নোবেল শান-ি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মানে সোমবার আমেরিকার রাজধানীতে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, তার স্ত্রী সিনেটর হিলারি ক্লিনটন, সিএনএন প্রধান টেড টার্নারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই ড. ইউনূসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তবে ড. ইউনূসের গুণমুগ্ধ বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটন সারাক্ষণই তাকে নিয়ে মেতে ছিলেন। তারা গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা কথা জানতে চান। তারা বাংলাদেশ সফরকালে তাদের অভিজ্ঞতার কথাও জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই টেড টার্নারের জন্মদিন পালন করা হয়। সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল গোটা অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, অস্ত্র বা সামরিক শক্তি কখনও সন্ত্রাস নিমর্ূল করতে পারবে না। এতে সমস্যার সাময়িক প্রশমন হতে পারে। অস্ত্র বা সামরিক শক্তির ব্যবহার সময়ের ব্যবধানে আরও প্রকটতর হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়বিচার ও সাম্য। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের অন্যতম বড় উৎস হ"েছ দারিদ্র্য। বৈষম্য ও ভেদাভেদ সৃষ্টিরও প্রধান কারণ দারিদ্র্য। কাজেই দারিদ্র্য দূর না করলে সন্ত্রাস দূর বা নিমর্ূল হবে না। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনেটর পল সার্বান্স, সাবেক সিনেটর ও ইউএন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টিমোথি রেনউইথ, কংগ্রেসম্যান টম ইউডাল প্রমুখ।
আগের দিন সোমবার ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ড. ইউনূসের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় যোগ্য নেতৃত্বের জন্য যোগ্য প্রাথর্ী আন্দোলনের প্রতি তিনি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে রাজনীতি বা কোন দল প্রতিষ্ঠার কোন ঘোষণা দেননি তিনি।
ড. ইউনূস এখন শিকাগোতে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় টকশো 'হস্ট অপরা শো' ছাড়াও অনেক প্রভাবশালী মিডিয়ায় তার সাক্ষাৎকারের কথা রয়েছে।