩৭ বছর ধরে দুধ-কলা দিয়ে পোষার সংক্ষিপ্ত কাহিনী। বাংলাদেশের সামরিক শাসক ও সাংবিধানিক স্বৈরশাসকের মধ্যে আমি কেবল একটি বড় পার্থক্য দেখি। সিএমএলএ চোখের পলকে সংবিধান পাল্টাতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী তা পারেন না। অবশ্য এত বড় মৌলিক ফারাক যে আছে, তা তো সংবিধানসম্মত স্বৈরতন্ত্র টিকে আছে বলেই। এটা কম কিসে!
প্রকাশ: প্রথম আলো
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক
[email protected]
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন