পুলিশ অফিসার জসিম সাহেবের রুমে এক শুশ্রুধারী লোক বসে আছেন, মুখোমুখি। লোকটির গায়ে ছেঁড়া ময়লা পাঞ্জাবী,চুল উস্কোখুসকো। সে একদৃষ্টে জসিম সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছেন।
-তোমার কি নাম?
-নীল লাল।
-মানে কি? এটা আবার কেমন নাম?
-মানে হচ্ছি আমার ডাক নাম নীল,পুরো নাম নীল লাল। অনেকে আমারে নীল মেয়া বইলেও ডাকে। আমার বাবায় রাখছে।
-কি অদ্ভুত!! আচ্ছা তোমার বাবার নাম কি?
-সবুজ লাল।
-আর মায়ের নাম?
-কমলা লাল।
-তোমাদের পরিবার দেখি সব রঙ দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছ। এরকম নাম আগে আমি কখনই শুনি নাই।এর কি কোন ব্যাখ্যা আছে? জানো কেন এরকম নাম রাখা হলো?
-তা শুইনেছি আরকি। বলব?
-হুম বলো।
-আমার দাদার নাম হইচ্ছে মাখন লাল।তার বাপের নাম ছেলো মনির লাল। তো মনির লাল,উনি একবার মাখন,ঘি এসবের ব্যবসা কইরে এক্কেরে অনেক টেকা কামাই কইরে ফেলে আর অনেক বড়লোক হইয়ে যায়।তো সে তার ছেইলের মানে আমার দাদার নাম রেইখে দেন মাখন লাল এজন্যি।
-ও আচ্ছা তার মানে হচ্ছে তোমার বাবা দাদা নিশ্চয়ই রঙ ব্যবসায়ী?এজন্যই তোমাদের নাম.....
-না না স্যার আমারে শেষ করতি দ্যান।ব্যাপারটা সিডা না।
-আচ্ছা বলো তাহলে।
-আমার দাদা একদিন গেরামের উত্তরে একটা বাওর আছে,ওইটায় গোসল কইরতে গেল। ব্যবসায়ী মানুষ, কাজ কাম সারতি সারতি বেলা হয়ে এল।দুপুর এ সে গোসলে যায় সেদিন।
-তারপর?
-ওই বাওরডা নিয়া অনেক কাহিনী আছে।এই বাওরডা যখন আরো বড় ছেলো তখন নৌকোয় বাওর পাড় হতি হত। এখন আগের চেইয়ে অনেক ছোড হয়ে গেছে। তো এই বাওড় পাড়ি দিচ্ছিল এক বিয়েবাড়ির মানুষজন। তো পাড়ি দেওয়ার সময় হঠাৎ ঝড় হয়, খুব পানি হয় সিবার। এত ঝড় আগে কখনই হয় নি। সেই ঝড়ে কইন্নার নৌকো ডুবে যায়।তারে আর পাওয়া যায় নি।সেই থেকে সেই বাওড়ের নাম "কইন্নাদাহ বাওর"।
-এর নাম শুনেছি বাদশা মিয়ার কাছে। তারপর বলো।
-তো আমার দাদা এ বাওড়ে গোসল করতি যেতেন।তো ওইদিনও গেলেন।
হঠাৎ তার মনি হল তার পা কে যেন টান মারিল। সে আর উঠতে পারছে না পাড়ে। কে জানি পা ধরি টেইনে নিয়ে যাচ্ছিল। ডুবে যাচ্ছে ডুবে যাচ্ছে। ডুবে গেল সে।
পানির নিচে দাদা যেয়ে দেখলো এক সুন্দরী মেয়েছেলে বইসে আছে।দাদার মনি হল যে শ্বাস নিতে পারতিছেল।কোন সমস্যা হচ্ছিল না। সেই মেয়েছেলের গায়ে বিয়ের শাড়ি,গয়না,মাথায় টিকলি,নাকে নথ।দাদার খুব ভয় করতি লাগল। ততোক্ষণ এ মেয়েছেলে তার সাথে কথা বলা শুরু কইরে দিসে। তারে নাকি কইল তার ছাওয়াল এর নাম যদি রঙ দিয়ে রাখে তাইলে কি জানি হইবে। এরপর দাদার আর কিছু মনে নাই। কারা জানি তারে বাসায় দিয়ে যায় পুকুর পাড়ে বেহুঁশ পেয়ে।
বেশ কয়েকদিন পর দাদার হুশ আসে ও দাদা এই কাহিনি সবাইরে বলেন।শুনে তো সবাই অবাক।কি বলে মাখন!!!
আমার দাদার কিন্তু প্রথমে কোন সন্তান ছেলো না।ঐ ঘটনার ১বছরের মাথায় আমার বাপ হয় ও তার নাম রাখা হয় সবুজ লাল। তো বাবার ও খেমতা ছিল আমার মত।আমি যা পারি আমার বাবাও তা করতি পারেন।সেও স্বপ্নে দেখছেন এরকম যে আমার নামও রঙ দিয়ে রাখতি হবে। আর পাশের গেরামের কমলারে বিবাহ করতি হবে।এরপরেই আমার এই ক্ষমতা।
-ক্ষমতা কিসের???
-আমি আপনার রঙ মানে আপনি কেমন মানুষ তা বলতি পারি।আপনার প্রিয় অপ্রিয় রঙ তাও বলতি পারি রঙ দেইখে।
-এটা আবার কেমন কথা!! এটা কেউ পারবে না।আর কি সব গাঁজাখুরি গল্প বলছ। বিশ্বাস হচ্ছে না।
-সিডা আপনার ব্যাপার। আমার নামের কাহিনী জানতি চেয়েছেন বলেছি।
-আচ্ছা তাহলে বলো তো আমার প্রিয় রঙ কি?
-স্যার আপনার প্রিয় রঙ লাল।
-এটা তো সবাইই পারবে।এটা খুবই কমন রঙ। এতে কোন ক্ষমতা লাগে না।
-আরো একটা ব্যাপার আছে স্যার।
-কি?
-আমি কোন মানুষের চেহারা দেখে চিনি না,চিনি তার গায়ের রঙ দেখি।যেমন আপনার গায়ের রঙ কালো বেশি,সাদা কম সামান্য লাল আছে।
-কই আমি তো পুরাই ফর্সা, কালো কই পেয়েছ?
-এইটা চামড়ার রঙ না স্যার এটা অন্য জিনিস। যেমন আপনার পাশের রুমের ওই লোকটার রঙ সাদা,তার পেছনের জন পুরাই লাল এরকম।
জসিম সাহেবের কৌতূহল জাগে। কি বলছে এই আধাপাগলা লোক!!!
-স্যার আরেকটা কতা ছিল। বলি?
-কি কথা?
-আপনে স্যার মানুষটা ভালো ছিলেন।কিন্তু মেয়ে মানুষের পাল্লায় পড়ি এখন নষ্ট হই গেছেন। নিজের বাড়ি স্ত্রী রেইখে অন্য কোথাও যাওয়া আপনের উচিৎ না। তার উপর আপনি ঘুষ খাওয়া ধইরছেন গত মাস থেইকা। কিছু খুন খারাপি ও আছে....
-এইসব কথা তোমাকে কে বলছে? অ্যাঁ!!! তুমি কি বাহাদুরি দেখাতে চাচ্ছ??? পিটায়ে একেবারে তক্তা বানায়ে ফেলব।
জসিম সাহেব ঘামছেন। এই লোক বলে কি??
-এসব কথা আমারে আমার এক দোস্ত বলিসে।
-কে সে????কোথায় থাকে সে???
-কোহেকাফে থাকে। তার সাথে কথা বলার সময়ই তো আমাকে ধরা হয়েছে আজ।
-কোহেকাফ আবার কি জিনিস??? বাদশা মিয়া,বাদশা মিয়া কই গেলা???
একজন বুড়ো মত লোক ছুটে এল।ইনি জসিম সাহেবের ঘনিষ্ঠ লোক।যে কোন বিষয়ে তিনি বাদশা মিয়ার উপর আস্থা রাখেন পুরোপুরি। জসিম সাহেবের সব কাহিনী খবর তার জানা আছে।
-জে স্যার ডাকেন?
-তোমরা একে কোথা থেকে ধরে এনেছ?
-স্যার রাস্তায় টহল দিতাছিলাম তখন দেখি এই লোক একটা গাছের ডালে বসে কার সাথে যেন পাগলের মত কথা বলছে।আমরা তাকে নামিয়ে নিয়ে আসি।ভাবসিলাম পাগল নইলে চোর,দেখি পাগল না। চোর হইতে পারে।
-জে স্যার,আমার ওই বন্ধুই এসেছিল তখন।১২ না ১৩ ফুট লম্বা হবে।তাই তো গাছের ডালে বসি গল্প করছিলাম।
-চাপাবাজির আর জায়গা পাস না!!! শালা বাটপার!!!
-স্যার এডা আপনে বুঝবেন না। আমিই কেবল দেখতি পারি আর কেউ পারে না। বলেন আমি যা বইলেছি তার একটুও মিথ্যা কিনা বলেন?
-স্যার আমি কিছু কথা কই?
-বল বাদশা মিয়া।
-স্যার মাফ করবেন।কিন্তু মনে আছে আমরা এরকম একজনের কথা আপনেরে কইসিলাম গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার। ওই দিকের এক থানায় এক সন্ত্রাসী ধরায় দিসে।এই সেই কিনা। কি জানি রঙ দেইখা না কি......
-বাদশা মিয়া তুমি যাও তো!!!
বাদশা মিয়া চলে গেলেন।
-দেখ নীল মিয়া,আমার সাথে এসব চলবে না।তুমি যা বলেছ তা সত্যি না।
-তিন মাস আগের সেই ধর্ষণ ও খুনও না স্যার?
মাথার উপর ফুল পাওয়ারে ফ্যান চলছে। তার উপর বাইরে এখন বর্ষার ঠান্ডা বাতাস। তাতে রুমটা ঠান্ডা। তার মধ্যেও ঘামছেন জসিম যিনি জীবনে কখনও সামান্য ব্যাপারেও কোন ভয় পান নাই।
-ভয় নাই স্যার এটা আমিই জানি,আর কেউ জানে না। কাউরে বলি নি।
-আমি ভয় পাচ্ছি কে বলল তোমারে?
তুই থেকে তুমি তে গেলেন জসিম।
-আমি বুঝতি পারি।আপনার গায়ে নীল রঙ দেকা যাচ্ছে। নীল রঙ ভয়ের ও একই সাথে দুঃখের জন্যি হয়।আপনার ক্ষেত্রে এখন এটা ভয়ের বুঝতি পেরেছেন। ভয় পাবেন না।
-ওই ঘটনার ব্যাপারে কি জান?
-বলব?
-হু বলো।
-আপনি পূর্বের যে গেরামডা আছে রামপুর তার এক বাড়িতে বেশ যাওয়া আসা কইরতেন।নতুন এইয়েছেন, কাজে যোগ দিয়েছেন তখন। আপনার বন্ধুর দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি ছিল সেডা। তারা আপনার যথেষ্ট যত্ন আত্মি করত।
একবছর হয়ে গেল।আপনার সাথে তাদের খুব ভাব। বাড়িতে দুজন মানুষই ছেল। বউ আর জামাই।ছেলেমেয়ে ছিল না কেউ।সুখের সংসার। দুইজনি ভাল মানুষ।
তো আস্তে আস্তে আপনের সাথে বউডার সম্পর্ক অনেক গভীর হয়। স্বামী মাঝে একটা কাজে শহরে যায় কয়েক মাসের জন্যি। বাড়িতে কেউ ছেল না। পাশের বাড়ির এক বুড়ি এইসে থাকত। তাও সবদিন না। আপনার তখন সেই যাওয়া আসা।
তো স্বামী বাড়ি এসে দেখতি পায় তার বউ বমি করছে।শরীর ভাল না। তো সে তারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।
ডাক্তার বলল যে তারা বাপ মা হতি যাচ্ছে। শুনে স্বামীর সন্দেহ হইল। মুখে কিছু কইল না কারণ সে বউরে অনেক ভালবাইসত।
তারপর এইভাবে সে নানা উপায় বের কইরে খুঁজতে লাইগলো যে তার সন্দেহ সঠিক না ভুল। একদিন ধরা পইড়ে গেল সব। আপনারে এইসে সে হুমকি দিয়া গেল গ্রামে সালিশ ডাকবে আর আপনার আত্মীয় সবাইরে জানাইবে। সেদিন পোয়াতি বউরে সেই মাইর দিল।
আপনি ঘটনা চাপায়ে যেতে শেষ কি করা যায় ভেইবে কাজটা করলেন। বউডারে মারি ফেললেন আর স্বামীডারে বউ খুনের দায় চাপাইলেন। তার ফাসি হয়ে গেল।"
জসিম কাহিনী শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলেন।তার বিশাল চোখ লাল টকটকে হয়ে গেল। তিনি একটা বিড়ি ধরালেন। ধরাতে যেয়ে দুইবার বিড়ি নিচে পড়ে গেল। তার হাত কাঁপছে। তিনি ভীষণ ভয় পাচ্ছেন।
সিগারেটে দুইটা টান দিয়ে ধুয়া ছাড়তে ছাড়তে তিনি কি করবেন চিন্তা করতে লাগলেন।
"এতেও কি আমার গায়ের রঙ এর কোন পরিবর্তন হচ্ছে যাতে সে বুঝে ফেলবে আমি কি ভাবছি।" জসিম ভাবছে।
-বাদশা মিয়া এদিকে আসো।
বাদশা মিয়া দৌড়ে আসলেন।
-কি বলবেন স্যার?
-এই লোকরে পাশের রুমে পাঠায়ে তুমি আসো। কিছু কথা আছে।
কিছুক্ষণ পর বাদশা মিয়া ফিরে আসলেন।
-কি বলবেন বলেন স্যার?
জসিম সাহেব সব ঘটনা খুলে বললেন।
- কি করব বাদশা মিয়া। সরায়ে দিলে কেমন হয়?
-না স্যার ঝামেলা হতে পারে। এমনিতেই লাশ গুম এইসব ঝামেলা নিয়া আমরা টেনশনে আছি তার উপর এই নতুন ব্যাপারটা ঠিক হইব না।তার উপর একে তো কখনই দেখি নাই এই এলাকায়। তার উপর দেখতে পাগলা পাগলা। আমার তো মনে হয় পাগল।এর কথা কে শুনবে। আর আপনার উপর খবরদারি করে সাহস কার?তাই বলি এখন মারার দরকার নাই।
-কিন্তু বাদশা মিয়া সে কিভাবে এত কিছু জানল বুঝলাম না। আমার তো মাথাই কাজ করতেসে না।তার উপর কি সব জ্বিন ভুতের গল্প করে গেল।
-স্যার আমার মনে হয় জ্বিনের ব্যাপারটা সত্যি।তাইলে তো আর মারার চিন্তাও করা ঠিক হইবো না। শেষে আমরা মারা যাব
-বাদশা মিয়া তোমারে না কইসি এইসব আমি বিশ্বাস করি না।তোমার সবই ভাল খালি এই একটা ব্যাপারই মেনে নিতে পারলাম না কখনও।
-কিন্তু আইজকা যা হইছে তারপরও?
-আমার মাথায় কিছু ধরছে না। কি করা যায় বল।
-আমার মনে হয় এই পাগলডারে হাজার খানিক টাকা দিয়ে বিদায় করে দ্যান আর কইয়ে দেন যেন এসব কথা কাউরে না কয়।এই আর কি লাগলে আমি বুঝায়ে বলে দিব।
-ঠিকই কইসো বাদশা মিয়া।দেখ তো কিছু করা যায় কিনা।
বেশ কিছুক্ষণ পর বাদশা মিয়া সেই লোকটাকে নিয়ে অন্য রুম থেকে এলেন জসিম সাহেবের রুমে। জসিম সাহেব অলরেডি তিনটা সিগারেট ধরিয়েছেন। চার নম্বরেরটা কেবল হাতে নিলেন।
-স্যার আমি সব বুঝায়ে বলেছি। কোন সমস্যা নাই।
সিগারেটটা ধরিয়ে বাদশা মিয়ার হাতে টাকার প্যাকেট টা ধরিয়ে দিয়ে
-নাও এই টাকাটা ওনাকে দিয়ে দাও।এতে কয়েক হাজার টাকা আছে। আর ও যদি লাগে তাহলে সে যেন আবার আসে আমি টাকা দিয়ে দিব।এখন এই ঝামেলা বিদেয় করো।
বাদশা মিয়া লোকটাকে নিয়ে দরজার দিকে চলে গেলেন। বের হয়ে যাওয়ার আগে লোকটা জসিম সাহেবকে বলে গেল,
-স্যার কোন চিন্তা করবেন না। ভাল থাকবেন দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ। দেখা হবে আবার। জরিনা ভাবিরে সালাম দিয়েন আমার।
জসিম সেদিকে তাকিয়ে আছে। আকস্মিক এই ঘটনায় সে প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছেন।চার নম্বর সিগারেটটা আর শেষ করতে পারলেন না।
ওইদিন রাতে ১২ টার কিছু পড়ে।
-তোমার সোয়ামী কি আইবো না আইজকা?
-না তার আইজও নাকি থানায় কি ডিউটি আছে রাইতে। আর আপনে থাকলে আর কাউরে আমার লাগবো না। হি হি...
-তাইলে আমার বুকে আসো।এত দূরে থাকলে ভালো লাগে??
-আপনে না কইসেলেন আমার জন্য কিছু আনবেন আইজকা!!
-আরে আনছি আনছি এই লও।
মেয়েটির হাতে লোকটি একটা মালা তুলে দেয়।এতেই মেয়েটি অনেক খুশি।
-আপনে এত ভাল হইয়া গেলেন কেমনে? আমি ভাবসিলাম আপনার মত কিপটা দুনিয়াতে নাই। যাউক আল্লায় আপনার দিকে চাইছে তাইলে। টাকা পাইলেন কই?
-সে অনেক কথা জরিনা। ঠিকই কইসো।তুমি আছিলা দেইখাই আল্লাহ ফিরা চাইছে। তোমার লইগা আইজ মালা আনছি কাইলকা দোকান উঠায় আনুম।
-এরম কথা কইয়েন না তো শরম লাগে।
-তাইলে আসো আমার বুকের মধ্যে আসো।
জরিনা লোকটির বুকের মধ্যে যেন এক শান্তির আশ্রয় খুঁজে পায় ও তাকে গভীর মমতায় জড়িয়ে ধরে।
আর লোকটি মনে মনে ভাবে " জসিম মেয়া, আমার যেমন ক্ষতি করছো আমিও তোমার জীবনডা,সুখের সংসারডাও তোমারে দিয়াই শ্যাষ করমু।"
জরিনাকে জড়িয়ে ধরে তার মনে পড়ল,বাদশা মিয়ার ভাগের টাকাটা কাল সকালেই দিতে হবে।
[এখানে ব্যবহৃত বাওড় ও গ্রামের অস্তিত্ব বাস্তবে রয়েছে।এবং বাওড়ের সাথে যে কাহিনী তা সত্যিই প্রচলিত রয়েছে। "কইন্নাদাহ বাওর" যশোর জেলার শার্শা থানার অন্তর্গত "কইন্নাদাহ গ্রাম" এ অবস্থিত]
[প্রকাশিতঃ গল্পদ্য, বইমেলা'১৫]