ছোটদের ‘এসএসসি’ পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নম্বর পুনর্গণনায় ফরিদপুর জেলায় প্রায় ৪০ শতাংশ পরীক্ষার্থীর নম্বর বেড়েছে। একজন পরীক্ষার্থীর নম্বর ৪০ পর্যন্ত বাড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার হাড়োকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসরিন আক্তার জানান, ‘আমি ২০০ খাতা দেখার দায়িত্ব পেয়েছিলাম। সময় দেওয়া হয়েছিল মাত্র সাত দিন। এই সময় পর্যাপ্ত নয়।’ ফরিদপুর সদরে সমাজ বিষয়ের প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন ডোমরাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অঞ্জলি রানী দাস। তিনি জানান, ‘তিনি ও অপর চারজন নিরীক্ষক ছয় হাজার ৩৭১টি খাতা নিরীক্ষণ করেছেন। তিনি খাতা দেখেছেন ৩১৯টি। অন্য চারজন দেখেছেন এক হাজার ৫১৩টি করে। আমাদের সময় দেওয়া হয়েছিল মাত্র তিন দিন।’
শিক্ষকদের খাতা দেখার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে উল্লেখ করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) অরুণ চন্দ্র মহোত্তম বলেন, ‘ভুলগুলো না হলে ভালো হতো। প্রথম বছর হওয়ায় পরীক্ষায় এ সমস্যা হয়েছে। আগামীতে এ বিষয়ে আমরা আরও সতর্ক থাকব।’ ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হেলালুদ্দীন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক পরীক্ষকই সঠিকভাবে খাতা দেখেননি। পাতা গুনে ও গড়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে। দুই পাতা পড়েছেন তো তিন পাতা পড়েননি—এ ধরনের নানা অসংগতি পাওয়া গেছে।’
গত ২১, ২২ ও ২৪ নভেম্বর দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল প্রকাশিত হয় ২২ ডিসেম্বর। ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীরা নম্বরপত্র হাতে পায়। শেষ সময় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরিদপুরে ৯৫ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। পুনর্মূল্যায়নের পর ১০ জানুয়ারি ফল প্রকাশ করা হয়।
১. ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:৪৯ ০
আসলে আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরীর মতো...... সবাই স্বপ্ন দেখে,,, কিন্তু বাস্তবতারর সন্ধান কেউ পায় না......... দেশ এখন যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে.......... কেউ কিছু করতে পারবে না......... এভাবেই চলতে দিতে হবে,,,,,,, বছর, যুগ, শতাব্দী থেকে শতাব্দী.......
আসুন একটু পরিবর্তন করা যায় কিনা. দেখি??