সামুতে এখন আমার একটা ডাক্তারখানা আছে, যেখানে কোনো মানুষের চিকিৎসা হয় না। এই ডাক্তারখানাতে চিকিৎসা হয় গাছ আর ফসলের, নতুন খুলেছি তাই রোগীর সংখ্যা নাই বললেই চলে, তারপরও আমার ডাক্তারখানা খোলা থাকবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, আমার স্বপ্ন একদিন আমার ডাক্তারখানা থেকে অনেক মানুষ উপকৃত হবে। আমি আমার সীমাবদ্ধ জানার মাঝথেকেই আমি গড়ে তুলবো আমার সোনার কৃষিক্ষেত্র। এটা আমাদের সবারই স্বীকার করতে হবে আমার দেশের মানুষ সব সময়ই কৃষির উপর নির্ভরশীল ছিলো এবং থাকবে আরও অনেক অনেক দিন, কিন্তু আমার যে সব প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করে খাদ্য যোগান দিয়ে বাচিয়ে রেখেছে আমার দেশের সব মানুষগুলোকে তাদের মূল্যায়ন আজ পর্যন্ত আমরা করতে পারি নাই। এই দায় কাদের? এটা কি আমাদের ছোটমনের পরিচয় নাকি আমাদের উপকারীকে স্বীকৃতি না দেওয়ার মানুষিকতা? যারা কোনো দিনও গ্রামে যান নাই তাদের প্রতি অনুরোধ রইলো জীবনে একবারের জন্য হলেও গ্রামে গিয়ে দেখে আসুন ঐমানুষগুলো কতো কষ্ট করে তাদের দিন গুলো পার করছে।
ঐ মানুষগুলোকে নিয়ে অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু যখনই মনে হয় কৃষকদের নিয়ে কোনো লেখাই কেউ আগ্রহ নিয়ে পড়বে না, তখনই লেখার সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
তারপরও আমার জীবনের একটা স্বপ্ন আমি একদিন না একদিন আমার ঐসব কৃষকভাইদের জন্য অনেক বড় কিছু করবোই, যদিও আমি জানি আমার এই স্বপ্ন পূরণে আমার পাশে আমি কাউ কেউ পাবো না।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যদি এমন মনের ২০জন মানুষও আমার পাশে পেতাম তাহলে হয়তো আমার এই পথ চলা আরও একটু দ্রুত তর হতো।
সামুর কারো কাছেই আমার চাওয়ার কিছু নাই, কারণ আমি এখানে নিতান্তই নবীন একজন ব্লগার।
সবার প্রতি ছোট্ট একটা আরজি রেখে আমার লেখাটা শেষ করতে চাই আর তাহলো- আপনারা যে, যেখানে আছেন, সে, সেখান থেকেই আপনার পাশের অন্তত ৫জন কৃষকের খোজ খবর নিন, তাহলেই দেখবেন আমার এই দেশটা একদিন বদলে যাবে।।।।।।