সেদিন ক্লাশের ফাঁকে কম্পিউটার ল্যবে গিয়ে ব্লগ ওপেন করি। ওপেন হতে না হতেই দেখলাম কি বিশ্রি অবস্থা। ব্লগ পড়া যাচ্ছে না। কারন বাংলা ফন্ট সেটাপ দেয়া নেই। তো বাংলা ফন্ট সেটাপ দেয়ার জন্য ক্লিক করলাম। দেখি কম্পিউটার এডমিনিস্টেইটর পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা। এরপর ল্যাব অথরিটিকে কে বললাম, বাংলা ফন্ট সেটাপ দিতে। ওনারা জানাল – ইউনির্ভাসিটিতে বাংলা ফন্ট সেটাপ দেয়া যাবে না। আমাদের ইউনিভাসিটি হল ইংলিশ মিডিয়াম। কেননা এখানে বাংলার কোন খাওয়া নেই।
আমার প্রশ্ন উনারা যে কথা বললেন তাও তো মাতৃভাষা বাংলাতে। যে খবরের কাগজগুলো ইউনির্ভাসিটিতে রাখা হয় তার বেশিরভাগই বাংলা। টিচাররা যে ক্লাশে লেকচার দেন তাও তো মাতৃভাষা বাংলাতে অথাৎ যেকোন কাজ মৌখিকভাবে হলে, তা হয় বাংলাতে।
এখানে শুধুমাএ কাগজের কলমের ব্যপারগুলো হয় ইংরেজীতে। আমাদের ক্লাশ লেকচার প্রিন্ট করে দেয়া হয় ইংরেজীতে কিন্তু সেগুলো ক্লাশে বুঝানো হয় বাংলাতে। এরই নাম বাংলাদেশি ইংলিশ মিডিয়াম !!!
বাংলাদেশ স্টাডিজ নামে যে কোসে আমরা বাংলাদেশ ও বাংলাভাষা সম্পর্কে জানি, সেটাও ইংরেজিতে পড়ে জানতে হয়। নিজের দেশ, ভাষা, সংস্কৃতিকে জানতে হয় বিদেশি ভাষাতে। তাও যদি অন্ততপক্ষে ৫০ ভাগ নির্ভুল পড়ানো হত, তাহলেও একটা কথা ছিল। প্রমান চান ? চাইলে দেখাতে পারি। এ ব্যপারে পরে বিস্তারিত লেখা হবে।
চারিদিকে যখন সবস্তরে বাংলা ভাষা চালু করা নিয়ে এত হইচই, জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা করার এত উদ্যোগ, ঠিক তখনি রাজধানীতে শিক্ষার সবচাইতে শ্রেষ্ঠ স্তর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বাংলা ভাষার মানহানি। সরকার কিংবা ইউ.জি.সি. এর সেদিকে কোন নজর নেই। যে দেশের ভাষা সে দেশেই উপেক্ষিত হয়, সে দেশের ভাষা হবে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা কী করে। অনেকটা ঘরে বাতি না দিয়ে, উপাসনালয়ে বাতি দেয়ার মত।
তবে কি এই জন্যে ৫২ তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএরা প্রান দিয়েছিল ? ইউ.জি.সি. কি পারে না এমন দুটি নিয়ম করতে, যাতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট সেটাপ দিবে এবং তাদের ওয়েবসাইটে ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলা চালু করবে ? এই ভাষার মাসে এই দুটি নিয়ম চালু করে বাংলা বাংলাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।
এ ব্যাপারে সবার সাহায্য চাচ্ছি।
এই লেখাকে স্টিকি করে সবার দৃস্টি আকর্ষন করা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:১৬