সাইদীকে সৌদিতেও ওয়াজ করতে দেওয়া হয় না, কারন তার আকিদ্বা সঠিক নয়। সাইদী তার ওয়াজে ভুল হাদিস, জাল হাদিস, মওজু হাদিস বাতিল হাদিস এবং কিচ্ছা কাহিনী দ্বারা ওয়াজ করে বেড়ান। কোরান ও হাদিসে এসবের কোন ভিত্তি নাই। একবার সৌদির রাজধানী রিয়াদের এক মসজিদে একটু বয়ান রাখতে চাইলেও তাকে তাকে দেওয়া হয় নি কারন সাইদীর আকিদ্বা সহিহ নয় এবং সুন্নত বিরোধী। তাছাড়া তাকে একজন ভালো আলেম হিসেবে আরবের কেউই চিনে না। নিচের ভিডিওর ৫৫:১৫ মিনিটে দেখুন।
তার জাল হাদীস বলা দেখুন এই ভিডিওর ৫৭:৩০ মিনিটে, তারপর মতিউর রহমান মাদানি রেফারেন্স সহ দেখাচ্ছেন তার জাল হাদিস বলা।
সাইদি নাকি কোরানের তাফসীর করে অথচ সে আরবীতে এক হাজার এবং হাজার হাজার বলতে পারেনা, দেখুন ১:২৫:৩৮ মিনিট। সে ১৯৫৭ তে দাখিল পাশ, ১৯৬০ সালে আলিম পাশ করেছে আলিয়া মাদ্রাসা হতে, এটাই তার সর্বোচ্চ শিক্ষা, আরবি জানবে কি করে।
এভাবে অনেক ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন মদিনার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হতে গ্রেজুয়েট পিস টিভি বাংলার মাওলানা মতিউর রহমান মাদানি। পুরা ভিডিওতে সাইদির অনেক ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন মতিউর রহমান মাদানি।
সাহাবিদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য
কাতারে নিষিদ্ধ সাঈদী
ফানার (FANAR)নামে কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টার আছে। ‘ফানার’ সেন্টার কাতারে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য তাদের স্বদেশি আলেমদের আমন্ত্রণ জানিয়ে কাতারে মাহফিলের ব্যবস্থা করে থাকে।
সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অনুরোধে ফানার বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকেও আলেমদের আমন্ত্রণ জানিয়ে কাতারে প্রবাসীদের উদ্দেশে বয়ান ও নসিহতের ব্যবস্থা করে থাকে। ফানার-এর আমন্ত্রণে এর আগে বাংলাদেশ থেকে যারা কাতার সফর করেছেন তাদের মধ্যে আছেন মুফতি ফজলুল হক আমিনী, হাটহাজারীর মাওলানা শাহ আহমদ শফী, শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক প্রমুখ।
এরই ধারাবাহিকতায় চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ফানার এর তত্ত্বাবধানে কাতার সফরে যান (২০০৩ সালে) জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ওই সফরে তিনি কাতারের ওয়েসিস হোটলে ওঠেন।
বাংলানিউজের অনুসন্ধোনে জানা গেছে, সফরকালে কাতারের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সাঈদী ওয়াজ করেন। স্থানীয় একটি হোটেলে জামায়াতি সংগঠন কুরআন সুন্নাহ পরিষদ, কাতার (এটি কাতারে জামায়াতের ছদ্মবেশী রূপ) এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে সাঈদী ওয়াজে দাঁড়ালেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হলো তার পুরনো স্বভাবের উন্মোচন। মাঝখানে মহানবী (সা.) এর বিশিষ্ট সাহাবি আ’মর ইবনুল আস (রা.) কে গালি দিয়ে ‘ধোঁকাবাজ’ ‘প্রতারক’ বলে আখ্যায়িত করে বসেন (নাউজুবিল্লাহ)সাঈদী।
এখানেই শেষ নয়, সাঈদী অপর সাহাবি মোয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ওরফে মোয়াবিয়া (রা.) এর বিরুদ্ধেও তার পুত্র ইয়াজিদের পক্ষে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনেন। বেপরোয়া সাঈদী মোয়াবিয়াকে (রা.) ‘কুচক্রী’ বলে জঘন্য অপবাদও দেন।
এছাড়া তিনি ‘নারী নেতৃত্বে’র বিপক্ষে কুরআন হাদিসের কোথাও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলেও বয়ান করেন [উল্লেখ্য ওই সময় খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। নারী নেতৃত্ব নিয়ে (যেহেতু চারদলীয় জোটপ্রধান খালেদা জিয়া তখন ক্ষমতায়) মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান ধারণার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে গিয়ে সাঈদী একথা বলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জামায়াত ৪ দলীয় জোট গঠনের আগে পর্যন্ত নারী নেতৃত্বের বিপক্ষেই বলে আসছিল সব সময়]।
বেফাঁস কথার্বাতার একপর্যায়ে চারদলীয় জোটকে সমর্থন না করায় সাঈদী চরমোনাইর মরহুম পীরকে ‘বেআদব’ বলে উল্লেখ করেন।
তার এসব কথায় উপস্থিত সচেতন উলামায়ে কেরামরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন। সাঈদীর এমন অজ্ঞতার্পূণ মন্তব্যের প্রমাণ হিসেবে অনেকেই তার বক্তব্য মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করেন। কেউ কেউ অডিও রেকর্ড রাখেন। বিষয়টি টের পেয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সেখানে উপস্থিত জামায়াতকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে সবার কাছ থেকে অডিও ও ভিডিও রেকর্ড জোর খাটিয়ে মুছে ফেলেন। এসময় তারা প্রতিশ্রুতি দেন যে, সাঈদীর বক্তব্যের পুরো ভিডিও সবাইকে সিডি আকারে দেওয়া হবে।
পরে সেই ভিডিও অবশ্য প্রতিশ্রুতদের কাউকে দেয়নি জামায়াত। তবে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাঈদীর ওই কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যের ভিডিও ফাইল কারও কারও কাছে সংরক্ষিত আছে এখনও। কাতারের বাংলাদশ দূতাবাস চেষ্টা করলেই তা উদ্ধার করতে পারে।
সেদিনকার ঘটনায় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন আলেম পরে কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান। সাঈদীর বিরুদ্ধে এভাবে একে একে ২৭টি রিপোর্ট জমা হয় কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালযয়ে। এর জের ধরে নড়েচড়ে বসে ফানার।
ফানার কর্তৃপক্ষ কয়েক সদস্যের একটি তদন্ত কমটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাঈদীকে তার ভ্রান্ত ধারণা পরির্তন করার তাগিদ দেয়। একই সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে সাঈদীর ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য কিতাবও তার কাছে পাঠানো হয়। এ সূত্রে সাকাফাতুদ্দায়ী এবং ইতিকাদু আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ নামের দুটি গ্রন্থও তার কাছে পাঠানো হয়। গ্রন্থদু’টির লেখক আরব বিশ্বের প্রখ্যাত গবেষক আল্লামা ইউসুফ কারযাভি। তিনি কাতারের গ্রান্ড বা সর্বোচ্চ মুফতি।
এদিকে, তদন্ত দলে দু’একজন এমনও ছিলেন যারা সাঈদীকে পছন্দ করতেন। তারা চাচ্ছিলেন, বিষয়টি যেন সহজে সুরাহা হয়ে যায়। কিন্তু তার পক্ষে বিপক্ষের সবাই হতবাক হয়ে দেখতে লাগলেন, সাঈদী কিতাব দু’টোর নামটুকুও আরবিতে পড়তে পারছেন না (কারও কারও মতে এটা তার অভিনয়ও হতে পারে)। তার এমন দুর্গতি দেখে তাৎক্ষণিকভাবে কিতাব দু’টির উর্দু অনুবাদ আনার ব্যবস্থা করা হলো। সাঈদী উর্দু কিতাবগুলোও দূরে ঠেলে দিয়ে বললেন, ‘আমাকে বাংলায় বুঝিয়ে দিন।’
এসময় নারী নেতৃত্ব বিষয়ে যখন তাকে পড়ে শোনানো হলো- ‘...কোন অবকাশ নেই।’ তিনি বলে উঠলেন, ‘অবকাশ নেই বলা হয়েছে “জায়েজ নেই” কথাটি তো লেখা নেই!’ উপস্থিত লোকজন তার খোঁড়া বোধশক্তির নমুনা দেখে অবাক হয়ে গেলেন।
তখন ফানার পরিচালক ছিলেন বারেক আলাওয়ি। তিনি কাতার সেনাবাহিনি থেকে আসা লোক ছিলেন। আলাওয়ি সাঈদীর এমন কাণ্ডের খবর শুনে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হলেন। তার উপদেষ্টাদের জানালেন, এ লোকটিকে গ্রেফতার করা হোক। এসময় উপদেষ্টাদের একজন বাসিইউনি (মিশরীয় আলেম) তদবির করে সাঈদীর গ্রেফতার ঠেকান।
এরপর ওই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শেষে কাতারের র্ধম মন্ত্রণালয় এবং ফানার তখনই কাতারে অবস্থানকালীন আর কোনো সমাবেশে কিংবা সভায় মাওলানা সাঈদীর বক্তৃতা দেওয়ার ওপর নিষেধোজ্ঞা জারি করে। শুধু তাই নয়, এ লোক (সাঈদী) যেন ভবিষ্যতে আর কোনোদিন কাতারে ঢুকতে না পারে- সে মোতাবেক তার নামে স্থায়ীভাবে নিষেধোজ্ঞাও জারি করা হয়। এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেশটির ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, এ নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ আছে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সাঈদী দুবাই গিয়ে অনেকদিন অপেক্ষা করেছিলেন ফের কাতারে প্রবেশের ইচ্ছায়। অপরদিকে কাতারে অবস্থানরত জামায়াতিরা প্রশাসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় সাঈদীর নিষেধাজ্ঞা রদ করতে। কিন্তু ইমিগ্রেশন তাকে আর কাতারে ঢোকার অনুমতি দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোহা প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলানিউজকে জানান, সাঈদী মূর্খতায় ভরপুর তার সেদিনের সেই বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু ওলামা নামধারী ব্যক্তি জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর বিরোধিতা করে থাকেন। কিন্তু আরব দেশের আলেমদের কেউ তার লেখা বা বক্তব্যের বিরোধিতা করেননি।’
কিন্তু সাঈদীর এ বক্তব্যও ছিল মিথ্যাচার আর মূর্খতার আরেকটি নমুনা। প্রথমত মওদুদী’র আরবিতে লেখা কোনও গ্রন্থ নেই। তার প্রায় সব পুস্তকই উর্দুতে লেখা। সেসব বইয়ের অনূদিত কিছু বিতর্কিত গ্রন্থ পড়ে আরব পণ্ডিতরা এর তীব্র সমালোচনামূলক পাল্টা বইও লিখেছেন। মওদুদীর বিরুদ্ধে কলম ধরা এসব আরব ইসলামি পণ্ডিতের মধ্যে আছেন মিশরের এখওয়ানুল মুসলেমিনের (বর্তমানের মুসলিম ব্রাদারহুড বা এখওয়ানুল মুসলেমিনকে জামায়াতিরা তাদের সংগঠনের মিশরীয় সংস্করণ হিসেবে দাবি করলেও তা আসলে ঠিক নয়) সাবেক প্রধান মামুন আল হুদাইবি ও রিয়াদ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক নোমান প্রমুখ।
অপরদিকে, সাঈদীর ওয়াজ কাণ্ড’র ঘটনায় তার এমন জ্ঞান-স্বল্পতা তথা জাহিলত্ব’র নমুনা দেখে তখন এক উচ্চপদস্থ ফানার কমর্কতা বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করছিলেন, ‘এ লোকটার ওয়াজ শুনতে নাকি হাজার হাজার মানুষ আসে! তোমাদের দেশে ইসলামের কি এতই করুণ অবস্থা!!’
কাতারপ্রবাসী সাধারণ বাংলাদেশিদের মতে- সাঈদীর মত লোক দেশে শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিজেদের হীন স্বার্থে ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বিদেশের মাটিতেও ইসলাম এবং সেসূত্রে এদেশের মানুষের মেধা, জ্ঞান ও মননশীলতা নিয়ে ভিনদেশিদের কটাক্ষ করার সুযাগ করে দেয়।
কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকাংশের কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই শুধু জামায়াতিরা ছাড়া। প্রবাসী সাধারণ বাংলাদেশিদের মতে- এদের লজ্জা বা বিবেক সবই ব্যক্তি আর গোষ্ঠী স্বার্থের নির্লজ্জ কানাগলিতে স্থায়ী বন্দিত্ব লাভ করেছে। সাঈদীর মত বকধার্মিক নেতারা কাতারসহ অন্যান্য আরব দেশে গিয়ে বাংলাদেশ এবং একইসঙ্গে এদেশের অধিকাংশ মানুষের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরির অপপ্রয়াস করেন স্রেফ ব্যক্তি আর দলীয় স্বার্থের খাতিরে।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতবাসকে নির্দেশ দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ বলে সেদেশে প্রবাসী অনেকেই বাংলানিউজের কাছে দাবি জনিয়েছেন। সূত্রঃ বাংলানিউস২৪
মওদুদিবাদ সম্পর্কে যারা ধারনা রাখেন তারা জানেন যে এরা নবী রাসূলদের নিষ্পাপ ভাবেন না। কয়েকজন সাহাবীদের বিরুদ্বে শিয়াদের তো অপবাদ দেন।
সাইদীর জ্ঞানের দৌড় দেখুন, সে বলছে পেনগুইন নাকি উড়তে পারে,
সে বলছে সিম কার্ডের ভিতর ইমেইল থাকে, ওয়েবসাইট থাকে।
সাইদী পরকিয়া করে, শুনুন সাইদী ও তার স্ত্রীর কথোপকথন,
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩