ছবিটা অনেক আগের, প্রায় এক বছর হতে চললো। স্মৃতির পাতায় ধুসর হতে হতে প্রায় ফিকে হয়ে গেছে... এক বোনের আকুতি নিয়ে এসেছিলাম আপনাদের, আজমেরীর ভাই-বোনদের সামনে। এ এক জীবনকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত হতে টেনে আনার গল্প, হ্যাঁ, এখন হয়তো গল্পই মনে হবে। কারন, তারপর যা হয়েছে সেটা ইতিহাস। হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কয়েকশো ভাই, বোনটিকে পিছলে যেতে দেন নি অন্ধকারের অতল গহ্বরে। তিল তিল করে জমা হয়েছে ভালোবাসা । জমা হয়েছে আহবান... হৃদয়ের গান ।
আমরা আজ বলবো আমরা পেরেছি। একটি জীবন বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়তে আপত্তি ছিলো না তাঁদের, এই সব ব্লগারদের, এই সব ভাইদের.... নাহ, নাম উল্লেখ করতে চাই না। এ কৃতিত্ব আমাদের, ব্লগারদের। সামহোয়্যারইন, আমার ব্লগ, চতুর্মাত্রিক, সোনার বাংলাদেশ ব্লগের ব্লগারদের। শুধু তাই নয়, যারা ব্লগিং করেন না তাদের ও। ফোন দিয়ে, রক্ত দিয়ে, পাশে থেকে বইমেলায় মানুষ টেনে টেনে ধরে যারা টাকা যোগাড় করেছেন, সেই প্রতিটি মানুষ কে স্যালুট জানাই, আপনারা আপনাদের স্বামর্থ্য দিয়ে, যে যতটুকু পেরেছেন, করে একটি জীবন বাঁচিয়েছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
যে সময় তার ওষুধ লাগবে, চিকিৎসার প্রায় শেষ পর্যায়ে, সে সময় এগিয়ে এসেছিলেন সবসময় পাশে থাকা আমার এক বড়োআপু, ব্লগার সমুদ্রকন্যার এক বন্ধু-২০০০, ব্লগার বেলের কাঁটা- ৪০০০, ব্লগার স্বপ্নমগ্ন ফারজানা ও তার দুই বান্ধবী- ৬০০০, ব্লগার শ্রীমান- ১০০০০ সহ আরো কয়েকজন।আমি আজমেরীর হয়ে তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এবার আসুন আরেকটি ছবি দেখি-
আজমেরী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। শুধু কিডনী রোগের অভিশাপ হেতু প্রতিদিন তার ওষুধ খাওয়া লাগে, নইলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে জীবনে ২য় হয়নাই। ক্লাস নাইনের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে সে দেড় মাস পড়ে। আবারো অসম্ভব কে সম্ভব করার আশায় আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি সে এবারো ১ম হবে। সে দোয়া আমরা সবাই করতে পারি, কারন, আমাদের সকলের দোয়াতেই আজ সে সুস্থ। সে আমাকে বলেছে সে ১ম হবে। ওর ভাইয়ের একটা চাকরী দেয়ার ইচ্ছা আছে, সে ব্যাপারে কথাবার্তাও বলা হয়ে গেছে। আগামী মাস থেকে হয়তো সে চাকরীতেও জয়েন করবে।
শুধু একটা কথা বলতে চাই.... আমি, আমরা যদি সামান্য উদ্যোগ নিয়ে একটা জীবন বাঁচাতে পারি, তবে সেই প্রচেষ্টা আমি সারাজীবন করতে রাজি, আপনি কি রাজি?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৩