বাইবেলে নারীদের বলা হয়েছে নরকের দ্বারস্বরূপ। ইহুদিরা ,,,,,,,,। হিন্দু ধর্মে ,,,,,,,। সতিয়কার অর্থে কোন ধর্ম নারীদের মর্যাদা দিয়া থাকিলে তাহা হইল ইসলাম। যদিও ইসলাম ধর্মে নারীদের প্রকৃত অবস্থানটি স্পষ্ট নয়।
বহু বছর আগে শরত চন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম যেখানে তিনি নারীদের মর্যাদার ব্যপারে বিভিন্ন ধর্মের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন।
বাংগালী আর মুসলমানদের মধ্যে ফুটবল খেলা হইতেছে।
অথচ শরত চন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তার একটি উপন্যাসে উপরোক্ত উক্তির জন্য।
৫০ বছর আগেও আমেরিকাতে একজন নারী নিজের নামে কোন সম্পদ রাখতে পারত না, অথচ ইসলাম নারীদের এ অধিকারটি দিয়েছিল ১৪০০ বছর আগে।
বিধবাদের বিয়ের ব্যপারে ইসলাম কোন বাধা রাখেনি, এমনকি একজন নারীকে তালাক দেয়ার অধিকারও দিয়েছে, অন্যান ধর্ম কি এই অধিকারগুলো দিয়েছে?
গত বিশ বছরে ভারতে প্রায় এককোটি মেয়ে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। জন্মের পরে কিংবা আগে। আর এ কারনেই ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে জন্মপুরবরতি ভ্রুন নির্ধারন আইন দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হাদিসে আছে যে তার দুটি শিশুকন্যাকে শিক্ষা দিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করল তার জন্য বেহেস্ত ওয়াজিব।
এমনকি বলা হয়েছে যে তার মেয়ে দাসীকে শিক্ষা দিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিল তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার।
ভারতীয় মুসলমানদেরকে হয়তবা উপরোক্ত হাদিসটিই এই গর্হিত কাজটি থেকে বিরত রেখেছে।এর প্রমান প্রাক ইসলামে কন্যাশিশু হত্যার মত জঘন্য কাজটি ইসলাম আবির্ভুত হওয়ার পর রহিত হয়েছিল।
আপনি কি এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলতে পারবেন যেখানে একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান নেই।পরিবারকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান।
পরিবারকে যদি একটি প্রতিষ্ঠান বলে ধরে নেয়া হয় সেখানে একজনের প্রাধান্য থাকাটাই শ্রেয় নয়কি।
এরজন্য সংসারের বয়োজেষ্ঠ পুরুষটি সবচাইতে যোগ্যতর নন কি। সন্তান প্রশবের সময় একজন মেয়ে কি রকম অসহায় হয়ে পরে তা কারো অজানা নয়, এসময়কি তার পক্ষে সম্ভব সংসারের হাল ধরা।
অলিম্পিকের এমন একটি ইভেন্টের কথা বলতে পারবেন কি যেখানে মেয়েরা পুরুষদেরে অতিক্রম করতে পেরেছে, বিশ্ব রেকর্ডের ক্ষেত্রেও মেয়েরা পুরুষদের চাইতে পিছিয়ে নয় কি?
এটা মেনে না নিয়ে আর ঊপায় নেই যে শারিরীকভাবে মেয়েরা দুর্বল হয়ে থাকে। পুরুষদের এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রকৃতিগতভাবেই স্বাভাবিক এবং এতে নারীদের অমর্যাদার কিছু নেই।
নারীদের সৌন্দর্য তার কোমলতায়, নমনীয়তায়। পেশীবহুল পুরুষদের মেয়েরা পছন্দ করলেও পেশীবহুল মেয়েকে কয়জন পুরুষ পছন্দ করবে। গবেষনায় দেখা গেছে সারা প্বথিবীতে পুরুষদের চাইতে নারীদের গড় আয়ু এই কারনে বেশী যে তারা জীবনের বেশিরভাগ সময় ঘরের নিরাপদ পরিবেশে বাস করেন। বাইরের কঠিন পরিবেশে কঠিন শ্রমের কাজগুলো তাদেরকে করতে হয় না।
চলুন একজন ঠেলাওয়ালার জীবনে সব ক্ষেত্রেই নারী পুরুষ সমান শ্লোগানটির কার্যকারিতা দেখি।
এখানে ঠেলাওয়ালা লিখে লিংগভেদ করা হচ্ছে না, কেননা আমি জীবনে কোন ঠেলাওয়ালী দেখিনি।
ধরুন তারা ঠিক করে নিল দৈনন্দিন জীবনে সব কাজকর্ম ভাগ করে নিবে।
একদিন ঠেলাওয়ালা ঠেলা চালাবে আর তার বৌ রান্নাবান্না করবে।
আরেকদিন তার বৌ ঠেলা টানবে আর ঠেলাওয়ালা রান্নাবান্না করবে।
কিন্তু এভাবে কি চালানো সম্ভব?
কেননা তার বৌ একসময় ৮ মাসের অন্তসত্বা হবে।
ইদানিং ডাক্তার মায়ের দুধের বিকল্প নাই বলে গলা ফাটান।
তাহলে খুব দ্রুত মায়ের দুধের বিকল্প আবিস্কার করতে হয়।
আরো ভাল হয় একটা সন্তান ঠেলাওয়ালা আর একটা সন্তান ঠেলাওয়ালি ধারন করলে।
উত্তরাধিকারে সমান অধিকারের প্রশ্নটি ঠেলাওয়ালার জীবনে কিন্তু কোন পরিবর্তন আনবেনা। যেমনটি আনবেনা ৩০ লক্ষ নারী গার্মেন্টস কর্মীদের জীবনে, কেননা তারা দিন আনে দিন খায়।
আমার উপর কার হক বেশি?
এক সাহাবীর এই প্রশ্নের উত্তরে নবিজি সাঃ বলেছিলেন, তোমার মার।
তারপর কার?
তোমার মার।
পরপর তিনবার তিনি একই উত্তর দিয়েছিলেন।
চতুরথবারের উত্তরে বলেছিলেন তোমার বাবার।
অর্থাত পরিবারে একজন মাকে (নারীকে) বাবার (পুরুষের) তিনগুন বেশি মর্যাদা হয়েছে।
আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি তার স্ত্রির কাছে উত্তম সে প্রকৃত অরথে উত্তম।
এসব কিছুতে প্রমানিত হয়না যে অনেক ক্ষেত্রে নারীদেরকেও সম্মানের প্রশ্নে পুরুষের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে।
দুটো পরিসংখানের কথা বলি।
আমেরিকার ৫০% এর উপরের মহিলারা স্বামীর চাইতে তার কুকুরকে বেশি ভালবাসে।
আমেরিকাতে ইসলাম ধর্মে যারা ধরমান্তরিতে হচ্ছে তার বেশিরভাগ মেয়েরা।
নারীদের অধিকারের আন্দোলনে সোচ্চার পাশ্চাত্যের পুরুষদের প্রতি তাদের মেয়েদের এই বৈরি আচরনের কারন কি?
তাকে হয়ত একজন নারীবাদী বলা যাবে না কিন্তু ১৪০০ বছর আগে তিনি নারীদের জন্য যা করেছেন তা আজকের একজন নারীবাদীর পক্ষে করা অসম্ভব ছিল।
আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহিলা প্রফেসরের ন্যাসনাল জিওগ্রাফির একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এই কথা বলেন।
কিছুদিন আগে আমেরিকার একটি শহরে অশালীন কাপড় চোপড় পড়ার দায়ে ছেলেদের (মেয়েদের কেন নয়?) জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে নানরা বোরখা জাতীয় কাপড় পড়ে। অবশ্যই নানরা পশ্চিমা মেয়েদের কাছে সম্মানের পাত্রী।
প্রবল শীতেও দেখা যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে মেয়েরা স্কার্ট পড়ে হাটছে। কিন্তু কেন?
অলিম্পিকে যারা জিমিনাস্টিক দেখেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন মেয়েরা স্বল্পবসনা হয় ছেলেরা ট্রাউজার পরে, কিন্তু কেন?
একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ছেলেকে যদি বলা হয় রংগচংগ মেখে মেয়েদের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য পাড়ায় একটা চক্কর মেরে আসতে তাহলে কি সে রাজী হবে।
তাহলে একটি মেয়েকেও কেন তার সৌন্দর্যকে বাজারজাত করতে হবে বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য? তার যোগ্যতাটা তার মুল্যানের মাপকাঠি হবেনা কেন, যা ঘটে একটি ছেলের ক্ষেত্রে।
আমি হয়ত গোছিয়ে লেখতে পারেনি কিন্তু যা বলতে চেয়েছি তা হল মেয়েরা তাদের দেহ রুপ সৌন্দর্যকে পুজি করে কিছু করতে গেলে তা মেয়েদেরকে ডিসক্রিমিনেসন করা হয় এই অর্থে তোমার যোগ্যতা নেই তাই শরীর দিয়ে পুষিয়ে নাও। তাই কাপড় চোপড়ে মেয়েদের শালীন হওয়াটা আরো জরুরী।
তাই মেয়েদেরকেই সচেতন হতে হবে তাদেরকে যেন বাজারের শোকেসে রাখা চকচকে লোভনীয় পন্য না করা না হয়। কিছু কিছু নারীবাদী সতিকার অর্থে মোনাফালোভী মেয়েদের পন্য বানানোর কাজটি সুকৌশলে করছে নারী মুক্তির নামে। সতিকার অর্থে নারীদের মুক্তি ঘটুক এটা প্রত্যেক সভ্য মানুষের কাম্য। কেননা একজন মানুষের সবচাইতে কাছের যে মেয়ে মানুষটি, সে তার মা। কেউ তার মাকে অবহেলিত, নির্যাচিত, তার অধিকার বন্চিত হিসাবে কখনোই দেখতে চাইবে না।
নারীবাদিরাও অনেক সময় কোন একটি ইস্যুতে বিপরীত অবস্থান গ্রহন করতে পারে।
নিচের উদাহরনটির কথা ভাবা যাক।
যৌন কর্মীদের পেশাটিকে নারীবাদীদের প্রধান অংশটি কখনো নারীদের জন্য ক্ষতিকারক কিছু মনে করে না। নারীরা এতে করে অবস্থার শিকার বলতেও তারা নারাজ। এমনকি নারীদের নিরাপত্তার কথা বলে এই পেশাটি বিলোপ করারও বিরোধি তারা। উপরন্তু এই পেশায় নিয়োজিতদের অবস্থার উন্নতির কথা বলে তারা।
অথচ এনডেরা ডওরকিন নামক একজন নারীবাদি লেখিকা মনে করেন কমার্শিয়াল সেক্স রেপ ছাড়া কিছুই নয় যা নারীদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে ভিকটিমাইজ করা হয়। এই ভদ্রমহিলা একজন এক্স যৌনকর্মী ছিলেন। তিনি এই পেশাটির নি:শর্ত বিলুপ্তি চান। তার মতাদর্শের নারীবাদিদের ধারনা এতে করে নারীদেরকে পুরুষদের উপভোগের বস্তু বানিয়ে তাদেরকে এক্সপ্লোয়েট করার সুযোগ করে দেয়া হয়।
আদতেই এটি সত্যি আমেরিকাতে এটি মেয়েদের জন্য সবচাইতে ঝুকিপুর্ন পেশার একটি। প্রতি একলাখ যৌনকর্মীদের মধ্যে ২০৬ জনের মত খুনের শিকার হন। এছাড়া যৌনবাহিত রোগের ঝুকির মধ্যেও তাদেরকে থাকতে হয়। অধিকাংশ আমেরিকান মনে করে এটি একটি অনৈতিকাজ তাই উভয় পক্ষকেই বিচারের সম্মুখিন করা উচিত। নিউইয়র্কের গভর্নরকে শেষপর্যন্ত তার পদ ছাড়তে হয়েছে এই কারনেই।
মেডিকেলের সাথে সম্পৃত্তরাও জীবননাশী রোগের কারন বলে পেশাটির অবলুপ্তি চান।
এই পেশাটিকে জিইয়ে রাখার জন্য হিউমেন ট্রাফিকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলো থেকে উন্নত বিশ্বে নারী পাচারের ঘটনা ঘটে। এইভাবে রাশিয়া থেকে গ্রীসে পাচার হয়ে যাওয়া এক নারীর কাহিনী শুনেছিলাম বি বি সিতে। উনি কাদতে কাদতে বলেছিলেন এর চাইতে আমার মৃত্যু শ্রেয়।
এজাতীয় ফোর্স লেবারের বিশ্ব বাজার ৩১ বিলিয়ন ডলারের, যার অর্ধেকটা যায় শিল্পোন্নত দেশের মানুষের পকেটে।
আজকে যারা নারীস্বাধীনতের কথা বলে পশ্চিমাদের সাথে গলা মেলান তাদের কাছে আমার প্রশ্ন পশ্চিমারা চেষ্টা করলে কি পারেনা কোটির উপর নারীদের এই অবমাননাকর জীবন থেকে রেহাই দিয়ে সম্মানের জীবনে ফিরিয়ে আনতে।
নীচে কিছু পরিসংখ্যান দিলাম। যে পরিসংখ্যানটা ইউরোপের, যেখানে সামু বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন মেয়েরা সবচাইতে বেশি স্বাধিনতা ভোগ করেন, ইসলামের মত তাদেরকে বোরখায় ঢেকে রাখা হয়না, যা কিনা সব অনিষ্টের মূল।
পরিসংখ্যানটা আবার ইউনিসেফের, লাদেনের না।
অস্ট্রিয়ায় কর্মস্থলে শতকার ৮০ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
জার্মানীতে কর্মস্থলে শতকার ৭২ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
লুক্সেমবার্গে জীবনে অন্তত একবার ৭৮% মেয়ের যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
হল্যান্ডেও একই অবস্থা উপরন্তু ৩৬% মেয়েরা রীতিমত ভায়োলেন্সের শিকার হন।
ইংল্যান্ডে প্রতি ৪জনে তিন জনে মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
বেশির ভাগে নির্যাতনকারী হয় বস কিংবা কলিগ।
পুরুষতান্ত্রিকতার দোহাই দিতে গিয়ে আবার কিছু আবোল তাবোল গাইলেন ঐ নাস্তিক।
কিন্তু এটা বুঝতে কারো বাকী থাকার কথা নয় যে বদ তার কোন নারী পুরুষ ভেদ নেই।
ইউরোপে ৫% ক্ষেত্রে পুরুষেরা মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হয় আবার ক্যলিফোর্নিয়ার নাকি ইদানিং পুরুষের দ্বারা পুরুষ নির্যাতনের হার বেশ বেড়ে গেছে।
Click This Link
আবার ওখানে যুক্তি দেখানো হলে মেয়ে ছেলেদের মেশামেশিটা অবাধ হলে নাকি ঈভ টিজিং কমে যেত।
আপনাদের কি মনে হয়না দশ বছরের আগের চাইতে ছেলে মেয়েরা আরো বেশি মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে। সবকিছুই আরো বেশি খোলামেলা নয়কি। তাহলে ত দশ বছরের আগের চাইতে এ জাতীয় ঘটনা একেবারেই কমে যেত নয়কি
যাহোক আমাদের দেশের কর্মস্থলে মেয়েদেরকে এখনো যথেষ্ট সম্মান করা হয়। যৌন হয়রানির ঘটনাও কম।
কিন্তু কিছু সামু বুদ্ধিজীবিরা আশা করছেন পশ্চিমা কালচারে পারদর্শী হয়ে আমরা নারীদেরকে (মা, বোনদের) আরো বেশি উন্মুক্ত করার সুযোগ খুজব, আর সুযোগ খুজব আরো বেশি যৌন নির্যাতনের।
যারা উন্নত বিশ্ব থেকে ঐ দুনিয়ার মানুষগুলো সাথে গলা মিলিয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন আর নারীদের সমান অধিকারের কথা বলেন তারা এমন একটি বিশ্বের কথা বলেন না কেন যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে।
উন্নত বিশ্বের মানুষের মাথাপিছু আয় গরীব দেশগুলোর মানুষদের চাইতে একশগুন হবে কেন। তাদের কাছে প্রশ্ন দুনিয়ার ৫ শতাংশ মানুষ কেন দুনিয়ার ৯৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করবে। পাশাপাশি তারা কেন নিয়ত্রন করবে দুনিয়ার গরীব মানুষগুলোর রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি পর্যন্ত।
সরকারি মতে ভুমিহীনদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। বেসরকারি মতে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।
ক্ষেতমজুর, সাধারন মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট চাকুরে এদের কোনপ্রকার সম্পদ নেই। এদের বৌ ঝিদের সংখ্যা মোট নারীর ৭০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।
এদের সাথে যোগ করা যায় ৩০ লক্ষ নারী শ্রমিকদের যারা বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকুরি করেন। এই ৭০ শতাংশ নারীরা সমাজের সবচাইতে ভংগুর শ্রেনীর। সামাজিক অর্থনৈতিক কোন নিরাপত্তা নেই। এরাই সবচাইতে ঝুকির মধ্যে থাকে পাশের পুরষটি কর্ত্বক নির্যাচিত হওয়ার। রাহেলার ক্ষেত্রেই তাই ঘটেছিল। এসব নারীরা কোন কারনে একাকী হয়ে পড়লে রাষ্ট্রের উচিত এদের পাশে দাড়িয়ে সামাজিক এবং আর্থিক সহায়তা করা। নারীর উন্নয়ন নীতিমালায় এরা সবচাইতে বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবী রাখে। এসব নারীরা বিপদগ্রস্থ হলে একটি আইন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এদের সাহায্য পাবার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
উত্তরাধিকার সুত্রে আমাদের দেশে সাধারনত জমি ভাগাভাগির মধ্যদিয়েই সম্পদ ভাগাভাগির কাজটি সারা হয়। ব্যতিক্রমও আছে।
তাই সম্পদের উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তন খুব ক্ষুদ্র শ্রেনীর নারীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে যারা এমনিতেই সামাজিক এবং আর্থিক নিরাপত্তা ভোগ করে আসছেন।
আমরা নয় ভাইবোন পৈত্রিক সুত্রে একটি কানাকড়িও পাইনি। অথচ আমাদের ছোট তিনটি বোনকে পাত্রস্থ করতে গিয়ে আমাদের ভাইদেরকে পরিশ্রম করে উপার্জিত প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল।
এ ব্লগের পন্ডিত ব্যক্তিরা প্রায়ই সহজাত বিবেক বুদ্ধির কথা বলে থাকেন যা মানুষকে সঠিক কাজটি করতে উদ্ভুদ্ধ করে, ধর্ম বা কোন বাধ্যবাধকতা নয়।
তাহলে এক্ষেত্রে কেন তারা শুধুমাত্র আইন দিয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইছেন।
আমাদের সমাজের গরীব মানুষগুলো বেচে থাকে পারষ্পরিক সহায়তা আর সহানুভুতি সুতোয় গাথা অদৃশ্য এক ভালবাসার জাল আকড়ে ধরে।
উন্নত বিশ্বের মত আইন করে এ মানুষগুলো বাচিয়ে রাখা যাবেনা। এত সম্পদ আমাদের সরকারের নেই। কেননা সব সম্পদ চলে গেছে কিছু হাতে গোনা অসত মানুষের কাছে।
তাদেরই আছে আইনের প্রয়োজন যা দিয়ে তারা তাদের বৌ ঝিদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে।
আপাতত সরকারের কাছে নিবেদন, চালের দাম কমানো হোক, যাতে করে গরীবের বৌ ঝিদের লম্বা লাইনে দাড়িয়ে শেষপর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে না হয়। তিনবেলা পুট পুড়ে খেতে পারলেই এরা এখন অনেক সুখে থাকতে পারবে। বাড়তি সম্পদ চাইবে না।
মেক্সিকোতে এতদিন সাবওয়েতে মেয়েদের জন্য আলাদা কামড়ার ব্যবস্থা ছিল। এখন আবার আলাদা বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারন আর কিছুনা রাশ আওয়ারে সবাই যখন গাদাগাদি করে কর্মস্থলের দিকে ছুটে তখন ছ্যাছোড় জাতীয় পুরুষ মানুষ সুযোগটি কাজে লাগায় মেয়েদের যৌন নির্যাতনের। তাই কর্তৃপক্ষ মেয়েদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করেছে।
একভদ্রলোক ভুলবসত: এমনি একটি বাসে উঠে পড়লে তাকে মেয়েদের রোষনলে পড়তে হয়। পরে ভদ্রলোক মেয়েদের প্রতিবাদের মুখে পরের ষ্টপে নেমে পড়তে বাধ্য হন। মেয়েরা তখন জয়ধ্বনি করে উঠে। মেয়েরা বলাবলি করতে থাকে, নির্যাতিত হতে কেমন লাগে বুঝবে এখন।
এতে আসলে মেয়েদের চাপা ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে পুরষদের প্রতি।
কিছু পুরুষরা এতে নাখোশ, কেননা তাদেরকে কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। মেয়েরা কিন্তু দারুন খুশী। সবাই এখন কর্মস্থলে পৌছে যাচ্ছেন নিরাপদে।
একভদ্রমহিলা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন, এতদিন আমাকে সেলাইয়ের সুই নিয়ে বাসে উঠতে হত, আক্রান্ত হলে সেলাইয়ের এফোর ওফোড়।
এক বুড়ো ভদ্রলোক আবার প্রতিক্রিয়া দেখালেন এই বলে যে, পুরুষদের এটা এনিমেল ইনিস্টিংক্ট মেয়েমানুষ দেখলেই ষ্পর্ষ করতে চাওয়া।
এই ব্যবস্থা কার্যকরী হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ মেয়েদের কাছ থেকে অনেক ইমেইল আর চিঠি পান ধন্যবাদ পেয়ে।
এবার আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঘটনা বলি।
জাপানের সাবওয়েতে রাশআওয়ারে উঠেছি শিক্ষাস্থলে যাওয়ার জন্য। প্রচন্ড চাপাচাপিতে আমার প্রান ওষ্ঠাগত হওয়ার যোগাড়। হঠাত করেই একটি মেয়ে চেচিয়ে উঠল বন্ধ কর, বন্ধ কর বলছি। বুঝতে অসুবিধা হলনা কোন একজন বাজে লোক মেয়েটির গায়ে হাত দিয়েছে। মেয়েটি আমার খুব কাছাকাছি ছিল বলে, ব্যাপারটি ছিল আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। পরের ষ্টেশনে নেমে গিয়ে হাফ ছেড়ে বেচেছিলাম। এরকম ঘটনা আমাকে একাধিকবার প্রত্যক্ষ করতে হুয়েছিল।
মেয়েদের জন্য আলাদা কিছু একটা করাটা আসলেই শেষ পর্যন্ত পুরুষ মেয়েদেরকে আলাদা করে ভাবতে শেখায়। যা একজন আধুনিক মানুষ হিসাবে গেলাটা খুবই কষ্টকর।
আমার উপর কার হক বেশি?
এক সাহাবীর এই প্রশ্নের উত্তরে নবিজি সাঃ বলেছিলেন, তোমার মার।
তারপর কার?
তোমার মার।
পরপর তিনবার তিনি একই উত্তর দিয়েছিলেন।
চতুরথবারের উত্তরে বলেছিলেন তোমার বাবার।
অর্থাত পরিবারে একজন মাকে (নারীকে) বাবার (পুরুষের) তিনগুন বেশি মর্যাদা হয়েছে।
আরেকবার নবিজি সাঃ কয়জন যুবককে কিছু লাকড়ি যোগাড় করে আগুন জবালাতে বললেন, তারপর নিয়ে আসতে বললেন এক বুড়ি মা এবং তার সন্তানকে।
মা তার সন্তানের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। নবিজি সাঃ তারপর বললেন ছেলেটিকে ধরে আগুনে ফেলে দেয়ার জন্য। ঠিক ফেলে দেয়ার মুহুর্তে বুড়ি মা ভয়ে আর্তনাদ করে উঠলেন।
তখন নবিজি সাঃ বুড়ি মা এবং তার সন্তানকে উদ্দ্যেশ করে বললেন, মা যদি তার সন্তানের উপর অসন্তুষ্ট থাকে তবে তাকে অনন্তকাল দোজখের আগুনে জবলতে হবে।
আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি তার স্ত্রির কাছে উত্তম সে প্রকৃত অরথে উত্তম। এসব
এসব কিছুতে প্রমানিত হয়না যে অনেক ক্ষেত্রে নারীদেরকেও সম্মানের প্রশ্নে পুরুষের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে।
দুটো পরিসংখানের কথা বলি।
আমেরিকার ৫০% এর উপরের মহিলারা স্বামীর চাইতে তার কুকুরকে বেশি ভালবাসে।
আমেরিকাতে ইসলাম ধর্মে যারা ধরমান্তরিতে হচ্ছে তার বেশিরভাগ মেয়েরা।
নারীদের অধিকারের আন্দোলনে সোচ্চার পাশ্চাত্যের পুরুষদের প্রতি তাদের মেয়েদের এই বৈরি আচরনের কারন কি?
তাকে হয়ত একজন নারীবাদী বলা যাবে না কিন্তু ১৪০০ বছর আগে তিনি নারীদের জন্য যা করেছেন তা আজকের একজন নারীবাদীর পক্ষে করা অসম্ভব ছিল।
আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহিলা প্রফেসরের ন্যাসনাল জিওগ্রাফির একটি একটি অনুষ্ঠানে
দেয়া।
বেশ কয়েক বছর আগে দেখা একটি হলিউডের মুভির দৃশ্য।
একটি সহজ সরল গোছের মেয়ে মজা করার জন্য একটি পাবে প্রবেশ করে।
স্বল্পবসনা মেয়েটি কাপড় চোপড়ে কিছুটা অংসযত ছিল। পাবে উপস্থিত কয়েকটি ছেলে প্রথনে মেয়েটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে মদ খাইয়ে মাতাল করে। তারপর একপাশে পেতে রাখা বিলিয়ারড বোর্ডের উপর ছেলেগুলো মেয়েটি সম্ভ্রম নষ্ট করে। ভীত সন্ত্রস্ত নগ্ন মেয়েটি একসময় কোনপ্রকারে গায়ে কাপড় চড়িয়ে চিতকার করতে করতে পাব থেকে পালিয়ে বের হয়। শুরু হয় দুপক্ষের আইনি লড়াই।
ছবিটির শেষের দিকে ছেলে কয়টিকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ড দেয়া হয়।
মেয়েটি কাপড় চোপড়ে এবং আচরনে সংযত হলে এই অপকান্ডটি হয়ত ঘটত না।
কিছুদিন আগে আমেরিকার একটি শহরে অশালীন কাপড় চোপড় পড়ার দায়ে ছেলেদের (মেয়েদের কেন নয়?) জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে নানরা বোরখা জাতীয় কাপড় পড়ে। অবশ্যই নানরা পশ্চিমা মেয়েদের কাছে সম্মানের পাত্রী।
প্রবল শীতেও দেখা যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে মেয়েরা স্কার্ট পড়ে হাটছে। কিন্তু কেন?
অলিম্পিকে যারা জিমিনাস্টিক দেখেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন মেয়েরা স্বল্পবসনা হয় ছেলেরা ট্রাউজার পরে, কিন্তু কেন?
একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ছেলেকে যদি বলা হয় রংগচংগ মেখে মেয়েদের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য পাড়ায় একটা চক্কর মেরে আসতে তাহলে কি সে রাজী হবে।
তাহলে একটি মেয়েকেও কেন তার সৌন্দর্যকে বাজারজাত করতে হবে বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য? তার যোগ্যতাটা তার মুল্যানের মাপকাঠি হবেনা কেন, যা ঘটে একটি ছেলের ক্ষেত্রে।
আমি হয়ত গোছিয়ে লেখতে পারেনি কিন্তু যা বলতে চেয়েছি তা হল মেয়েরা তাদের দেহ রুপ সৌন্দর্যকে পুজি করে কিছু করতে গেলে তা মেয়েদেরকে ডিসক্রিমিনেসন করা হয় এই অর্থে তোমার যোগ্যতা নেই তাই শরীর দিয়ে পুষিয়ে নাও। তাই কাপড় চোপড়ে মেয়েদের শালীন হওয়াটা আরো জরুরী।
তাই মেয়েদেরকেই সচেতন হতে হবে তাদেরকে যেন বাজারের শোকেসে রাখা চকচকে লোভনীয় পন্য না করা না হয়। কিছু কিছু নারীবাদী সতিকার অর্থে মোনাফালোভী মেয়েদের পন্য বানানোর কাজটি সুকৌশলে করছে নারী মুক্তির নামে। সতিকার অর্থে নারীদের মুক্তি ঘটুক এটা প্রত্যেক সভ্য মানুষের কাম্য। কেননা একজন মানুষের সবচাইতে কাছের যে মেয়ে মানুষটি, সে তার মা। কেউ তার মাকে অবহেলিত, নির্যাচিত, তার অধিকার বন্চিত হিসাবে কখনোই দেখতে চাইবে না।
নারীবাদিরাও অনেক সময় কোন একটি ইস্যুতে বিপরীত অবস্থান গ্রহন করতে পারে।
নিচের উদাহরনটির কথা ভাবা যাক।
যৌন কর্মীদের পেশাটিকে নারীবাদীদের প্রধান অংশটি কখনো নারীদের জন্য ক্ষতিকারক কিছু মনে করে না। নারীরা এতে করে অবস্থার শিকার বলতেও তারা নারাজ। এমনকি নারীদের নিরাপত্তার কথা বলে এই পেশাটি বিলোপ করারও বিরোধি তারা। উপরন্তু এই পেশায় নিয়োজিতদের অবস্থার উন্নতির কথা বলে তারা।
অথচ এনডেরা ডওরকিন নামক একজন নারীবাদি লেখিকা মনে করেন কমার্শিয়াল সেক্স রেপ ছাড়া কিছুই নয় যা নারীদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে ভিকটিমাইজ করা হয়। এই ভদ্রমহিলা একজন এক্স যৌনকর্মী ছিলেন। তিনি এই পেশাটির নি:শর্ত বিলুপ্তি চান। তার মতাদর্শের নারীবাদিদের ধারনা এতে করে নারীদেরকে পুরুষদের উপভোগের বস্তু বানিয়ে তাদেরকে এক্সপ্লোয়েট করার সুযোগ করে দেয়া হয়।
আদতেই এটি সত্যি আমেরিকাতে এটি মেয়েদের জন্য সবচাইতে ঝুকিপুর্ন পেশার একটি। প্রতি একলাখ যৌনকর্মীদের মধ্যে ২০৬ জনের মত খুনের শিকার হন। এছাড়া যৌনবাহিত রোগের ঝুকির মধ্যেও তাদেরকে থাকতে হয়। অধিকাংশ আমেরিকান মনে করে এটি একটি অনৈতিকাজ তাই উভয় পক্ষকেই বিচারের সম্মুখিন করা উচিত। নিউইয়র্কের গভর্নরকে শেষপর্যন্ত তার পদ ছাড়তে হয়েছে এই কারনেই।
মেডিকেলের সাথে সম্পৃত্তরাও জীবননাশী রোগের কারন বলে পেশাটির অবলুপ্তি চান।
এই পেশাটিকে জিইয়ে রাখার জন্য হিউমেন ট্রাফিকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলো থেকে উন্নত বিশ্বে নারী পাচারের ঘটনা ঘটে। এইভাবে রাশিয়া থেকে গ্রীসে পাচার হয়ে যাওয়া এক নারীর কাহিনী শুনেছিলাম বি বি সিতে। উনি কাদতে কাদতে বলেছিলেন এর চাইতে আমার মৃত্যু শ্রেয়।
এজাতীয় ফোর্স লেবারের বিশ্ব বাজার ৩১ বিলিয়ন ডলারের, যার অর্ধেকটা যায় শিল্পোন্নত দেশের মানুষের পকেটে।
আজকে যারা নারীস্বাধীনতের কথা বলে পশ্চিমাদের সাথে গলা মেলান তাদের কাছে আমার প্রশ্ন পশ্চিমারা চেষ্টা করলে কি পারেনা কোটির উপর নারীদের এই অবমাননাকর জীবন থেকে রেহাই দিয়ে সম্মানের জীবনে ফিরিয়ে আনতে।
গতকাল এক পোষ্টে এক নাস্তিক মহান এক আবিস্কারে সবাইকে চমকে দিল।
ঈভ টিজিং এর জন্য নাকি ইসলাম দায়ী (পোষ্টটা ভাল মত পড়ার মত ধৈর্য ছিল না)। ইসলাম পুরুষদেরকে উতসাহ যোগায় মেয়েদের নির্যাতনের। অনেক সামু বুদ্ধিজীবি এতে সুর মেলালেন, কেননা যদি না আবার নাস্তিকেরা তাদেরকে মৌলবাদী ভেবে বসেন। যাহোক আমি নীচে কিছু পরিসংখ্যান দিলাম। যে পরিসংখ্যানটা ইউরোপের, যেখানে সামু বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন মেয়েরা সবচাইতে বেশি স্বাধিনতা ভোগ করেন, ইসলামের মত তাদেরকে বোরখায় ঢেকে রাখা হয়না, যা কিনা সব অনিষ্টের মূল।
পরিসংখ্যানটা আবার ইউনিসেফের, লাদেনের না।
অস্ট্রিয়ায় কর্মস্থলে শতকার ৮০ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
জার্মানীতে কর্মস্থলে শতকার ৭২ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
লুক্সেমবার্গে জীবনে অন্তত একবার ৭৮% মেয়ের যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
হল্যান্ডেও একই অবস্থা উপরন্তু ৩৬% মেয়েরা রীতিমত ভায়োলেন্সের শিকার হন।
ইংল্যান্ডে প্রতি ৪জনে তিন জনে মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
বেশির ভাগে নির্যাতনকারী হয় বস কিংবা কলিগ।
Click This Link
পুরুষতান্ত্রিকতার দোহাই দিতে গিয়ে আবার কিছু আবোল তাবোল গাইলেন ঐ নাস্তিক।
কিন্তু এটা বুঝতে কারো বাকী থাকার কথা নয় যে বদ তার কোন নারী পুরুষ ভেদ নেই।
ইউরোপে ৫% ক্ষেত্রে পুরুষেরা মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হয় আবার ক্যলিফোর্নিয়ার নাকি ইদানিং পুরুষের দ্বারা পুরুষ নির্যাতনের হার বেশ বেড়ে গেছে।
Click This Link
আবার ওখানে যুক্তি দেখানো হলে মেয়ে ছেলেদের মেশামেশিটা অবাধ হলে নাকি ঈভ টিজিং কমে যেত।
আপনাদের কি মনে হয়না দশ বছরের আগের চাইতে ছেলে মেয়েরা আরো বেশি মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে। সবকিছুই আরো বেশি খোলামেলা নয়কি। তাহলে ত দশ বছরের আগের চাইতে এ জাতীয় ঘটনা একেবারেই কমে যেত নয়কি
যাহোক আমাদের দেশের কর্মস্থলে মেয়েদেরকে এখনো যথেষ্ট সম্মান করা হয়। যৌন হয়রানির ঘটনাও কম।
কিন্তু কিছু সামু বুদ্ধিজীবিরা আশা করছেন পশ্চিমা কালচারে পারদর্শী হয়ে আমরা নারীদেরকে (মা, বোনদের) আরো বেশি উন্মুক্ত করার সুযোগ খুজব, আর সুযোগ খুজব আরো বেশি যৌন নির্যাতনের।
যারা উন্নত বিশ্ব থেকে ঐ দুনিয়ার মানুষগুলো সাথে গলা মিলিয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন আর নারীদের সমান অধিকারের কথা বলেন তারা এমন একটি বিশ্বের কথা বলেন না কেন যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে।
উন্নত বিশ্বের মানুষের মাথাপিছু আয় গরীব দেশগুলোর মানুষদের চাইতে একশগুন হবে কেন। তাদের কাছে প্রশ্ন দুনিয়ার ৫ শতাংশ মানুষ কেন দুনিয়ার ৯৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করবে। পাশাপাশি তারা কেন নিয়ত্রন করবে দুনিয়ার গরীব মানুষগুলোর রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি পর্যন্ত।
সরকারি মতে ভুমিহীনদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। বেসরকারি মতে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।
ক্ষেতমজুর, সাধারন মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট চাকুরে এদের কোনপ্রকার সম্পদ নেই। এদের বৌ ঝিদের সংখ্যা মোট নারীর ৭০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।
এদের সাথে যোগ করা যায় ৩০ লক্ষ নারী শ্রমিকদের যারা বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকুরি করেন। এই ৭০ শতাংশ নারীরা সমাজের সবচাইতে ভংগুর শ্রেনীর। সামাজিক অর্থনৈতিক কোন নিরাপত্তা নেই। এরাই সবচাইতে ঝুকির মধ্যে থাকে পাশের পুরষটি কর্ত্বক নির্যাচিত হওয়ার। রাহেলার ক্ষেত্রেই তাই ঘটেছিল। এসব নারীরা কোন কারনে একাকী হয়ে পড়লে রাষ্ট্রের উচিত এদের পাশে দাড়িয়ে সামাজিক এবং আর্থিক সহায়তা করা। নারীর উন্নয়ন নীতিমালায় এরা সবচাইতে বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবী রাখে। এসব নারীরা বিপদগ্রস্থ হলে একটি আইন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এদের সাহায্য পাবার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
উত্তরাধিকার সুত্রে আমাদের দেশে সাধারনত জমি ভাগাভাগির মধ্যদিয়েই সম্পদ ভাগাভাগির কাজটি সারা হয়। ব্যতিক্রমও আছে।
তাই সম্পদের উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তন খুব ক্ষুদ্র শ্রেনীর নারীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে যারা এমনিতেই সামাজিক এবং আর্থিক নিরাপত্তা ভোগ করে আসছেন।
আমরা নয় ভাইবোন পৈত্রিক সুত্রে একটি কানাকড়িও পাইনি। অথচ আমাদের ছোট তিনটি বোনকে পাত্রস্থ করতে গিয়ে আমাদের ভাইদেরকে পরিশ্রম করে উপার্জিত প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল।
এ ব্লগের পন্ডিত ব্যক্তিরা প্রায়ই সহজাত বিবেক বুদ্ধির কথা বলে থাকেন যা মানুষকে সঠিক কাজটি করতে উদ্ভুদ্ধ করে, ধর্ম বা কোন বাধ্যবাধকতা নয়।
তাহলে এক্ষেত্রে কেন তারা শুধুমাত্র আইন দিয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইছেন।
আমাদের সমাজের গরীব মানুষগুলো বেচে থাকে পারষ্পরিক সহায়তা আর সহানুভুতি সুতোয় গাথা অদৃশ্য এক ভালবাসার জাল আকড়ে ধরে।
উন্নত বিশ্বের মত আইন করে এ মানুষগুলো বাচিয়ে রাখা যাবেনা। এত সম্পদ আমাদের সরকারের নেই। কেননা সব সম্পদ চলে গেছে কিছু হাতে গোনা অসত মানুষের কাছে।
তাদেরই আছে আইনের প্রয়োজন যা দিয়ে তারা তাদের বৌ ঝিদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে।
আপাতত সরকারের কাছে নিবেদন, চালের দাম কমানো হোক, যাতে করে গরীবের বৌ ঝিদের লম্বা লাইনে দাড়িয়ে শেষপর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে না হয়। তিনবেলা পুট পুড়ে খেতে পারলেই এরা এখন অনেক সুখে থাকতে পারবে। বাড়তি সম্পদ চাইবে না।
মেক্সিকোতে এতদিন সাবওয়েতে মেয়েদের জন্য আলাদা কামড়ার ব্যবস্থা ছিল। এখন আবার আলাদা বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারন আর কিছুনা রাশ আওয়ারে সবাই যখন গাদাগাদি করে কর্মস্থলের দিকে ছুটে তখন ছ্যাছোড় জাতীয় পুরুষ মানুষ সুযোগটি কাজে লাগায় মেয়েদের যৌন নির্যাতনের। তাই কর্তৃপক্ষ মেয়েদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করেছে।
একভদ্রলোক ভুলবসত: এমনি একটি বাসে উঠে পড়লে তাকে মেয়েদের রোষনলে পড়তে হয়। পরে ভদ্রলোক মেয়েদের প্রতিবাদের মুখে পরের ষ্টপে নেমে পড়তে বাধ্য হন। মেয়েরা তখন জয়ধ্বনি করে উঠে। মেয়েরা বলাবলি করতে থাকে, নির্যাতিত হতে কেমন লাগে বুঝবে এখন।
এতে আসলে মেয়েদের চাপা ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে পুরষদের প্রতি।
কিছু পুরুষরা এতে নাখোশ, কেননা তাদেরকে কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। মেয়েরা কিন্তু দারুন খুশী। সবাই এখন কর্মস্থলে পৌছে যাচ্ছেন নিরাপদে।
একভদ্রমহিলা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন, এতদিন আমাকে সেলাইয়ের সুই নিয়ে বাসে উঠতে হত, আক্রান্ত হলে সেলাইয়ের এফোর ওফোড়।
এক বুড়ো ভদ্রলোক আবার প্রতিক্রিয়া দেখালেন এই বলে যে, পুরুষদের এটা এনিমেল ইনিস্টিংক্ট মেয়েমানুষ দেখলেই ষ্পর্ষ করতে চাওয়া।
এই ব্যবস্থা কার্যকরী হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ মেয়েদের কাছ থেকে অনেক ইমেইল আর চিঠি পান ধন্যবাদ পেয়ে।
এবার আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঘটনা বলি।
জাপানের সাবওয়েতে রাশআওয়ারে উঠেছি শিক্ষাস্থলে যাওয়ার জন্য। প্রচন্ড চাপাচাপিতে আমার প্রান ওষ্ঠাগত হওয়ার যোগাড়। হঠাত করেই একটি মেয়ে চেচিয়ে উঠল বন্ধ কর, বন্ধ কর বলছি। বুঝতে অসুবিধা হলনা কোন একজন বাজে লোক মেয়েটির গায়ে হাত দিয়েছে। মেয়েটি আমার খুব কাছাকাছি ছিল বলে, ব্যাপারটি ছিল আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। পরের ষ্টেশনে নেমে গিয়ে হাফ ছেড়ে বেচেছিলাম। এরকম ঘটনা আমাকে একাধিকবার প্রত্যক্ষ করতে হুয়েছিল।
মেয়েদের জন্য আলাদা কিছু একটা করাটা আসলেই শেষ পর্যন্ত পুরুষ মেয়েদেরকে আলাদা করে ভাবতে শেখায়। যা একজন আধুনিক মানুষ হিসাবে গেলাটা খুবই কষ্টকর।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৭