ইচ্ছে হল ছবি গুলো আজই পোষ্ট দিই। প্রচন্ড ক্লান্ত তবুও...সদ্য তোলা ছবি বলে কথা। আগে টাঙ্গুয়া হাওরের খুব কাছ থেকে ঘুরে এলেও যাওয়া হয়নি কখনো। আজ ঘুরে এলাম। দলের সদস্য ছিলাম আট জন। বাহন ৪টি মোটর সাইকেল। হাওর অঞ্চল সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে কেবল তারাই জানেন এই সময়ে হাওর আর বর্ষাকালের হাওরের মধ্যে তফাৎ কতটুকু। যেখানে বর্ষাকালে বিস্তৃত জলরাশি, এখন সেখানে ধূ-ধূ বিস্তৃত মাঠ। মোটর সাইকেল নিয়ে সুনামগঞ্জ শহর থেকে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগল প্রায় ৪ ঘন্টা। পথে অবশ্য চা পান বিরতি ছিল দুই এক বার। তাছাড়া পাঁচ স্থানে নৌকায় করে মোটর সাইকেল পার করাটাও যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ছিল। কখনো পাকা রাস্তা, কখনো সাবমার্জিবল রোড(যে রাস্তা বর্ষা কালে ডুবে যাবে এমন ভাবে তৈরী) কখনো বা ধূ-ধূ বিস্তৃত হাওরের মধ্য দিয়ে চলে আমরা টাঙ্গুয়ার পাড়ে পৌঁছালাম। সেখান থেকে আরো প্রায় দুই-আড়াই কি.মি. হেঁটে পৌঁছে গেলাম একেবারে টাঙ্গুয়ার হাওরের ভিতরে যেখানে হাজার হাজার অতিথি পাখির বিচরণ। হাওর দেখে, পাখি দেখে, আবার সেই মাঠ-নদী পার হয়ে অবশেষে সন্ধ্যায় যখন আমরা অফিসে পৌঁছালাম, তখন সবার অবস্থা কাহিল। আর কাঁচা রাস্তা ও মাঠের প্রচন্ড ধূলায় সবাই যেন এক একজন শ্বেত মানব। আজকের এই বিখ্যাত অভিযাত্রার ফাঁকে ফাঁকে আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার পথে পড়ে সোলেমানপুর, যেখানে আছে একটি ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার। এখানে প্রতিদিন ওঠে হাওরের হাজার হাজার কেজি মাছ। বাছাই, প্রসেসিং হয়ে চলে যায় ঢাকায় এবং বিদেশেও।
সোলেমানপুর ফিস ল্যান্ডিং সেন্টারে মাছ বাছাই করছে ওরা।
করচের বাগ, হাওরের অতি পরিচিত দৃশ্য
হাওরের মধ্যে জেলেদের মাছ ধরার জন্য নির্মিত অস্থায়ী শেড
অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধান লাগায় এখানকার মানুষ, কিন্তু জানেনা ফসল তুলতে পারবে কিনা(শুনেছি প্রতি ১০ বছরের মধ্যে মাত্র ৪ বছর তারা ফসল ঘরে তুলতে পারে, বাকিটা বন্যা/পাহাড়ি ঢলে ভাসিয়ে নিয়ে যায়)
এখানে হাঁস পালন ও কেউ কেউ নেয় পেশা হিসাবে।
বিনষ্ট হচ্ছে ওদের আবাস স্থল, কোথায় আর বাসা বানাবে.....। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়ত আর চিনবেই না এদের।
হাওরে চোখে পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ি
টাঙ্গুয়ার হাওরে অতিথি পাখির বিচরণ।
টাঙ্গুয়ার হাওরে নির্বিঘ্নে বিচরণরত কলিম পাখির দল