আপনি যদি কখনো হাওর অঞ্চলে আসেন তাহলে যে সব ফুল গুলো সাধারণত আপনার চোখে পড়বে(ঋতুভেদে) তেমন কিছু ফুলের ছবি শেয়ার করলাম। ফুলগুলো অতি পরিচিত হলেও সব গুলোর স্থানীয় নাম জানা হয়নি। চলতিপথে উদ্দেশ্যহীনভাবে তোলা অনেক ছবি থেকে খুঁজে খুঁজে বের করলাম এগুলো। ব্লগে দেওয়ার আইডিয়াটা আগে আসলে হয়ত আর একটু যত্ন সহকারে নিতে পারতাম ছবি গুলো। এই ছবি গুলোর মধ্যে দু'একটা ছবি হয়ত আমার আগের কোন পোষ্টে এসেছে। যেহেতু পোষ্টটা ফুলের উপর তাই দু'একটার পুনঃ পোষ্ট হল।

হাওর অঞ্চলেএই সময়ের অতি পরিচিত দৃশ্য

ক্যামেরার চোখে খুব কাছ থেকে কচুরীপানা ফুল (ম্যাক্রোশট)

সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য অনেক লেকে কত কষ্ট করে লাগান হয় লাল শাপলা। আর এখানে যত্র তত্র দেখতে পাবেন একসাথে ফুটে আছে হাজার হাজার।

সাদা শাপলা, এটা তো অতি কমন।

বেগুনী শাপলা(ছবিতে অষ্পষ্ট) এটাও বেশ চোখে পড়ে এখানে।

নদীর পাড়ে, বিলের ধারে দেখা যায় কাঁশবন।

এর স্হানীয় নামটি জানা হয়নি। কোথাও কোথাও এত পরিমানে এটি ফোটে যে দূর থেকে মনে হয় যেন সাদা চাদর দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে।

এই ফুলটিকে সাধারণত পানির ধারে কোন ঝোপের মধ্যে দেখা যায়। এর তিনটি রং আছে। এটি বেগুনী।

এটি গোলাপী।

এটি সাদা।
নামী-দামী ফুলের রং পরিবর্তনের জন্য বিজ্ঞানীরা যেখানে কত গবেষণা করে আর এই এক জংলী ফুল তিন রংয়ের। প্রকৃতি কি ইন্টারেষ্টিং।

এর পাতা দাউদের(চর্মরোগ) এক মহৌষধ। ফুলটা কি চমৎকার। ফুটে থাকে রাস্তার ধারে ঝোঁপ ঝাড়ে।

এটি ভাট/ভাটি ফুল। শীতকালে রাস্তার পাশে এদের ঝাঁড় দেখা যায়।

পলাশ। অনেক কম হলেও এখানে চোখে পড়বে দুই একটি।

বরুন ফুলের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যায় রাস্তার পাশে।

বরুন ফুলের একটি ম্যাক্রো শট।

রাস্তার পাশে ঢোল কলমির বাগান দেখলে মনে হয় কেউ বোধ হয় চাষ করেছে। যখন এগুলোয় ফুল ফোটে খুব সুন্দর লাগে দেখতে।

জারুলের এই সৌন্দর্যও চোখে পড়ে রাস্তার পাশে।
আরো অতি কমন যে ফুলটি রয়েছে হাওর অঞ্চলে তা হলো করচ। এখনো ফুল ফুটেনি ক'দিন পরই ফুটবে। ফুলেল কোন করচের বাগান দেখলে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবেন আপনি।