আমার উত্তেজনার কারণ হল জীবনে প্রথমবার বরফের উপর দিয়ে স্কিং করবো। এতদিন বিভিন্ন সিনেমাতে এসব দেখে এসেছি। নায়ক শত্রু পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এভাবে বরফের উপর দিয়ে স্কিং করে কিংবা বরফে চলার গাড়ি দিয়ে ছুটে যায়। তুমুল মারামারি হয়। আজ সত্যি সত্যি চোখের সামনে দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই শত বাধা সত্তেও মনের ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখলাম না।
সকাল ১০ টায় সেখানে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের। আর সবার একটা জায়গায় এসে রিপোর্ট করার কথা ছিল সকাল ৮ /৪৫ মিনিটে। কিন্তু সবাই আসতে আসতে অনেক দেরি করে ফেলেছিল। বাঙ্গালী সময় বলে কথা! সাড়ে ৯ টার পর রওনা দিয়েছিলাম আমরা সবাই। আমরা সব মিলে ১৯ জন গিয়েছিলাম।
হাইওয়ে রোড দিয়ে যাওয়ার সময় পথে সারি সারি মাঠ দেখতে পেলাম। গাছগুলো সব বরফে ঢাকা। কিছু কিছু মাঠে গরু চড়ে বেড়াচ্ছে। মাঠের এক কোনায় হয়ত কৃ্ষকের দোচলা ঘর রয়েছে। উচু নিচু সরু পথ ধরে যাচ্ছিলাম। মাঝে মাঝে গাড়িতে এই এলাকার কৃষিবাদ কিংবা জনসংখ্যা নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমাদের কথায় উঠে এসেছিল বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিষয়টিও। এক বড় ভাই বলছিলেন যে বাংলাদেশের একটি জেলার অংশের লোক এনে এই ফাকা জায়গায় ছেড়ে দিলেও হয়ত এই দেশের জনসংখ্যা বাড়বে না!
আসুন কিছু ছবি দেখি -
১। সদর দরজাটা এমন

২। রাস্তার বাম পাশে রয়েছে পাহাড়

৩।

৪।

৫। বাহির থেকে দেখতে

৬। এইবার ভিতরের ছবি

৭। ওই উচু থেকে নিচে নেমে আসা হয়

৮। উপরের দিকে যাওয়ার জন্য আলাদা একটা যান আছে। যেটা দিয়ে উপরে উঠা যায়

৯। এই পাশে আছে এস্কেলেটর যা দিয়ে উপর উঠা যায়। এটা যারা নতুন তারা ব্যবহার করে।

সেদিনের আবহাওয়া বলতে গেলে দারূণ ছিল। যদিও রোদ একটু বেশি ছিল। তার উপর আবার স্কিং করতে পরতে হয়েছিল মাথায় হেলমেট, পায়ে বিশাল এক জোড়া জুতো (যা পরে হাটা বড় কষ্টকর), আর সেই জুতোর সাথে শরীরের ওজন অনুযায়ী ২ পায়ের জন্য স্কেটার। এসব পরে নিজেকে কিম্ভুতকিমাকার লাগছিল!
সে যাই হোক, আমরা সেখানে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত ছিলাম বন্ধ না হওয়া অবধি।
আর এভাবে করেই ছুটির দিনে এক অসাধারণ সময় কাটালাম সবার সাথে।